আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই

অতীত খুড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি

উপরের ছবিটার দিকে তাকান। মনে পড়ছে কিছু? স্বাধীনতার ৩৭ বছরের মাথায় একজন মুক্তিযোদ্ধার নাজেহালের দৃশ্য এটা। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী খুনীদের পাশাপাশি যেই দালালদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তাদের রমরমা দেখে এবং নেতানো যৌবনের ক্লৈবতায় এই বৃদ্ধ গর্জে উঠেছিলেন তাদের মাঝে গিয়েই। এরপর তাকে লাথি খেতে হয়েছিলো। মুক্তিযুদ্ধের সময় আলবদরের মতো খুনী তৈরি করেছিলো যেই ইসলামী ছাত্র সংঘ, নামবদলে ইসলামী ছাত্র শিবির হওয়া সেই খুনী সংগঠনের এক নেতার ধৃষ্টতা হয়েছিলো তাকে লাথি মারার।

এই লোকও নেতা হবে একদিন। সংসদে যাবে। মন্ত্রী হবে। কারণ আমি-আপনি তাকে ভোট দিই। আমাদের অন্তর্গত বিভক্তি ও সুবিধাবাদী আচরণে তারা পরিকল্পিতভাবে চলে যায় ক্ষমতার মসনদে।

তারপর বদলাতে শুরু করে ইতিহাস, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় অর্জন। সময় এসেছে ব্যাপারটা আর বাড়তে না দেয়ার। চলুন শুরু হোক সেই অভিযাত্রায় আমাদের মিছিল। শুরু করুন। আমাকেও সঙ্গে পাবেন।

চলুন আরেকটু ঝাপটা মারি ঘুমিয়ে থাকা মননটাকে। পেছনে ফিরে দেখি কিছু দৃশ্য। কারা ছিলো এই আল-বদর? ইসলামী ছাত্র সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বদর হাইকমান্ড) ...................................................................... মতিউর রহমান নিজামী (সারা পাকিস্তান প্রধান) আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদ (পূর্ব পাকিস্তান প্রধান) মীর কাসেম আলী (প্রথমে চট্টগ্রাম জেলা প্রধান ছিলেন, পরে আল বদর বাহিনীর নেতৃত্বের তৃতীয় পদ লাভ করেন) মোহাম্মদ ইউনুস মোহাম্মদ কামারুজ্জামান (বদর বাহিনীর প্রধান সংগঠক) আশরাফ হোসাইন (বদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা ও ময়মনসিংহ জেলা প্রধান) মোহাম্মদ শামসুল হক (ঢাকা শহর প্রধান) মোস্তফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর বদর বাহিনীর অন্যতম নেতা) আশরাফুজ্জামান খান (ঢাকা শহর বদর বাহিনীর হাইকমান্ড সদস্য এবং বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের চিফ এক্সিকিউটর : প্রধান জল্লাদ) ১০.আ.শ.ম রুহুল কুদ্দুস (ঢাকা বদর বাহিনীর অন্যতম নেতা) ১১.সরদার আবদুস সালাম (ঢাকা জেলা প্রধান) ১২.খুররম ঝা মুরাদ (লন্ডনে এখন জামাতের প্রধান সমন্বয়কারী) ১৩. আবদুল বারী (জামালপুর প্রধান) ১৪. আবদুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা প্রধান) ১৫. আবদুল জাহের মোহাম্মদ আবু নাসের (চট্টগ্রাম জেলা প্রধান) ১৬. মতিউর রহমান খান (খুলনা জেলা প্রধান) ১৭. চৌধুরী মঈনুদ্দিন (বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডের অপারেশন ইনচার্জ, জামাতের সাপ্তাহিক দাওয়াত পত্রিকার সম্পাদক ও লন্ডনে জামাতের প্রধান সংগঠন দাওয়াতুল ইসলাম নেতা) এছাড়া ঢাকা শহর বদর বাহিনীর দুই নেতা নুর মোহাম্মদ মল্লিক ও একে মোহাম্মদ আলী এবং রাজশাহী জেলা বদর বাহিনী প্রধান মাজহারুল ইসলামের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি। পরিচিত নাম পাচ্ছেন একটাও? কারা এরা? নীচের লেখাগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন: Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link তাদের হত্যালীলার সাক্ষ্য হয়েছিলো রায়ের বাজার সাংবাদিক আতাউস সামাদ ও একজন শহীদজায়ার মুখে শুনুন তাদের কথা: এই বৃদ্ধ ১৯৭১ সালে মোহাম্মদপুরে আল-বদর সদর দপ্তরের দারোয়ান ছিলেন। শুনুন কি বলছেন তিনি? আল-বদরের হাত থেকে বেচে যাওয়া একমাত্র স্বাক্ষী দেলোয়ার হোসেন।

তার অভিজ্ঞতা শুনুন : অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মুখে শুনুন কেনো তারা বাংলাদেশের এত বড় ক্ষতি করেছিলো : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাদের বিচারের। তিনি সাধারণ ক্ষমা করেছিলেন অবস্থার চাপে বাধ্য হওয়া দালালদের। খুন-ধর্ষণ ও লুটপাটে জড়িত কোনো ঘাতক-দালাল সেই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় পড়েনি। পড়লে ৭৩ সালেই গোলাম আযম দেশে ফিরতো, নিজামী-মুজাহিদ-কামারুজ্জামানরা প্রকাশ্য হতো। তারা অপেক্ষা করেছিলো মুজিব হত্যার, তারপর পছন্দের সরকারগুলোর কাধে চড়ে আখের গুছিয়েছে তারা।

সেই প্রশ্রয়ে আজ তারা সদম্ভে বলে দেশে কোনো যুদ্ধাপরাধী নেই তারই ধারাবাহিকতায় আজ অপমানিত হন একজন মুক্তিযোদ্ধা ব্যাপারটা বন্ধ হোক। অনেক হয়েছে আর নয়। এবার সময় গর্জে ওঠার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় তোলার। সব বিভেদ ভুলে তৈরি হোন মুক্তিযু্দ্ধের শেষ ফ্রন্টিয়ারে।

চলুন যুদ্ধটা শেষ করি। এদের নির্বাচনে প্রতিহত করুন। তারপর চলুন তুলি বিচারের কাঠগড়ায়

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.