আমি মুহাম্মদ সাঈদ আরমান। পেশায় নেটোয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর। প্রবাসে থাকি। ছোটদের জন্য ছড়া লিখতে ভালোবাসি।
চলছে লড়াই চলছে
বাঘ-শিয়ালে লড়ছে ।
বাঘের থাবা থামে না
শেয়াল মশাই বাগে না।
‘টক্কি-টাক্কু’ সুশীল দল
জোরসে ফুঁকে মন্ত্র বল।
কি যে হবে লড়াই ফল?
দেশটা বুঝি হয় অচল।
আর জানি না…………………
ছোট্ট একটা গল্প শেয়ার করিলাম।
গ্রামের মদন মিঞা ফুটবল খেলায় একটা গোল করিয়া এক খানা মেডেল পাইয়াছে।
গোল কেমন করিয়া করা হইয়াছে তাহা লইয়া অনেকের মনে সন্দেহ থাকিলেও সবাই মানিয়া লইয়াছে। ম্যারাডোনার ইশ্বরের হাতে করা সেই স্মরণীয় গোলের মত। মদন গাঁয়ের নাম উজ্জ্বল করিয়াছে। সারা গাঁয়ে আনন্দের বন্যা।
ঘুম নাই চেয়ারম্যান কন্যা মজিনার।
মজিনা বিবির দাবী ‘যেমন খুশি সাজ’ খেলায় মেডেলটা তাহারই পাওয়া উচিৎ ছিল। মজিনার বাবা গাঁয়ে স্কুল না দিলে খেলা হইত না। মদনও মেডেল পাইত না। মদন মিঞার দাবী সে নিজের যোগ্যতার বলে মেডেল পাইয়াছে। মজিনা হিংসায় জ্বলিতেছে।
বিতণ্ডা বিবাদে রূপ নিয়াছে। অশান্তির দাবানল গাঁ জ্বালাইয়া ছড়াইয়া পড়িয়াছে অন্য গাঁয়ে।
এক দরবেশ আসিয়া গ্রামবাসীকে আদেশ করিলেন ‘শান্তি ফিরাইয়া আনিতে চাহিলে মেডেল খানা যেই দোকান হইতে খরিদ করা হইয়াছে সেই দোকানে ফিরাইয়া দিয়া আইস”। মেডেল খানা ফিরাইয়া দেওয়া হইলে গ্রামে শান্তি ফিরিয়া আসিবে কিনা ইহা লইয়া গবেষণা শুরু হইয়াছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।