ভুল করেছি,প্রায়শ্চিত্য করবো না, তা তো হয় না বলা হয়ে থাকে ঢাকা ও এর আশেপাশে বস্তিবাসী ও ভাসমান লোকের সংখ্যা ৫০ লক্ষ, ক্ষুধার তীব্র জ্বালা সত্বেও এদের অধিকাংশই অপরাধে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে. পাপ করলে মৃত্যুর পরে সাজা ভোগ করতে হবে এই বিশ্বাস যদি তাদের মধ্যে না থাকত তাহলে দেখা যেত চুরি, ছিনতাই কাকে বলে কত প্রকার কি কি?? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও... এর কারন পেটে ভাত না পড়লে মানুষের বিবেকবোধ লোপ পায়, তখন অধিকাংশ মানুষেরই মানবিকতা, ফানবিকতা, ন্যায়-অন্যায় নামক বিষয়গুলি আর মাথায় কাজ করে না! ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে অনেক পকেটমার সিলেটে শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে ট্রেন যাত্রার সময়/ টঙ্গীতে এজ্তেমার সময় সুযোগ পেয়েও পিকপকেট থেকে বিরত থাকে যদিও হাত চুলকানিতে ভুগে/নিস ফিস করে. মনে প্রশ্ন আসে তাহলে ১৫০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন কিভাবে তার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এতদিন কন্ট্রোল করেছে, ওখানে তো অপরাধ মহামারী আকারে দেখা দেয় নি; হ্যাঁ কথা সত্য এর কারন তাদের সরকারী আইন-কানুন এত বেশী স্ট্রিক্ট যে পরকালের আজাবে বিশ্বাসী না হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র কঠোর আইনের অনুশাসনের কারনে তা সম্ভব হয়েছে, একইসাথে সরকার মানুষের জন্য কাজের ব্যবস্হাও করেছে. যদি আইনের ফাঁক ফোকর পায় তাহলে অভাবী মানুষদের দ্বারা কি ঘটে সেটা আমরা কাটরিনার সময় আমেরিকাতে দেখেছি কিভাবে জিনিসপত্র লুন্ঠন হয়েছে কিংবা ইংল্যান্ডে দাঙ্গার সময়ও সেটাই দেখা গেছে. অথচ বাংলাদেশে বছর বছর বন্যা হওয়া সত্বেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দ্বারা ইউএসএ এর মত ঘটনা ঘটে না ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে. দরিদ্র জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশ মাজার, পীর বাবা, একটু কিছু হলেই খাজা বাবার দরবারে মানত করায় বিশ্বাসী; যদি ধর্মীয় বিশ্বাস না থাকত তাহলে এদের এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে যারা রুটি রুজি করে খাচ্ছে তারা পথে বসত তখন একান্তই বাধ্য হয়ে তাবিজ কবজ, পানি পড়া, গায়ে ফুঁ, সূতা বাঁধা তথা সব মুসকিল আহসানের ধান্ধা বাদ দিয়ে গতর খাটিয়ে কাজ করে খেত যা দেশের জিডিপি বাড়াত. নশকাবন্দিয়া, মুজাদ্দিদা সহ সব তরিকার বাবাদের ওরসের মাধ্যমে ধনী হওয়া আর হইত ন কিংবা বাবার সান্নিধ্য লাভের কথা বলে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের মুরাকাবা করার সময় দেহ আংশিক/পুরোপুরি অবলোকন. নরডিক কান্ট্রিসহ উন্নত দেশগুলোর অনেক নাস্তিক সমাজে দেখা যায় তারা সততার সাথে জীবন যাপন করেন এর কারন তারা সুশিক্ষিত, মানবিক মূল্যবোধ অনেক উচুঁস্তরের কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা তা নই, আমরা সনদ বলে যারা শিক্ষিত সমাজের প্রতিনিধিত্ব করি তাদের অধিকাংশই সুযোগের অভাবে সৎ. যদি পরকালের আজাবে বিশ্বাস না থাকত তাহলে এই চুরি চামারী, ঘুষের মহোৎসব আরও বহুগুন বেশি হত কেননা আমাদের দেশে আইনের অনুশাসন নেই, আদালতের ল'র ফাঁক গলে অনায়াসেই বেরিয়ে আসা যায়. ধানক্ষেতের আইল কেটে নিজের জমির পরিমাণ বাড়ানো কৃষকের সংখ্যা যেমন বেড়ে যেত তেমনি ক্রেতাকে ঠকানো দোকানদারের সংখ্যাও বাড়ত কারন সমাজে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই, গ্রামীণ শহর সবখানে প্রভাবশালীদের পেশীশক্তির জয় জয়কার. আমাদের মূল্যবোধের লেভেল একেবারে নিচু হওয়া সত্বেও সমাজ ব্যবস্হা এখনও টিকে আছে নিদেনপক্ষে কিছুটা ধর্ম চর্চার কারনে. ধর্মীয় বিশ্বাস উঠে গেলে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে বাসে একই রিসিট বই নিয়ে / রাস্তায় টেবিল আর মাইক নিয়ে বসে টাকা তোলে নিজের উদর ভরার সুযোগ বন্ধ হবে. মাহফিলে ধর্মীয় বক্তৃতা দিয়ে পয়সা কামিয়ে বিরাট বড়লোক হওয়ার রাস্তা বন্ধ হবে যেমন- ২০০৩ সালে আমাদের মহল্লায় হাবিবুর রহমান যুক্তিবাদী এসেছিলেন, ঐ মাহফিলের আয়োজক আমার ঘনিষ্ঠ এক মাওলানা সাহেবের কাছে শুনেছিলাম উনি আসলে চুক্তিবাদী ঐ আমলেই ১০ হাজারের ১ পয়সা কমও নিত না, সঙ্গে যাতায়াত খরচ ও তার ড্রাইভারের বখশিস লোকসমাজে ভাল সাজার জন্য যারা বছর বছর হজ্জ-ওমরা করে নামের সাথে হাজী টাইটেল লাগিয়ে বেড়ায় তাদের সৌদি যাওয়া বন্ধ হত বিধায় কিছু বৈদেশিক মুদ্রা সেভ হত. পিওর বেকার, ছদ্মবেশী বেকারের সংখ্যা এত এত হওয়া সত্বেও তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ অনেকাংশেই কন্ট্রোলে আছে ধর্মীয় বিশ্বাসের কারনে, সমাজ থেকে ধর্ম চর্চা উঠে গেলে রেপ সহ সব ধরনের অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাবে এক্সপোনেনসিয়ালী
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।