জাতীয় সংসদে সাংসদদের অসংসদীয় বক্তব্য থেকে বিরত রাখার জন্য রুলিং দিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদীয় রীতিবিরোধী ও অসংসদীয় বক্তব্য দিলে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তিনি সাংসদদের সতর্ক করেছেন। আজ রোববার আসরের নামাজের বিরতির পর স্পিকার এ রুলিং দেন। বিরোধী দল স্পিকারের রুলিংকে স্বাগত জানিয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ‘আমি আগেই আক্রমণাত্মক ও অশ্লীল বক্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছি।
এখন আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। দুই-তিন দিন আগে হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বিরোধী দলের সদস্য এম কে আনোয়ার অসংসদীয় বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তির মাইক বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু আমি মনে করি, মাইক বন্ধ করা সবার জন্য সুখকর নয়। ’
স্পিকার বলেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো অসংসদীয় বক্তব্য উপস্থাপিত হলে আমি সতর্ক করব। প্রয়োজনে শেষ পন্থা হিসেবে মাইক বন্ধ করে দেব।
কেউ অশালীন বক্তব্য দিলে তা পরীক্ষা করে এক্সপাঞ্জ করা হবে। সদস্যদেরও এমন কিছু বলা উচিত না, যা এক্সপাঞ্জ হবে। ’ তিনি সবাইকে ২৭০ বিধি অনুসরণ করে কথা বলার পরামর্শ দেন।
স্পিকারের রুলিংয়ের পর বিরোধী দলের সাংসদ মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আপনার রুলিংকে আমরা সমর্থন জানাই। আশ্বাস দিচ্ছি সহযোগিতা ও সমর্থন পাবেন।
’
এর আগে শিশু বিল-২০১৩ পাসের সময় বিরোধী দলের সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফীর বক্তব্যে সংসদে কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যাকারী’ বলে মন্তব্য করেন। রেহানা আক্তার বারবার বিরোধী দলের সদস্যদের উদ্দেশে উত্তেজিত কণ্ঠে ‘খবরদার চুপ করেন’ শব্দ উচ্চারণ করেন।
অধিবেশন শুরুর আগে আজ দুপুরে বিরোধী দলের সদস্যরা স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে অসংসদীয় বক্তব্য দেবেন না বলে আশ্বাস দেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।