প্রেমের জ্বালায় সুবর্ণা সরকার নামের এক বিউটি পারলার কর্মী সোমবার বংশাল থানার ৪নং আব্দুল হাদী লেনে আত্মহত্যা করেছে। বংশাল থানা সূত্র থেকে জানা যায়, তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার আলমাপাড়া গ্রামে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিল সে। বাবার নাম রতন সরকার। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হলেও মুসলিম ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়েছিল সে।
এ সম্পর্কে ছিল প্রতিশ্রুতি, ছিল ঘর বাঁধার স্বপ্ন। ধর্ম ত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সুবর্ণার সে স্বপ্ন শেষ অবধি অধরাই রয়ে গেল।
সব স্বপ্নের গ- পেরিয়ে তাকে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়েছে। চার বছর ধরে আবদুল হাদী লেনের ‘রাঙ্গুলি বিউটি পারলার’-এ কাজ করত সুবর্ণা। কাজ শেষ হলে পারলারেরই একটি রুমে ঘুমাত সে।
মঙ্গলবার রাঙ্গুলি পারলারে গিয়ে এ প্রতিবেদক কাউকে পায়নি। বংশাল থানার এসআই রাজ্জাক অপরাধকণ্ঠকে জানান, গত সোমবার সকালে একজনের টেলিফোন পেয়ে পারলারে গিয়ে সুবর্ণা সরকারের লাশ উদ্ধার করা হয়। শরীরে তার কোনো ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি।
লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, সুবর্ণা আত্মহত্যা করেছে। রাঙ্গুলি পার্লারের আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছরখানেক আগে বংশাল এলাকার এক যুবকের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ধীরে ধীরে সেই সম্পর্ক গভীর হয়। দুজন একসাথে দূরে কোথাও গিয়ে মেলামেশা করত বলে সুমনা নামের তার এক বান্ধবী অপরাধকণ্ঠকে জানিয়েছে। এর ভিতরেই সুবর্ণা সরকার জানতে পারে, তার ভালোবাসার মানুষটি অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে সংসার সাজায়।
এ ঘটনা জেনে সুবর্ণার বুক ভেঙে যায়। কাজে মন বসাতে পারত না।
সবসময় অস্থির অস্থির মনে হতো বলে জানিয়েছে সে। তবে স্থানীয় কেউ মুসলমান এ যুবকটিকে চেনে না কিংবা তার নামও জানে না। সুবর্ণা সরকার আর্থিক কারণে পারলারে চাকরি করলেও সে তার ভালোবাসার মানুষটির জন্য ধর্মও ত্যাগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে না পেয়ে সুবর্ণা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ভালোবাসার মানুষের শূন্যতায় কী হবে জীবন রেখে? এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুবর্ণার বাবা রতন সরকার ঢাকা এসে পৌঁছেননি।
বংশাল থানার ওসি জমির উদ্দিন সরকার এ ব্যাপারে অপরাধকণ্ঠকে জানান, শুনেছি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তার লাশ ঢাকা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সঠিক কারণ বলা যাবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।