আকাশে ঈদের চাঁদ দেখে সবচেয়ে খুশি হয় শিশুরা। ক্ষণ গুনতে থাকে, কখন নতুন পোশাকটি পরে যাবে ঈদগাহে, নামাজ শেষে খেলনা-মিষ্টি কিনে ফিরবে বাসায়। এরপর দিনভর চলবে আনন্দ-হইচই।
আরব দেশ সিরিয়ায় আজ রোববার উদযাপিত হয়েছে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় উত্সব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই দিনেও সেখানে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে এবং এই হতভাগাদের মধ্যে দুটি শিশুও আছে।
ইদলিব প্রদেশের নুমান শহরের শিশু দুটিও হয়তো ঈদের খুশি নিয়ে শুরু করেছিল দিনটি। হয়তো বা বড়দের হাত ধরে ঈদগাহেও গিয়েছিল। নামাজ শেষ করে ফেরার পথে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে লাশ হতে হয়েছে তারা। ঈদের পোশাক রঙিন হয়েছে সহিংসতার রক্তে।
আল জাজিরা জানায়, সিরিয়ার হোমস প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রাসতান ও পূর্বাঞ্চলের দিয়ের ইজের শহরে আজ ঈদের দিনেও বোমাবর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী।
আলেপ্পোতে হয়েছে তুমুল লড়াই। এতে হতাহত হয়েছে আরও অনেক মানুষ।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অপসারণের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। আসাদ-বাহিনীও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে এর জবাব দিচ্ছে। দুই পক্ষের এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে দেশটিতে শুধু গত মার্চ মাসের পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ২৩ হাজার মানুষ।
এরপর সরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না আসাদের মধ্যে। আজ তিনি দামেস্কে মন্ত্রী-আমলাদের নিয়ে ঈদ করেছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টের ঈদের নামাজ আদায়ের সেই দৃশ্যও প্রচার করা হয়েছে।
ঈদের দিনেও সহিংসার দৃশ্য আরব বিশ্বে এই নতুন নয়। ফিলিস্তিনের মানুষ যুগের পর যুগ সেই দৃশ্য দেখে আসছে।
২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে গত প্রায় এক দশকে ইরাকের মানুষও সেটা দেখেছে। আর আরব অভ্যুত্থানে তিউনিশিয়া, লিবিয়া ও মিসরের দীর্ঘদিনের শাসকেরা যখন ক্ষমতা হারালেন, তখনো একই অবস্থায় ঈদ করেছে দেশগুলোর মানুষ
সূত্রঃ প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।