জীবন এক প্রবাহমান নদী, এখানে দু:খগুলো ভাটার মত, যা বাধ দিয়ে সংরক্ষনও করতে পারেন আবার জোয়ারের অপেক্ষায় ধৈর্যও ধরতে পারেন । নাস্তিক: ইশ্বর কিসে খুশি হন ? আস্তিক: কোটি টাকার প্রশ্ন ! উনি খুশি হন যখন লোকে উনাকে ভয় করেন, উনার উদ্দেশ্যে কীর্তন করেন । উনার কাছে যখন মানুষে কিছু চায় ...তখন উনি খুশি হন । নাস্তিক : মানুষে অভুক্ত থাকলে ইশ্বর খুশি হন ! পশুর রক্তে উনি সন্তুষ্টি খোজেন ! উনি সর্বশক্তিমান তারপরেও কেন উনার এত আরাধনার দরকার হয় ! বুঝি না ! কেন উনার এত তেলের দরকার হয় ? আস্তিক: কোন মানুষ অভুক্ত থাকলে অন্য মানুষের ক্ষুধার কথা বুঝতে পারে, উৎসর্গকৃত পশুর মাংস কিন্তু ইশ্বর নয় মানুষেই খায় ! মানুষ যখন ইশ্বরের প্রশংসা করেন তখন তার মধ্যে অন্যের প্রতি প্রশংসনীয় দৃষ্টিতে তাকানোর ক্ষমতা অর্জিত হয় , মানুষে অন্যের সৎকর্মের প্রশংসা করে । নাস্তিক : তার মানে ধর্ম কি মানুষের জন্যে ! বুদ্ধিমান মানুষেরা নিজের কল্যাণের জন্য ধর্ম সৃষ্টি করেছেন ? আস্তিক : হতে পারে, তবে মনে রেখ, মরার পর যদি দেখ ইশ্বর বলতে কেউ নেই তাহলে নাস্তিকের যে গতি আস্তিকেরও সে একই গতি । আর যদি দেখ ইশ্বর বলতে সত্যিই কেউ আছেন তাহলে আস্তিক’ত পার পেয়ে যাবেন কিন্তু নাস্তিকের কি গতি হবে ! ভেবে দেখ ! নাস্তিক : আচ্ছা ! যে আস্তিকগন আল্লাহতে বিশ্বাস করেন তাদের কথা বলছেন’ত নাকি কৃষ্ন,যীশু সহ হাজারো ধর্মে যে সমস্ত আস্তিকেরা বিশ্বাস করেন তাদের কথা বলছেন ? আস্তিক : স্বাভাবিক ভাবেই ইশ্বর যখন আছেন তখন এটা নিয়ে ভূল ধারনা মানুষের মাঝে থাকতেই পারে, তাই যারা ভূল ধারনা নিয়ে আছেন তাদের গতিও নাস্তিকের গতি মতেই হবে । নাস্তিক : শেষ পর্যন্ত সব আস্তিক নিজের ঢোল’ই কেন বাজায় বলেন’ত !! আস্তিক : কথা সত্য তবে সবশেষে সব নাস্তিকেরাও আপনার বাজানো ঢোলই বাজায়, শেষে মানবতার গানই বাজায় ! নোট: তর্ক করলে তর্ক ফুরায়না.... আর যে অন্ধ বিশ্বাসী তার তর্কও অন্ধভাবে জেতার জন্যে হয় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।