গত ৩১শে জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জনৈক মহিলা মাঠ কর্মী অভিযোগ করেন যে, তার মোবাইলে ০১৮২২৮৮৪২৮০ নং থেকে একটি কল করে জানানো হয় যে,তার ব্যবহৃত মোবাইল সীমের অনুকুলে ৩লাখ ৬৭হাজার টাকা রবি কর্তৃক বোনাস গ্রান্ড করা হয়েছে। তাই তার ব্যক্তিগত ব্যাংকের হিসাব নং জানা দরকার। বেচারী ব্যাপারটা বাস্তব মনে করে নিজের ব্যাংক হিসাব নং জানিয়ে দেয়। অতপর সেই একই মোবাইল নম্বর থেকে জানানো হয় সেই রবির বোনাস গ্রান্ড পেতে হলে টি,টি খরচ বাবদ ১৭ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। পরে ঐ মহিলা তার হিতাকাঙ্খীদের জানালে প্রতারক চক্রের একজন
বলেই নম্বরটি প্রমানিত হয়।
মোবাইলে বিভিন্ন জনকে হুমকী,ব্লাকমেইলিং নানা অশালীন ভাষায় গালমন্দ করা হচ্ছে। অথচ এইসব মোবাইল কোম্পানী গুলোর হিসাবে প্রতি সেকেন্টে প্রতি মিনিটে কোটি কোটি টাকা জমা হচ্ছে যা সারা বাংলাদেশে টপ টু বটম মানুষ কর্তৃক প্রদেয় । এইসব মোবাইল কোম্পানী গুলো দেশীয় না ইম্পোর্ট করা কিংবা কত শতাংশ দেশের স্বার্থ সংরক্ষন করে তা অনেকেরই কৌতুহল জেগেছে।
পার্বত্য এলাকার বুদ্ধধর্মের জনৈক ধর্মগুরু একটি অনাথ আশ্রম পরিচালনা করেন। তাঁর ইমেলে দক্ষিন আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো থেকে একটি মেইল আছে।
ইংরেজীতে লেখা এবং ইসলামী ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক,বুরকিনা ফাসো প্যাডে লেখা মেইলে স্বয়ং কান্ট্রি ডিরেক্টরের স্বাক্ষর রয়েছে। মেইলে বাংলা অনুবাদে জানা যায় চীন থেকে বুরকিনা ফাসোতে আগত এক প্রকৌশলী ইসলামী ডেভলাপমেন্ট ব্যাংকে একটি হিসাব খোলেন যেখানে প্রায় ১৫ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে। সম্প্রতি তিনি মারা গেছেন এবং মৃত্যুর পূর্বে বাংলাদেশের সেই অনাথ আশ্রমকে সমস্ত তহবিল দান করেছেন। এই সত্যতা যাচায়ে মেইলের প্রতিত্তোর দেয়া প্রয়োজন। আশ্রমের পরিচালক ব্যাংকের প্যাড দেখে আংশিক বিশ্বাস এবং প্রতিত্তোর দেন।
অত পর মেইল আদান প্রদান চলতে থাকে। কান্ট্রি ডিরেক্টর ব্যক্তিগত ভাবে দাবী করেন ঐ ফান্ড পেলে ৫০% তাকে দিতে হবে। তাতে রাজী হয়ে যান আশ্রমের পরিচালক। ইসলামী ডেভলাপমেন্ট ব্যাংক থেকে আশ্রমের আর্ন্তজাতিক ব্যাংকের হিসাব চাইলে শ্রদ্ধেয় ভন্তে কক্সবাজারের আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের আশ্রমের হিসাবটি পাঠান। বুরকিনা ফাসোর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নানা প্রশ্ন করা হলে স্বয়ং কান্ট্রি ডিরেক্টর উত্তর দিয়ে সহযোগীতা করেন।
পরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেই ব্যাংকের লিগ্যাল ল্য়ার। এই লয়ার একজন ব্যারিষ্টার। এই হিসাবের জটিলতা নিরসনে ব্যারিষ্টার কে নগদ ৫০ হাজার ডলার দুবাই ব্যাংকে নিদ্দিষ্ট হিসাবে পাঠাতে হবে। ইমেইলের আদান প্রদান,র্চ্টা অতপর দুবাই থেকে মোবাইলে ব্যারিষ্টার সাহেবের খরচের জন্য বার বার তাগিদ দেয়া শুরু হয়। শ্রদ্ধেয় ভন্তে ফান্ডে টাকা নেই বিধায় অপারগতা প্রকাশ করেন ও মোবাইল সীম পর্যন্ত পরিবর্তন করেন।
প্রায় ৩মাস যাবৎ একটি মিথ্যা প্রলোভনে শ্রদ্ধেয় ভন্তেকে এই প্রতারক চক্রের সাথে ডিজিটাল সর্ম্পক গড়ে তুলতে হয় এবং সাইবার ক্যাফে হাজার হাজার টাকা অপচয় করতে হয়।
সাইবার যুদ্ধ কেমন ? আজো অজ্ঞাত। আমাদের দেশে সাইবার যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করলাম নানা রকম গালা গালী চাটের্র মাধ্যমে । জনৈক সাংবাদিক ফেসবুকে তার বন্ধুদের ফেসবুকে কমেন্ট করেন সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে। জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের চীফহুইপ জনাব ফারুক খান বলেছেন,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে।
সেই ফেসবুকে জনৈক সরকার পন্থী কমেন্ট করেন সেই আগুন ফারুক খানের পাচার ভেতর দেয়া হবে। অতপর সাংবাদিক উত্তেজিত,তুই কে রে শালা? চাটিঙে জবাব দেয়- আমি তোর বাপ। অত পর, রাজাকার,জারস সন্তান ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের দেশে এমন সাইবার যুদ্ধ প্রত্যক্ষ হয়েছিল সেই সাংবাদিক ইন্টারনেট চার্ট কালে।
ছাত্র জীবনে “বিজ্ঞান অভিশাপ না আর্শীবাদ” এমন বিতকে অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
আমি এই লেখনীর মাধ্যমে সেই বাল্যকালের বির্তক প্রতিযোগীতার অভিশাপের পক্ষে ছিলাম আজো রয়ে গেছি।
আলীকদম থানা সংশ্লিষ্ট কর্র্তপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন বাজারে কম্পিউটার দোকানে অপারেশন ও সিপিইউ উপজেলা সদরে এনে তদন্ত করা শুরু করে। সংশ্লিষ্ঠ থানা উপ-পরিদর্শক কর্তৃক জানা গেল,চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের চীনারী নামক স্থানে জনৈক যুগলের মৈথুন ছবি ভিডিওতে ধারন করে তা বিভিন্ন মোবাইলে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নায়িকার অভিযোগে নায়ককে পুলিশ কর্তৃক অনুসন্ধান করার পর ও কোন হদিস মেলেনি।
বিগত কয়েক বছর পূর্বের কথা।
পত্র পত্রিকার মাধ্যমে জ্ঞাত হয়েছিলাম যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণ চীন চার বছর যাবৎ নীরবে যে ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ চালাচালি করেছিল তা কোন কাক পক্ষী ও ঠের পায়নি। পত্র পত্রিকার মাধ্যমে আরো জানা যায়,উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিন কোরিয়া ছেলেমেয়েরা নাকি সাইবার যুদ্ধ করে চলেছে। সাম্প্রতিক কালে দৈনিক ভোরের কাগজের খবরে প্রকাশ,মায়ানমার ও বাংলাদেশের নাকি সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে ।
বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার “ডিজিটাল বাংলাদেশ” ঘোষনা করেছেন। বিভিন্ন জনসভার মাইকিং এ অতিথিদের কে ডিজিটাল রুপকার হিসেবে ঘোষনা করা হয় কিন্তু এযাবৎ কোন প্রতিষ্ঠান কে বর্তমান সরকারের নেতা -নেত্রী কর্তৃক ডিজিটাল সামগ্রী প্রদান করতে নজর পড়েনি এরই মধ্যে সাইবার যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল?
সারাদেশে ইউনিয়ন,উপজেলা পরিষদ,জেলাপ্রশাসন,সচিবালয়
এমনকি জাতীয় সংসদ পর্যন্ত ডিজিটালাইজ ও প্রশিক্ষনের দ্বায়িত্ব নিয়েছে জাতী সংঘের অন্যতম সংস্থা ইউএনডিপি কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষকদের কোন কার্যক্রম তো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
ইতিপূর্বে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর ব্যঙ্গাত্বক ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছিল এবং দেশে অসংখ্য সম্ভ্রান্ত পরিবারে মান সম্মান নিয়ে টানা হেচড়া ও হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে এই ডিজিটাল। এই ডিজিটালে ডুবে আমাদের দেশে যুব সমাজ উন্নত বিশ্বের নিম্নতম অশ্লীলতা লক্ষ্য করে মানসিক বিকৃতি প্রতিফলিত হচ্ছে, এটা যদি প্রতিটি পরতে প্রতিফলিত হয় তরে প্রত্যেক ধর্মের ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতি অগ্রযাত্রায় অন্তরায় হতে বাধ্য।
চট্টগ্রামে আন্দরকিল্রার এক কম্পিউটার মার্কেটে প্রেস ও প্রিন্টিং কাজ করতে গিয়ে ভীষন হাসি পেল। বিদ্যুৎ চলে যাবার পর সবার পক্ষে আর কম্পিউটারে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। দু’তলার বেলকনির রেলিঙে দাড়িয়ে প্রায় সব কম্পিউটার অপারেটর কাকের সারির মত নীচের দিকে তাকিয়ে আছে।
তাঁদের সবার মাথায় টাক,মাথায় চুল নেই। অধিক সময় কম্পিউটারে থাকার ফলে তাঁদের ্এই হেন অবস্থা বলে অভিজ্ঞরা ধারনা করেন।
দেশের অনেকেই চাতক পক্ষীর ন্যায় তাকিয়ে আছে সরকার ঘোষিত “দোয়েল” কম্পিউটারের প্রত্যাশায়। কিন্তু তা কখন প্রাইমারী বা হাইস্কুল ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছবে সন্দেহ জাগে। এই ডিজিটাল সামগ্রী তৃনমূল কৌতুহলীদের মাঝে না পৌঁছতে সাইবার যুদ্ধ যদি শুরু হয়ে যায় তবে আমাদের বিজয়ের সম্ভাবনা কতটুকু?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।