ভারত উপমহাদেশে ইসলামী গ্রুপ আছে চারটি।
১. ইলমে দ্বীন (মাদ্রাসা), দাওয়াত ও তাবলীগের খেদমতে রত হেফাজতে ইসলাম তথা কওমী বা দেওবন্দী ওলামায় কেরাম।
২. ক্ষুদ্র পরিসরে (খানকায়) সাধারন মুসলিমসাধারণকে আল্লাহওয়ালা করার চেষ্টায় রত হক্কানী পীর মাশায়েখগনের দরবার সমূহ।
৩. ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রত জামাতে ইসলামী।
এ তিন দলের বাহিরে আরেকটি ক্ষুদ্র দল রয়েছে যারা নিজেদেরকে নামকরণ করেছে সুন্নী বা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত।
এরা মূলত কবর পুজারী মাজার ব্যাবসা কারী রেজভী বা বৃটিশের দালাল আহমদ রেযা খার অনুসারী। যাদের অনুসারী হলো মাইজভান্ডার, সুরেশ্বর, আটরশি, চন্দ্রপাড়া দরবার, যাদেরকে নাস্তিক সরকার মাঠে নামিয়েছে তরিকত ফেডারেশন এর নামে। এদের মূল পীর হল পাকিস্তানের সীরকোটের তাহের শাহ। বাংলাদেশে যতগুলো তাহেরীয়া-তইয়্যৈবিয়াহ মাদ্রাসা রয়েছে তা এদের অনুসারী। এরা মূলত কবর পুজারী মাজার ব্যাবসায়।
এরা মুসলিম নয়। কারন এদের চার টি জঘন্য বিশ্বাসের কারনে এরা ইসলাম থেকে বহির্ভূত হয়ে গিয়েছে যেভাবে বহিভূত হয়ে গিয়েছে কাদিয়ানীগণ। এদের মূল ধর্ম বিশ্বাস হলো-
১. আল্লাহ পাক হলেন নূর/আলো (অথচ নূর আল্লাহ পাকেরই সৃষ্টি)।
২. হযরত মুহাম্মদ (স.) হলেন আল্লাহর নূরে সৃষ্টি তথা আল্লাহরই অংশ।
৩. হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বদ্রষ্টা ও সর্বত্রবিরাজমান তথা হাজির নাজির।
৪. হযরত মুহাম্মদ (স.) সর্বজান্তা তথা আলিমুল গায়িব।
তাদের এ চারটি শির্কী বিশ্বাস সহ অসংখ শির্ক-বিদাতের বিরোধীতা করার কারনে তারা উপরোল্লিখিত বাকি তিনটি মুসলিম দলকে কাফের ফতোয়া দিয়েছ। বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাইতুল মুকাররামে তাদেরকে বসিয়েছে এই নাস্তিক সরকার। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নীচের পোষ্টগুলো পড়ুন।
জামাতে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন কারী নামধারী সুন্নীরা যে কাট্টা মুশরিক তার একটি উদাহরণ
জামাতে ইসলাম ও হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন কারী নামধারী সুন্নীদের পরিচয়
উপমহাদেশে বেদআতের পুনর্জীবনদানকারী আহমদ রেজা খাঁ বেরেলবীর পরিচয় ও আক্বিদা-বিশ্বাস
বেরলভী মতাদর্শের স্বরূপ সন্ধানে
রাসূল সাঃ নূর তবে নূরের তৈরী নয়
ভারত উপমহাদেশের নামধারী সুন্নী
Islam is the complete code of life ! ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন ব্যাবস্থা।
ইন্নাদ্দীনা ইনদাল্লহিল ইসলাম- নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবন ব্যাবস্থা হলো ইসলাম। ওয়ামাইয়্যাবতাগী গইরাল ইসলামা দীনান, ফালাইয়্যুকবালু মিনহু- কেউ যদি ইসলাম ব্যাতিত অন্য রাকোন জীবন ব্যাবস্থা অনুসরণ করে তবে তা আল্লাহর নিকট কবুল হবে না। আর সে পরকালে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। যারা কুরআনে কিছু মানবে আর কিছু মানবেনা, তারা অবশ্যই ইহকাল ও পরকাল উভয় জগতেই হবে শাস্তির সম্মুখীন। যারা মুসলিম বলে দাবীদার তারা আল-কোরআনে উপরোল্লিখিত আয়াতগুলোতে নিশ্চয়ই বিশ্বাস রাখেন।
ইসলাম অপরাপর ধর্মের মত নয় যে, শুধু তাতে ব্যাক্তিগত নামজ, রোজা পালন করলেই মুসলিম হওয়া যাবে, ইসলামের প্রধান ইবাদতই হলো দেশ ও বিশ্বের অশান্তি দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা তথা ইসলামী রাষ্ট্র বা খেলাফত কায়েমের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করে শান্তি স্থাপন করা। রাজনীতি/ইসলামী রাষ্ট্র/খেলাফত ব্যাতীত কোন ইসলাম হয় না-শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ ইসলামী খেলাফত- রাষ্ট্রশক্তি বিহীন ইসলাম ইসলামই নয়। বিস্তারিত জানতে নিচের লিঙ্ক এর পোষ্ট গুলো পড়ুন।
রাজনীতি/ইসলামী রাষ্ট্র/খেলাফত ব্যাতীত কোন ইসলাম হয় না-শান্তি ও মুক্তির একমাত্র পথ ইসলামী খেলাফত- রাষ্ট্রশক্তি বিহীন ইসলাম ইসলামই নয়
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।