বাংলা আমার দেশ জামায়াত ইসলামী তার দলের স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী নেতাদের বাঁচাতে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৮২ কোটি টাকার চুক্তি করেছে এবং গতবছর সে অর্থ প্রেরণও করেছে। জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ও বর্তমান ওবামা সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র জেরাল্ড এস জে কেসিডি’র লবিং প্রতিষ্ঠান CASSIDY & ASSOCIATES, INC -এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
এই প্রতিষ্ঠানকে মীর কাসেম আলীর পাঠানো ১৮২ কোটি টাকার রেমিটেন্স স্লিপ থেকে জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো এর আসল উদ্দেশ্য। মীর কাসেম আলী ও CASSIDY & ASSOCIATES, INC -এর মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে যে সব বিষয় উল্লেখ রয়েছে তার মধ্যে মূল বিষয় যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করা হলেও সরকারের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষের চাপ প্রয়োগ উল্লেখযোগ্য।
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের মধ্যে জেরাল্ড এস জে কেসিডি অন্যতম।
২০১০ সালের ১০ মে ওয়াশিংটন ডিসির এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী। চুক্তি অনুযায়ী ৬ মাসের জন্য ফার্মটিকে নিয়োগ দেওয়া হলেও আরও ৬ মাসের জন্য অতিরিক্ত ২৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে তারা জামায়াতের পক্ষে কাজ করবে বলেও উলে-খ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে মোট অংক গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৩৬৪ কোটি বাংলাদেশি টাকায়।
Click This Link
এদিকে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ২০১১ সালে ওয়াশিংটন সফরকালে কেসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস্-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারনন সিমন্স-এর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়।
Click This Link
ধারণা করা যায় যে, জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক মিত্র বিএনপি চেয়ারপার্সনের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কর্তাব্যক্তি ও কংগ্রেসম্যানদের যে বৈঠক হয় তা আয়োজন মীর কাসেম আলী ও কেসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস্-এর মধ্যে সাধিত চুক্তির আওতাতেই হয়েছে।
বর্তমান সরকারের সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টির যে নানাবিধ প্রচেষ্টা চলছে তাতে এসব লবিস্ট ফার্মগুলোর নিশ্চিতভাবেই ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জামায়াত খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে জনমত জামায়াতের বিপক্ষে জেনেই দলটি বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ জনমত গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য তারা বড় অংকের তহবিলও গঠন করেছে বলে প্রমাণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে এ লক্ষ্যে তৎপরতা চলছে।
Click This Link
হাউস অব কমন্সের শক্তিশালী একটি লবিস্ট গ্র“প কাজ করছে এবং তারা যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন শহরে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনও করেছে।
মানবাধিকার নেতা লর্ড এ্যাভবেরীকে নিয়ে জামায়াত ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংস্থাগুলো লন্ডনে একটি সেমিনার থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে মতামত দিলে তা বিপুল সমালোচনার জন্ম দেয় এবং যুক্তরাজ্যের বাঙালি কমিউনিটি এর তীব্র বিরোধীতা করে।
যুক্তরাজ্য জামায়াত ইসলামীর অন্যতম তহবিল সংগ্রহের দেশ এবং এখানে দলটির প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিপুল সংখ্যক ছাত্র লেখাপড়া করছে ও প্রতিনিয়ত দলটির জন্য অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বিএনপির সর্বাত্মক সহযোগিতা। ফলে মার্কিন-বিএনপি-জামায়াত এর ত্রয়ী আতাঁত যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তাপর। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত দেশের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙালিরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিপক্ষে ত্রয়ী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
সূত্র :
১. amarblog.jpg
২. খবরের কাগজ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।