আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পোলিও এর দুই ফোঁটা ………..এইডসে আক্রান্ত হওয়ার কারন

বিষয়টি সম্পর্কে যারা অবহিত নয়,তাদের জন্য এ গবেষণা রিপোর্ট টি দৈনিক ‘উম্মত করাচী’ এর পক্ষ থেকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে প্রকাশ করা হচ্ছে । রিপোর্ট টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সুদক্ষ বিজ্ঞানীদের মতামত অবলম্বনে নেয়া হয়েছে । তাই এর বিপরীতে কোন অজানা জ্ঞানী ব্যাক্তির ফতোয়া বা কোন রাজনৈতিক নেতা কর্তৃক দেয়ালের পোষ্টার গ্রহনযোগ্য নয়। রোগাক্রান্ত ব্যাক্তিদের এই আন্তর্জাতিক সমস্যার কারনে শুধুমাত্র আফ্রিকার দারিদ্র পিড়ীত ও মূর্খ জনগোষ্ঠী মানুষই শিকার হয়নি ;বরং বিশ্ব জুড়ে বড় বড়-ব্যক্তির বর্গ, সুদক্ষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গন এবং বিশ্ব জনগোষ্ঠী রক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল গন প্রথম দিন থেকেই পোলিও কে মানবতার বিরুদ্ধে সুগভীর ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। অথচ ঐ সকল সু প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিদের মতামত কে উপেক্ষা করে মিডিয়া যথারীতি জনগনের সামনে হরহামেশা প্রচার করে যাচ্ছে ।

বিশ্ব আফ্রিকার কয়েকটি বড় জনগোষ্ঠীকে এর কবলে পরে ধ্বংস হতে দেখেছে। রুচিশীল গবেষকদের দাবী- আফ্রিকার ঐ সকল জনগোষ্ঠীর ৫০%-ই নিঃশেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য গবেষকদের মতে- প্রায় ৭০% -ই ধ্বংস হয়ে গেছে। যাঈর , ঊগাণ্ডা এবং দক্ষিণ সুদানের জনগোষ্ঠী এ পরিস্তিতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে-এ পরিস্তিতি গুলো কি শুধুই ঘটনা ক্রমে ঘটে গেছে ?? ১৯৬৭ সালে সবুজ বানর লালন পালনের দায়িত্বে নিয়োজিত সাত জন গবেষক অজানা ও রহস্যময় হাইমোরজেকে ফিঊরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ।

এ গবেষকগণ জার্মানীর বিখ্যাত শহর ‘মারবারাক’ গবেষণার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। এর ঠিক ২ বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৯ সালে রহস্যময় এই হাইমোরজেকে ফিঊরে আক্রান্ত হয়েই দশ হাজার মানুষের প্রানহানী ঘটে । এ সবই কি ঘটনা ক্রমে ঘটে গেছে ??!! অতঃপর ১৯৭৬ সালে হাইমোরজেক ফিঊরেরই আরেকটি ভাইরাস দক্ষিণ সুদানে পরে যাঈর এলাকায় মানুষের লাশের স্তূপ বানিয়ে দেয়। এর কিছু কাল পূর্বেই ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গোটলিপ স্বীয় অপরাধ স্বীকার করতে গিয়ে বলেছিল যে,১৯৬০ সালের মাঝামাঝিতে সে যাঈরের কঙ্গো সাগরের পানিতে বিশাল পরিমান ভাইরাস মিশিয়েছিল। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কঙ্গো সাগরের পানি বাবহারকারী মানুষদের কে ভাইরাসে আক্রান্ত করার জন্যই সে এমনটি করেছিল।

পরে শাস্তি হিসাবে ডাক্তার গোটলিপ কে ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনষ্টিটিউটের সভাপতি বানিয়ে দেয়া হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে দক্ষিণ সুদানে ৬০০০০ মানুষ এইডস সদৃশ এক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। পরে রোগটির নাম দেয়া হয়-the killer বা হত্যাকারী ব্যাধি। কাল বৈশাখীর ন্যায় গ্রামের পর গ্রাম বংশের পর বংশ কে সে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। এই ব্যাধির নিদর্শন ঠিক এইডসের মতই ছিল।

এর মাধ্যমে মানুষের immune সিষ্টেম ধ্বংস হয়ে যায় এবং দ্বিতীয় একটি ইনফেকশান দেহে প্রবেশ করে প্রান কে কেড়ে নেয়। মধ্য আফ্রিকা অঞ্চল থেকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত পুরো এলাকা খনিজ সম্পদে ভরপুর। ঐ সকল এলাকাতে আশ্চর্য ও অস্বাভাবিক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়া এবং পরে তা সম্পূর্ণ ধ্বংসের কবলে পড়ে যাওয়া , ফলশ্রুতিতে হাজারো ,লাখো মানুষের মৃত্যু ঘটা,এ সব কি ঘটনা ক্রমে ??!! শুরুতে এইডস ব্যাধিকে অবাধ যৌনচারে লিপ্ত ব্যাক্তিদের ব্যাধি বলে নাম দেয়া হয়। এইডস ভাইরাস কি আসলেই কি প্রকৃতিগত ভাইরাস,যা আফ্রিকার সবুজ বানর কর্তৃক এক মহিলা কে কামড় দেয়ার ফলে ছড়িয়ে পড়েছিল ??!! ১৯৮৩ সালে ডাক্তার ‘স্ক্রেট’ লস এঞ্জেলসে ‘গেসটার’ ভাইনটিযোলোজী নিয়ে গবেষণা করতেন,তিনি একজন সুদক্ষ প্যাথোলোজিষ্ট এবং ফার্মালোজীতে পিএইচডি করা প্রসিদ্ধ গবেষক। তিনি এবং তার ভাই ‘অটরী ট্রেড সিকিউরিটি প্যাসিফিক ব্যাংক অফ কার্লিফর্নিয়া’র হেলথ মেইনটেইন্স অর্গানাইজেশনের জন্য কিছু ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত করেছিল।

এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপর গবেষণা করে দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া যাচাই করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। ১৯৯৩ সালে এইডসের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যাদি ডাক্তারদের হাতে ছিলনা। এই দুই ভাইয়ের কাছে একটি অপশনেই ছিল যে,তারা উভয়ই যেন শুধু মাত্র নতুন ভাইরাসের ডাক্তারি লেট্রচারীর উপর গবেষণা করে,গবেষণার সূত্রপাত ঘটেছিল এক বিস্ময়কর রহস্যের মধ্য দেয়ে। বিশ্বাস করাটা তাদের জন্য কল্পনার ছিল। এই দুই ভাইয়ের জানা ছিলনা যে গবেষণাটি তাদের জীবনের ধারাই পরিবর্তন করে দেবে।

তাদের কে পাঁচ বছর পর্যন্ত এমন এক পরীক্ষার মধ্য দেয়ে অতিক্রম করতে হবে যার সমাপ্তি ঘটবে “the scrutar memorandum” আবিস্কারের মধ্য দিয়ে। ‘the scrutar memorandum” ভিডিও টি যুগের সবচে মতানৈক্য বিষয় বলে বিবেচিত। এই ভিডিও টি এমন একটি স্মরণীয় ব্যবস্থা ও অস্তিত্ব লাভ যাকে ‘’THE BIO ATTACK ALERT’’ নাম দেয়া হয়। মেডিক্যাল লেট্রিচার স্টাডি কালীন সময়েই দুই ভাইয়ের কাছে এ বাস্তবতা ধরা পরে যে,এইডস ভাইরাস সম্পর্কে আসলে আরো কয়েক বছর পূর্বেই পরিচয় ঘতেছিল। এরপর W.H.O এর বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে তাদের কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত পেশ করা হয়।

দরখাস্তে বিজ্ঞানীরা সংস্থার পক্ষ থেকে এইডস জাতিয় ভাইরাস আবিস্কার এবং মানুষের উপর তার প্রতিক্রিয়া বিস্তার নোট করার জন্য অনুমতি প্রার্থনা চাওয়া হয়। পরবর্তীতে ডাক্তার স্ত্রেট এমন হাজারো প্রমানাদী পেশ করেছিলেন। যার মাধ্যমে একথাই সাব্যস্ত করেছিলেন যে,এইডস ভাইরাস হচ্ছে মূলত মানুষেরই আবিষ্কৃত এক ভাইরাস। ভিডিও টি বিশেষত ডাক্তারদের জন্য খুবি গুরত্বপূর্ণ। একদিকে ডাক্তার স্ক্রেট একের পর প্রমানাদী আবিস্কার করেছিলেন যে,এইডস মানুষেরই আবিষ্কৃত এক ভাইরাস।

অপরদিকে বিশ্বজুড়ে সরকারী কর্মকর্তা, ডাক্তার এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণকে একথা শুনানো হচ্ছিল যে,একটি বন্য সবুজ বানর ওখানকার স্থানীয় মহিলাকে কামড় দিলে তিনি এইডস আক্রান্ত হয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। তার গবেষনায় আরো ধরা পড়েছিল যে এই ভাইরাসটি ল্যাবরোটোরীর মধ্যে শুধু আবিস্কারই হয়েছিলনা;বরং একে ব্যাবহার পর্যন্ত করা হয়েছিল এবং আবিষ্কারকগণ জানত যে এটি মানব সন্তানের জন্য অত্যন্ত বিপদজ্জনক। পরবর্তীতে ডাক্তার স্ক্রেট আমেরিকার প্রেসিডেন্ট,ভাইস প্রেসিডেন্ট গভর্ণর, সিনেটর ডাক্তার এবং মেডিক্যালের বরাবরে বহু চিঠি প্রেরন করলেও তারা বিষয়টিকে কোন পাত্তা দেয়নি। এতসব পত্রের মধ্য থেকে শুধু মার্কিন গভর্ণরদের পক্ষ থেকে তিনটি চিঠির উত্তর দেয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ এই রিপোর্ট টি ১৯৮৭ সালের ১১ মে লন্ডনের পত্রিকা ‘’the times’’ এর ফ্রন্ট পেজে ছাপা হয়। যার শিরোনাম ছিল “ সুস্থতার জন্য ব্যবহৃত ভাইরাস এর মাধ্যমে এইডস ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে” পেরিস রাইট এর এ রিপোর্ট অনুযায়ী W.H.O এর এক কলসালটেন্ট বিভিন্ন সংগঠনকে রিপোর্ট প্রদান করে যে,জিম্বাবুয়ে,জাঈর এবং ব্রাজিল এ ভেক্সিনেশান এবং এইডস ভাইরাস ছড়ানোর ব্যাপারে সন্দেহ ছিল। গবেষণার পর সন্দেহগুলো ঠিক প্রমাণিত হয়। কলসালটেন্ট W H O এর কাছে রিপোর্ট টি পেশ করলে W.H.O তা প্রকাশ করেনি, (সূত্র http://www.health.org.nz/aids.html) পেরিস রাইট এরপক্ষ থেকে পরবর্তীতে কিছু প্রশ্ন তোলা হয় যে, ব্রাজিল কেন ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সবচে বেশি এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হল ??!! হাইতি থেকে আমেরিকার পর্যন্ত এইডস এর রোড কি ভাবে সৃষ্টি হল ??!! ব্রাজিলই ছিল ল্যাটিন আমেরিকার একমাত্র দেশ ; যে ভ্যাক্সিনেশন গ্রহন করেছিল এবং তারাই এইডসে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল। এ সব কি ঘটনা ক্রমে ঘটে গেছে ??!! আফ্রিকার জাঈরে ৩৩ মিলিয়ন, জিম্বাবুয়েতে ১৯ মিলিয়ন তানজানিয়ায় ১৪ মিলিয়ন পোলিও টিকা বিতরণ করা হয়।

রাইটের মতে একই মাসে জেনেভায় এক মিটিং এর পর ৫০ জন বিশেষজ্ঞ ঘোষণা করা যে, দক্ষিণ আফ্রিকার ৭৫% লোক পরবর্তী ৫ বছরে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত হবে, এবং তাই ঘটেছিল। এ সব কি ঘটনা ক্রমে ??!! ১৯৬৯ সালে মার্কিন চিকিৎসা বিষয়ক ম্যাগাজিন “জেনারেল মেডিক্যাল নিউজ” এ ইউনিভার্সিটি অফ সেডর্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ডাক্তার ভেলার ডেলমার মেলজিট” এর রিপোর্ট ফ্রন্ট পেজে এ ছাপানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৮ জন মানুষের উপর পরীক্ষা চালালে সাব্যস্ত হয় যে, এ জাতিও ভেক্সিন কান্সারের কারন। তাদের শরীরে কান্সারের প্রাথমিক লক্ষ্মণ ধরা পরে। ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে মার্কিন সেনা বাহিনীর অ্যাডভান্স রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি (ARPA) এর ডাইরেক্টর “ ডক্টর মেক আর্থার’’ কংগ্রেসের সামনে বিবৃতি দেন যে , এজেন্টগুলো aids ছিল।

ARPA কর্তৃক এইডস নামক জনসেবা মূলক এ এজেন্ট তৈরি করার জন্য দশ লাখ ডলার চাওয়া হয়। ডক্টর এ কথাটিও পর্যন্ত বলেছিল যে, ইস্যুটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমধর্মী, যদ্দরুন অনেকেই এর বিরোধ করেছেন। বিষয়টি পৃথিবীর বড় বড় জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দেয়ার ষড়যন্ত্র ছিল। ১৯৬১----১৯৬৮ পর্যন্ত যখন পেন্টাগন এ বিষয়গুলো নেয়ে গবেষণা হচ্ছিল, তখন রবার্ট ম্যাক সেক্রেটারি অব ডিফেন্সের দায়িত্বে ছিল। ১৯৬৯ সালে ক্লার্ক কেলি ফোড নামক অপর ব্যাক্তির স্থলাভিষিক্ত হয়।

১৯৭০ সালের ২ অক্টোবর ম্যাক ঘোষণা করেছিল যে, “নিশ্চিত ভাবে এখন পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছেনা, তবে পৃথিবীর অধিবাসী ১০ লক্ষ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাওয়া থেকে মাত্র ২ টি পদ্ধতিই বাঁচাতে পারে, ১) বিশ্ব জুড়ে জন্মহার কে দ্রুতগতিতে নিচে নামানো হোক। ২)মৃত্যুর উপকরণ গুলো বিশ্ব জুড়ে বেশি করে ছড়িয়ে দেয়া হোক, এছাড়া আর কোন রাস্তা নেই। দীর্ঘ এ আলোচনার মাধ্যমে ৩ টি পয়েন্ট আমাদের সামনে এসেছে । প্রথমে এ গুলো নোট করে নিন। ১) প্রথম যখন কংগ্রেসের সামনে ডক্টর ম্যাক জনসেবামূলক এজেন্টদের প্রসঙ্গ উঠান ;তখন ম্যাক সেক্রেটারি অব ডিফেন্সের দায়িত্বে অর্থাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ব্যক্তি।

২)জনসেবামূলক এজেন্ট গুলো তৈরির ব্যাপারে ১৫ মাস অতিবাহিত হয়েছে, তখন ম্যাক world bank এর সভাপতি ছিল। world bank ই একমাত্র সংস্তা যারা পৃথিবীর অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে। ৩)ম্যাক দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া জনবসতিকে ভবিষ্যতের জন্য সবচে বড় হুমকি বলে আখ্যায়িত করে। এগুলো কন্ট্রোলের মাত্র ২ টি পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। Promise and power হচ্ছে ম্যাক এর সংক্ষিপ্ত জীবনী।

Deborah shapleyএর লেখা “ লিটল ব্রাউন বুস্তানে ‘’ বই টি ১৯৯৩ সালে ছাপানো হয়। এই বইতে ম্যাকের নানা পলিসি তুলে ধরা হয়। যেখানেই জনসংখা অধিক হারে বেড়ে যাওয়ার বিষয় উঠেছে, সেখানেই ম্যাক অধিবাসী হ্রস করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। বইটার কিছু চুম্বুক অংশ লক্ষ করুন। ১৯৬৬ সালে ম্যাক পৃথিবী বাসী কে এই বলে সতর্ক করেন যে ,পৃথিবীর অধিবাসী GNP এর বিপরীতে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর তাই world bank কে এই বিষয়ে বাস্তব মুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। ১৯৬৯ সালে ইউনিভার্সিটি অফ নটরডোমের গভর্ণরদের সামনে ভাষনে ম্যাক বলেন, জনবসতির বিস্ফোরণ এটম বোমা বিস্ফোরণের চাইতেও ভয়ানক ব্যাপার। ম্যাক তার ভাষনে আরো বলে,যে সকল বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, তারা জীবিত অশিক্ষিত ও দুর্বল প্রকৃতির বাচ্চাদের থেকে বেশী ভাগ্যবান । Deborah shapley আরো বলেন যে, ম্যাকের এ দর্শন গুলো সম্পূর্ণ নতুন ইস্যু ছিল। ১৯৭৩ সালে ম্যাক world bank কে বিষয়ে দায়িত্ব প্রদান করে যে, world bank যেন বিশ্বের বৃদ্ধি পাওয়া জনগোষ্ঠীর বিষয়টি খাদ্যাভাব এবং দারিদ্রতার সাথে সম্পৃক্ত করতে সকল প্রচেষ্টা ব্যয় করে ।

১৯৭৩ সালে কেনিয়াতে world bank এর বাৎসরিক বৈঠকে ম্যাক একটি থিসিস (quantitative goals for population) পেশ করে। অতঃপর নাইরোবি এবং ম্যাকের জনগোষ্ঠী কন্ট্রোলের ৫ বছর পূর্ণ হল, ঘটনার সাদৃশ্য লক্ষ করুনঃ পরবর্তীতে কেনিয়াতে এইডস ভাইরাসের প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসাবে স্বীকৃত হয়। কেনিয়া ও উগান্ডা হচ্ছে ঐ সকল দেশ এইডস মহামারীর রুপ ধারন করে আছে। বর্তমান সময়ে ওখান কার ৫০% এর বেশি লোক এইডসে আক্রান্ত। ১৯৭৪ সালে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়- WHO Murdered AFRICA?? ডক্টর উইলিয়াম ক্যাম্পবেলের এই রিপোর্ট টি পশ্চিমা বিশ্বে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দেয়।

তিনি রিপোর্টটিতে লিখেন HIV টি গবেষণার শেষ ১৯৭৪ সালে তৈরি করা হয়। তিনি আরো বলেন, প্রথমে এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎবানী করা হয় । অতপর তা প্রস্তুত করার জন্য আবেদন জানানো হয়,পরিশেষে তা তৈরি করা হয়। তিনি আরো বলেন, এইডস ভাইরাস তৈরির বিষয় টি কোন দুর্ঘটনা ছিলনা যে, WHO এর গবেষণার এক পর্যায়ে তা আবিষ্কার হয়ে গেছে; বরং এটি অত্যন্ত গভীরভাবে গবেষণার পর তৈরিকৃত হত্যাকারী এক ভাইরাস ছিল,আর আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে এরই সফল পরীক্ষা চালানো হয়। ১৯৭০ সালের পর থেকে WHO এর পক্ষ থেকে পোলিও টিকার খাওয়ানোর পর থেকে আফ্রিকাই এইডস ছড়ানো শুরু করে।

এটি কোন অঘটন ছিল না বরং জেনেশুনে এমনটি করা হয়েছিল। পাঠকদের জন্য ইলেন কেন্টল এর aids and doctors of death: an inquim info the origin of aids epidemic বইটা অধ্যয়নে উপকার আসতে পারে। ক্যান্সার রিসার্চের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক সিটি ,লস অ্যাঞ্জেলস এবং সান ফ্রান্সিসকো শহরে সঙ্গমে অভ্যস্ত মানুষের মাঝে হেপিটাইটিস বি ভেক্সিনের মাধ্যমে এইডস ছড়িয়ে দেয়া হয়। আর আফ্রিকার অধিবাসীদের মাঝে হয়েছিল তা ইলেন কেন্টল এর বইয়ে প্রমান সহকারে বিদ্যমান আছে। তিনি ষড়যন্ত্রটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার কর্তৃক সার্বিক সহযোগিতার বিষয়টিও প্রমান করেন।

ডক্টর পিটার ডিউযবার্গ ও তার বন্ধু ওয়ালটার গাল ব্রিট(নোবেল বিজয়ী) উভয় বিজ্ঞানী মিলে এইডসের প্রকৃত রুপ জনসম্মুখে প্রকাশ করলে তাদের সাথে ঘৃণ্য আচরণ করে গবেষণার জন্য প্রদান কৃত ফান্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাসুল কারিম সাঃ বলেন,” রোগব্যাধি অবশ্যই ছড়িয়ে পড়বে,এমন কি মানুষ একে মহামারী মনে করবে (দ্রুত ছড়ানোর কারনে)’’ ( مصنف عبد الرزاق،ج: 3ص: 597) ১৯৭২ সালে WHO আফ্রিকায় ভ্যাক্সিনেশনের কার্যক্রম শুরু করে এবং লাখো মানুষের দেহে HIV ছড়িয়ে দেয়। পোলিও ফোঁটার ব্যাপারে যদি গভীর ভাবে লক্ষ করা যায়- কাফেরদের সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করা হচ্ছে। এটা আবার কেমন সহমর্মিতা খেতে না চাইলে পুলিশের আশ্রয় নিয়ে জোর করে হলেও খাওয়ানো হয়। আবার ডিজিটাল সিস্টেমে প্রতিটি শিশুর ডাটা রাখা হয়।

আল্লাহর দোহাই লাগে আপনার ছোট শিশুটিকে পোলিও টিকা থেকে দূরে রাখুন। আপনার প্রিয় নবী সাঃ এর দুশমনরা নবীর উম্মত কে ধ্বংস করে দিতে চায়। ওরা মানবতার শত্রু। সুতরাং আপনি ওদের দুশমন বলে চিহ্নিত করুন এবং তাদের বিরোদ্ধে অবস্থানকারীদের কাতারে দাড়িয়ে যান। আল্লাহর দোহাই লাগে………………………………… আপনার সন্তান কে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার।

(সংকলিত,পরিমার্জিত ও বর্ধিত ) বিঃদ্রঃ এটাই আমার প্রথম পোস্ট তাই ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.