আসুন সকলে মিলে একটা সুস্থ বিশ্ব গড়ে তুলি
ভাইরাসটিকে প্রথম সনাক্ত করা যায় সম্ভবত ২০১১ সাল নাগাদ । প্রথম দিকে এটির ভয়াবহতা লক্ষ না করা গেলেও বর্তমানে এটির একটি আগ্রাসী ভূমিকা সাইবার নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করতে উঠে পরে লেগেছে। মূলত সাইবার গগনে হানা দিয়েছে এক দুষ্টচক্র যাদের কাজই হল গ্রাহকের অজান্তে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড ও যাবতীয় গোপন তথ্য চুরি করে নেওয়া। এই কাজগুলি খুবই সন্তর্পণে করার জন্য বেশ কিছু হ্যাকার গ্রুপ সাইবার স্পেস এ ছড়িয়ে দিয়েছে এই মাল্টি কম্পোনেন্ট গ্রুপ এর ম্যালওয়্যার ( MALWARE) টিকে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের এই ভয়ানক ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক করেছেন বিভিন্ন সাইবার অপরাধ দমন শাখা তাঁরা জানিয়েছেন, ক্ষতিকারক ভাইরাস পরিবারের রমনিট শুধু তথ্য জেনে নেওয়াই নয়, গ্রাহকের গোপন তথ্য যথাস্থানে পৌঁছেও দেয়৷
বর্তমানে এটি উপমহাদেশে খুবই সক্রিয় যার মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব দেখা গেছে ভারতের সাইবার স্পেস এ ।
যেহেতু ভারতে অনলাইন বাঙ্কিং এর গ্রাহক সংখ্যা উপমহাদেশে সাবচেয়ে বেশি। কিন্তু অন্য দেশগুলিও এর প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। ভারতের সাইবার অপরাধ দমন শাখা কিন্তু এর মধ্যে সতর্ক করেছে অনলাইন বাঙ্কিং এর সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকদের। তাঁদের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভাইরাসটি এতটাই ক্ষতিকর যে কোনও অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার সংক্রামিত ফাইলটিকে সহজে ট্রেস করতে পারে না৷ কারণ সময়-অসময়ে ভাইরাসটি ছদ্মবেশ ধারণ করে৷ এবং ঠিক খুঁজে খুঁজে সেসব কম্পিউটারেই হামলা চালায় যেখানে ই-মেল ও অনলাইন পরিষেবা বেশি ব্যবহার করা হয়৷ সার্ট-ইনের জারি করা বিবৃতি বলছে, ধরা যাক একটি কম্পিউটারে উইন৩২/রমনিট ভাইরাস ঢুকে পড়েছে৷ এ বার সেই কম্পিউটারে কোনও পেন-ড্রাইভ বা ইউএসবি কেবল মারফত ফোন জুড়ে দেওয়া হল৷ এ বার কম্পিউটার থেকে সেই ভাইরাস ওই পেন ড্রাইভ ও ফোনে ঢুকে পড়বে৷ আর ওই সংক্রামিত যন্ত্রগুলি অন্য কোনও কম্পিউটারে জুড়লে সেই কম্পিউটারের তথ্যও ভাইরাসটি চুরি করে নেবে৷ এক উদাহরণ দিয়ে বলা যাক, ধরা যাক কোনও উইন্ডোজ প্রোগাম ফাইল, ডিএলএল ফাইল বা এইচটিএমএল ফাইলে ওই ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়েছে , সেই ফাইলে ক্লিক করলেই ভাইরাস কম্পিউটারে ঢুকে পড়ল৷ এ বার ধরা যাক গ্রাহক নেট ব্যাঙ্কিং করছেন৷ গ্রাহক তাঁর ব্যাঙ্ক ওয়েবসাইটে কী লগ-ইন কী পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন তা ট্র্যাক করে ওই ভাইরাসকে যে সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করছেন, সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হল৷ অর্থাৎ , গ্রাহকের লগ-ইন, পাসওয়ার্ড জেনে এ বার হ্যাকাররা গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লুঠপাট চালাতে পারবে৷
কীভাবে কাজ করে এই ভাইরাস? রামনিট ভাইরাস কোনও টার্গেট ফাইল (ইএক্সই, ডিএলএল ও এইচটিএমএল ফাইল)কে হামলা করে প্রথমে৷ তার পর সেটাকে 'সংক্রামিত' করে সেই ফাইলে কিছু পরিবর্তন বা সংযোজন ঘটায়৷ এবং সেই সংক্রামিত ফাইলটিই গ্রাহক সাধারণ ফাইল ভেবে খুলে বসেন৷ যার জেরে গ্রাহকের গোপনীয় তথ্য ভাইরাসটি জেনে যায়৷ এবং তার নিজস্ব সার্ভারে সেই তথ্য পাচার করে দেয়৷ ভারতের অন্যতম সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম-ইন্ডিয়া (সার্ট-ইন) জানিয়েছে, এই ভাইরাস ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল বা এফটিপি পাসওয়ার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লগ-ইন আইডি-পাসওয়ার্ড, কম্পিউটারে লাগানো রিমুভাবল মিডিয়া (পেনড্রাইভ-সিডি) প্রভৃতিতে হামলা চালায়৷ গ্রাহকের ব্রাউজার সেটিংস পরিবর্তন করে দেয়৷ ডাউনলোড করা ফাইলেও নতুন সংযোজন ঘটায়৷
তবে এর থেকে বাঁচার উপায় ?
মাইক্রোসফট এই সম্পর্কে বলছেন যে ,
অজানা কারও থেকে মেল এলে সতর্ক থাকুন৷ সেই মেলে অ্যাটাচমেন্ট থাকলে ভেবে চিন্তে তাতে ক্লিক করুন৷ সন্দেহজনক ওয়েবসাইট খুলবেন না৷ নকল সফটওয়্যার ডাউনলোড করবেন না৷
এছারাও আপনি যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন সেগুলি নিম্মরূপ ঃ
Enable a firewall on your computer .
Get the latest computer updates for all your installed software.
Limit user privileges on the computer.
Use caution when clicking on links to webpages
Avoid downloading pirated software
Protect yourself against social engineering attacks
Use strong passwords
আসা করছি এবার থেকে আপনারা প্রতিটি অনলাইন পরিষেবা নেওয়ার সময় একটু সতর্ক হবেন যাতে আপনাদের কষ্টার্জিত উপার্জন আপনাদের অজান্তে বেহাত না হয়।
ধন্যবাদ সকলকে ।
আপনাদের দিনটি শুভ হোক।
( গত কাল এই পোস্টটি পোস্ট হবার পর কোন অজ্ঞাত কারনে মুছে যায়, তাই এটিকে পুনরায় পোস্ট করলাম) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।