আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাষাসৈনিক ডাঃ ননী গোপাল সাহা আর নেই (...দিব্যান লোকানসহ গচ্ছতু... )

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন ফরিদপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক, অগ্রজ ভাষা সৈনিক ডাঃ ননী গোপাল সাহা আর নেই । সর্বশাস্ত্রে পণ্ডিত বিজ্ঞ এই মানুষটি গতকাল সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সকল মায়া ত্যাগ করে নিকটাত্মীয় ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরলোকগমন করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর । তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি । ডাঃ ননী গোপাল সাহা পেশায় ছিলেন ডাক্তার ।

তাঁর আরেক পরিচয় তিনি একজন বিশিষ্ট সমাজসেবক । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর রচনাবলীর ওপর তাঁর ছিল অগাধ জ্ঞান । আমি নিজে একদিন তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যপূর্ণ বক্তব্য শরবনের সৌভাগ্য অর্জন করেছি । খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২/৩ মাস হবে । প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা কাকুর আমন্ত্রণে ফরিদপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের আয়োজনে আয়োজিত সেই আলোচনা সভায় সদাহাস্যজ্জল এই পণ্ডিতব্যাক্তির জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় রবীন্দ্রনাথকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার ।

সেই থেকে আমি তাঁর খুব ভক্ত । মায়ের থেকে জানতে পারলাম তিনি নাকি আমার বড় মেসোর (অধির বোস) খুব ভালো বন্ধু ছিলেন । তাঁর সাথে মেসোর ঘনিস্টতার সুবাদে মেসোর বাসায় তাঁর নিয়মিত আসা-যাওয়া ছিল । সেজ মাসির অসুখে তিনি চিকিৎসা করেছিলেন । সবাই একে একে বিদায় নিচ্ছেন ।

আমরা ধীরে ধীরে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ছি । ডাঃ ননী গোপাল সাহা আপনি যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন । আমরা আপনাকে খুব বেশী মিস করবো । নয়াদিগন্ত সংবাদঃ ভাষাসৈনিক ও ফরিদপুরের বিশিষ্ট চু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ননী গোপাল সাহা (৮১) আর নেই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি পরলোকগমন করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করতে শহরের ঝিলটুলি এলাকার বাসভবনে যান শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ এবং চলচ্চিত্রনির্মাতা তারেক মাসুদ স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখার কয়েক মিনিট পর তিনি অসুস্থতাবোধ করেন। দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ডা. সাহা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্র থাকাকালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি ৬০ দশকের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং কিছুসময় কারাগারেও কাটান। ৮০’র দশকে সামরিক সরকার তাকে কারাগারে আটক রাখে। তার মরদেহ ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। ভারত থেকে দুই পুত্র দেশে আসার পর তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বাসস ।

লিংকঃ http://www.dailynayadiganta.com/details/63324 ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.