শব্দ খুঁজি, সৃষ্টির অদম্য নেশায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেন এক উলটো রাজার দেশ। উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়া সেখানকার উল্টো রাজা। যেখানে সবকিছু চলে তাঁর খেয়াল খুশী মতো।
রংপুরবাসীর অসম্ভব আবেগ ও স্বপ্নের আশ্রয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছিলাম এই তো বিশ্ববিদ্যালয় হবে, হচ্ছে।
তারপর ২০০৮ সালে এটি যাত্রা শুরু করে ধাপের টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভাড়া করা ক্যাম্পাসে। তারপর চলে আসে পার্কের মোড়ে। কারমাইকেল কলেজের ব্রিটিশ আমলে প্রাপ্ত জমির অনেকাংশ নিয়ে গড়ে ওঠে ক্যাম্পাস। সদ্য নির্মিত সুউচ্চ ভবনগুলো ছাপিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপাচার্যের প্রাসাদসম বাড়ি। দুর্গের মতো চারপাশ ঘেরা এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রংপুর সেনানিবাসেও আছে কী না সন্দেহ।
এই প্রাসাদে থাকেন উল্টো রাজা জলিল, যার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে হতাশার সমুদ্র হয়ে গেছে অনেক স্বপ্নের সে বিশ্ববিদ্যালয়।
উপাচার্য জলিলের দুর্নীতির খবর সচেতন পাঠকমাত্রই জানেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জের লোক দিয়ে, তৃতীয় শ্রেণীর মেধাশূণ্য স্বজনদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে, প্রকল্পের অর্থ বেমালুম আত্মসাৎ করে, নিজস্ব পেটোয়া বাহিনী তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অংকুরে বিনষ্ট করার সকল আয়োজন তিনি সম্পন্ন করেছেন। তাঁর এই কুকীর্তির প্রতিবাদ করায় আজ বলি হতে হল প্রথিতযশা ছয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের। এঁদের মধ্যে আছেন শ্রদ্ধেয় তুহিন ওয়াদুদ স্যার।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় যেন রাষ্ট্রের ভেতর আরেক রাষ্ট্র, অনেক শক্তির ভীড়ে সবচেয়ে নেতিবাচক শক্তি, মেধাশূণ্য, সন্ত্রাসকবলিত, আত্মাবিহীন এক খুঁড়িয়ে চলা বিশ্ববিদ্যালয়। এসবই জলিল সাহেবের কীর্তি। একটা স্বপ্নের সৌধ কীভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে, অশুভের জয় কীভাবে হতে পারে, যৌক্তিক প্রতিবাদের মাশুল দিয়ে সেটা দেখালেন ছয় শিক্ষক-কর্মকর্তা। তাঁদের উপর থেকে বরখাস্তের খড়গ অবিলম্বে তুলে নিন। প্রকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার সকল পদক্ষেপ নিন।
স্বেচ্ছাচারী, স্বজনপ্রীতির নোংরা বাতিকগ্রস্ত জলিলকে বরখাস্ত করুন। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একজন ছাত্র হিসেবে, একজন সচেতন রংপুরবাসী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় নামক এই স্বপ্নের অপমৃত্যু হোক তা আমি চাই না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।