আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
উপকরণঃ
১) ১২৫ গ্রামের সমপরিমাণ সিদ্ধ ছোলা,
২) একটি বড় পিয়াজের অর্ধেক ছোট কুচি করে কাটা,
৩) একটি বড় বা মাঝারি আকারের টমেটো ছোট টুকরো করে কাটা,
৪) ১০০-১২৫ গ্রাম স্লাইসড মাশরুম(ছবির মত),
৫) ৩০-৫০ গ্রাম সয়াবিন বা সানফ্লাওয়ার বা অলিভ অয়েল,
৬) লবণ(১/৪ বা কোয়ার্টার চা চামচ),
৭) ৫০ গ্রাম আদার কুচি,
৮) ৫০ গ্রাম রসুনের কুচি,
৯) হলুদের গুড়া (১/২ বা হাফ চা চামচ)
১০) গরম মসলা (১/২ বা হাফ চা চামচ)।
রন্ধন প্রণালীঃ
প্রথমে পূর্ণ জ্বলন্ত চুলায় রাখা পাতিলে তেল ঢেলে ৩০ সেঃ হতে ১ মিনিট গরম হলে পিয়াজের কুচি গুলো ঢেলে দিন। তারপর যথাক্রমে লবণ, হলুদ, আদা, রসুন এবং গরম মসলা ঢালুন। এক মিনিট হতে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট ভাজুন। এরপর মাসরুম এবং টমেটো ঢালুন।
এগুলো এক মিনিট পর্যন্ত ভাজুন। তারপর সবশেষে সিদ্ধ ছোলা গুলো ঢেলে দিন। সব মিশ্রণকে ২-৩ পর্যন্ত ভালমত নেড়েচেড়ে ভাজুন। মনে রাখবেন চুলার জ্বাল সাপেক্ষে পিয়াজ যেন কালো না হয়ে যায়। লবণ হতে গরম মসলা ঢালার পর পিয়াজ সোনালী রং হওয়ার কাছাকাছি হলেই মাশরুম ও টমেটো ঢেলে দিবেন।
আশা করি উপরোক্ত পদ্ধতিতে মাশরুম, টমেটোর উপাদানে সিদ্ধ ছোলার ফ্রাই খেতে সুস্বাদু লাগবে। দেশে থাকতে হাজার ইচ্ছা তথা শখ হওয়া সত্ত্বেও মায়ের বারণ যে রান্না ঘরে ঢুকে বড় জোর ডিম ফ্রাই ও চা বানানো ছাড়া অন্য কিছু করা যাবে না। অনেক স্বাধীনতা থাকা সত্ত্বেও নিজ আইডিয়া দিয়ে নতুন কিছু রান্না করা তো দূর পুরোনো জিনিস গুলোতেও নতুনত্ত্ব আনতে পারতাম না আর বাংলাদেশে এত জিনিসও দাম বলে কথা নয় সহজ লভ্য ছিল না। কিন্তু মাশাল্লাহ বৃটেনে ৯৯.৯৯% খাদ্যদ্রব্যই(মানে যে গুলো হালাল) পেয়ে যাই। তাই এখন কে রুখবে! সময় সুযোগ হলেই নতুন দুই একটা খাওয়া সহ পুরোনো খাওয়া গুলোকেও একটু মডিফাই করি।
এই রোজাতেও ছোলা সিদ্ধকে নিয়ে এই আইডিয়া জাগে। এখন আর কেন যেন নিজ হাতের রান্না ছাড়া অন্য কারো হাতের রান্না খেতে মন চায় না। নিজের হাতে রান্না করার কি যে মজা সেটা আমি বুঝি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।