বলুন!তিনিই আল্লাহ্ এক বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আমরা জানতাম
শান্তিপ্রিয়, নির্বিরোধী। তারা গৌতম
বুদ্ধের অনুসারী, তিনি বলে গেছেন, জীব
হত্যা মহাপাপ। সে কারণে একটা মশাও
তারা টিপে মারবে না বা মাছ-মাংস
খাবে না। কিন্তু নিজের দেশের
রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বেলায় এ
নীতিকথার প্রয়োগ নিয়ে তাদের
কোনো মাথাব্যথা নেই। ‘আমরা ফরসা ও
সভ্য।
ওরা কালো কালো, দেখতে রাক্ষসের
মতো, ওদের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র
মিল নেই। ’ অতএব, নীতিবাগীশেরা যখন
রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণের পক্ষে সনদ
দিয়ে রেখেছেন, ওদের গলা টিপে ধরতে,
রোহিঙ্গা মেয়েদের হাত-
পা চেপে ধরে ধর্ষণ করতে, ওদের ঘরবাড়ি,
মসজিদ ও স্কুলঘর পুড়িয়ে দিতে আর
কোনো বাধা নেই। সেটাই ঠিক কাজ হবে, কারণ
ধর্মগুরু বলে দিয়েছেন,
ওরা বেঁচে থাকলে আমাদের নিজেদের ধর্ম
ও সংস্কৃতি বিপদাপন্ন হবে।
ওপরের এ কথাগুলো আমার বানানো নয়,
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ
ভিক্ষুদের প্রচারিত বিভিন্ন
প্রচারপত্র ও সংবাদপত্রের বিবরণ
থেকে নেওয়া। রোহিঙ্গাদের
বিরুদ্ধে জাতিনিধনের যে সুপরিকল্পিত
চেষ্টা চলছে, রাজনীতিকদের
পাশাপাশি বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও তার
পেছনে রয়েছেন।
হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়, গত
অর্ধ শতক ধরেই এ নির্বিচার
গণহত্যা চলছে, যার প্রামাণিক বিবরণের
একাধিক সচিত্র প্রতিবেদনে প্রকাশ
করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস
ওয়াচ’। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।