আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাশরুম চাষে সমৃদ্ধি

এখানে মাচায় ফুটে আছে সাদা, গোলাপী ও খয়েরি রঙের মাশরুম।

তরুণ সাইফুল যখন মাশরুম চাষ শুরু করেন তখন অনেকে এটাকে পাগলামি বলেছেন। তা ছাড়া প্রথম দিকে ক্রেতাও পাওয়া যেত না। মানুষ জানত না এর উপকারিতা। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া খিদমাহ মাশরুম সেন্টার।

প্রথমে এখানে এত বড় মাশরুম বীজ উৎপাদন সেন্টার, মাশরুম উৎপাদনের জায়গা ও ল্যাব কোনোটাই ছিল না। শুরুটা হয় ২০০৩ সালে। সাইফুল তার নিজের গ্রাম চৌদ্দগ্রামের সোনাপুরে ঘরের বারান্দায় মাশরুমের চাষ শুরু করেন। ট্রেনিং নেন কুমিল্লা মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ উপ-কেন্দ্র থেকে। এরপর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে মাশরুমের উপকারিতা নিয়ে সভা করেন।

ধীরে ধীরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে মাশরুমের গুণাগুণের বিষয়টি। ২০০৮ সালের দিকে বৃহৎ আকারে পাশের চিওড়া গ্রামে মাশরুম চাষ শুরু করেন। সাইফুলের দেখাদেখি এখন আশপাশের শতাধিক লোক মাশরুম চাষ করছেন। তৃণমূল পর্যায়ে চাষি সৃষ্টি করে মাশরুম চাষকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন সাইফুল। মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ উপ-কেন্দ্র কুমিল্লার সহকারী মাশরুম উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া জানান, মাশরুম ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগ প্রতিরোধ করে।

সাইফুল ইসলামের উদ্যোগ বেকার তরুণদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হতে পারে।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।