রহিম সাহেবের ৫ সন্তান। প্রথম চার জনই মেয়ে। অতঃপর একটা ছেলে হলো। বুঝাই যাচ্ছে, উনারা পর পর সন্তান নিয়েছেন একটি ছেলে সন্তানের আশায়। ছেলে না হলে বংশের বাতি জলবে কিভাবে?
ফারুক সাহেবের ৪ সন্তান, প্রথম ৩টা মেয়ে, ২ বছর পর পর জন্ম হলো, এবং শেষে একটা ছেলে।
তারাও একটা ছেলে সন্তানের জন্য উদগ্রীব ছিলো।
হয়ত ছেলেটা যদি আরো আগে জন্মাত, তাহলে উনারা এতোগুলো সন্তান নিতেন না। রহিম এবং ফারুক সাহবে উভয়ই পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিয়ে জানতেন, একাধিক সন্তানের সমস্যা নিয়েও জানতেন। কিন্তু বংশরক্ষার ব্যাপারটা?
যদিও ভাই বোনদের মাঝে ২ বছর করে বয়সের তফাৎ, কিন্তু সবচেয়ে ছোট মেয়েটা দেখতে পেলো, তার ভাই আদর সোহাগ সবকিছু বেশি পাচ্ছে মা বাবার। একসময় মনে হচ্ছিলো, তার জন্মের কোনো দরকার ছিলো না, সে ভুলক্রমে এই পৃথিবীতে চলে এসেছে, কারণ তার পিতামাতা তো জন্মের আগে তাকে চায় নাই, তারা চেয়েছিলো তার ভাইকে।
সে এই পরিবারে অনাকাংখিত।
তারপরও ধন্যবাদ জানাতে হয় ঐ পিতামাতাকে, যারা ছেলে সন্তানের আশাতে তাদের গর্ভস্হ মেয়ে সন্তানকে নষ্ট না করে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছে।
প্রত্যেক পিতামাতার উচিত, তার সব সন্তানের প্রতি সমান আদর দেয়া, নজর রাখা কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্হাতে সেটা করা হয় না। ছেলে মেয়ে সবাইকে সন্তানতুল্য চিন্তা করা উচিত। ঈদে কাপড় চোপড় কিনে দেওয়ার ক্ষেত্রে এমনটা করা উচিত নয়, যাতে কোনো সন্তান মনে কষ্ট পায়।
শেষ কথা: বৃদ্ধকালে একজন মেয়ে তার মা বাবার প্রতি যতটুকু যত্ম নেয়, একজন ছেলের পক্ষে সেটা সম্ভব নয় কখনো। ছেলের বউ এর কথা বাদই দিলাম। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।