পরাজিত হতে হতে আমি উঠে দাড়িয়েছি এবার ফিরে যাবো না খালি হাতে, স্তব্ধতা আর সৌন্দর্যের পায়ে পায়ে এগিয়ে যাই যে কবি সে কখনো খালি হাতে ফিরে যেতে পারে না ।
ওদের সাথে পরিচয় হয়েছিল বেশ শৈশবেই কিন্তু ঠিক কত বছর বয়সে এখন আর তা' মনে নেই । ওরা দুই সহোদরা যমজ বোন । অবশ্য যমজ হলেও দেখতে কিন্তু এক রকম নয়। একজন অপরূপা জাদুকরি সুন্দরী রমণী আর অন্যজন কু্ৎসিত কৃষ্ণবর্ণের।
ওরা দুজনেই আমার প্রেমে পড়েছিল এবং আমাকে চেয়েছে। কিন্তু আর দশজনের মত আমিও সুন্দরী রমণীর দিকেই ঝুঁকেছিলাম। ওই রমনী যাকে আমার হূদয় কামনা করে, সে এক অনুপম সৃষ্টি যাকে দেবতারা পাঁয়রার যুগলবন্দি প্রেমে রূপ দিয়েছে। তাকে নিয়েই কবিতা লিখি-আবৃত্তি করে শোনাই স্বরচিত কবিতা, শীতলক্ষ্যা নদীতে ভরা পুর্নিমায় করি নৌভ্রমন,শাহবাগে খাই ফুঁসকা ।
এদিকে ওর যমজ কু্ৎসিত বোনটি কিন্তু আমার পিছু ছাঁড়েনি।
শুনেছি কালো মেয়েরা পুরুষ বশীকরণমন্ত্র জানে । সেই মন্ত্রবলে সে আমায় বাহুবন্দি করতে চেয়েছে বারবার। এই মাস কয়েক আগেও সে হটাৎ এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে -"এবার তোমাকে ছাড়ছি না, তোমাকে এবার আমার সাথে ঠিকই নিয়ে যাবো । " উপায়ন্তর না দেখে মেয়ে ভোলানো মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাকে কোনমতে বিদায় করেছি । তারপর যথারীতি আমার প্রেয়সী সুন্দরীর সাথে পথচলা।
এবার একটু বেশিই ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম । তার দেহের প্রতিটি বাঁক পড়ে ফেলেছিলাম । ফলে, তার অন্তর্গত সত্তাটিও দেখে ফেলেছি । ব্যাপারটা আঁচ করতে পেরে সে ক্রমশঃ আমার থেকে দুরে,বহূদুরে চলে যাচেছ।
যে রমনীকে আমার হূদয় ভালবাসে তার নাম জীবন।
জীবন এক সুন্দর রমনী যে আমাকে একাত্ত্ব করে নেয় ।
জীবন হচেছ এক রমনীর নাম -
যে মানুষের হূদয়কে বন্ধু বানায় কিন্তু স্বামী বানায় না।
জীবন হচ্ছে এক খল কিন্তু সুন্দর রমনী।
যে তার খল প্রকৃতি দেখে ফেলে
সে তার সৌন্দর্যকে ঘৃনা করতে শিখে।
'জীবনের প্রতি আমার ঘৃণা জন্মেছে' এই সংবাদটি জেনেই ছুটে এসেছে তার সহোদরা মরণ।
ঐতো কালো কুৎসিত মৃত্যু নামক মেয়েটি দরজায় দাঁড়িয়ে । এবার তাকে ফিরাবো কিভাবে ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।