সদ্য তৈরি রুমের জানালার গ্রিলে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে বালিকা । জানালার বাইরেই একটা আম গাছ একটু পরপর নড়ে উঠছে । সেটার পাশের জাম গাছটা বেশ রাশভারী ব্যাক্তিত্ব নিয়ে ভাব ধরে আছে বৈকি !! অনেকক্ষণ পরপর হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে । এই দুই গাছের ফোকাসে সামনে প্রসারিত মাঠ দেখা যায় । খুব বড় না হলেও বড় বড় অট্টালিকার মাঝে এক খণ্ড খোলা মাঠ দেখতে মন্দ লাগে না ।
নিজের রুম ছেড়ে এই মুহূর্তে এখানে আসার কারন হল একটু পরপর মেঘের মৃদু গর্জন ! মেঘের এই মৃদু গর্জন বালিকাকে কারো অভিমানের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে । মেঘের এই হটাত গর্জনে কেন যেন বালিকার মনেহল তার উপর ভীষণ অভিমান করে আছে কেউ । এই মুহূর্তে বালিকা তা অনুভব করতে পারছে । ঠিক আজকের মেঘের গর্জনের মতো। এই গর্জন কেবল রাগের বহিঃপ্রকাশ নয়, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে ক্ষোভ আর ঘৃণা ।
বালিকার অবশ্য এই ক্ষোভ আর ঘৃণা নিয়ে তেমন টেনশন নেই । কারন এই অহেতুক ক্ষোভ আর ঘৃণা থেকে ভালোবাসার অভিমান অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ ।
মেঘ যেমন কিছুক্ষণ গর্জন করেই আবার গর্জনের রেশটুকু ধরে রেখে ফুঁসে ফুঁসে উঠছে। তেমনি বালিকা অপেক্ষা করছে, এই অভিমান টুকুর পরবর্তী বৃষ্টিধারার। হয়তো ঝিরিঝিরি তারপরও কিছুটা বৃষ্টির ফোটা তো মেঘ ফেলবেই নিজের অজান্তে ।
মেঘের এই গর্জনই হল ঝিরিঝিরি বর্ষণের লক্ষন। বাহ !! এইতো দেখি বৃষ্টির সাথে তাল মিলিয়ে ঝরো হাওয়ার নৃত্য শুরু হল । বৃষ্টি মিশ্রিত এই হাওয়া মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি সৃষ্টি করছে । মুঠোফোন হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে বালিকা। মেঘের ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য নয় বরং নিজেকে নিজের কাছে অবরুদ্ধ করার জন্য ।
আজকের এই মেঘের অভিমান কে বুঝতে পেরেও কেন যেন অবুঝ হয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে । এই অভিমানী বৃষ্টি আজ হৃদয় কে ভেজাতে পারছে না। আজ রাতের এই বর্ষণ বালিকার হৃদয় স্পর্শ করতে পারছে না । বালিকার কি হল আজ ?? কেন এই নির্লিপ্ততা ??? মেঘের গর্জন বালিকাকে কেন উদ্বেলিত করতে পারছে না ??? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।