বেপোয়া মানুষ
জামায়াত-শিবির পরিচালিত বাশেরকেল্লা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মহাজোট সরকারের বীরুদ্ধে মিথ্যা কুরুচিপুর্ন ছবি, গল্প, অশ্লীন ভাষা প্রয়োগ করে সরকারের অর্জন উন্নয়ন প্রতিনিয়ত ব্যাহত করে চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বানচাল করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের ভালো মানুষ হিসেবে বর্ননা করা, আন্তর্জাতিক মানের আলেম হিসেবে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে বর্ণনা করা। বিভিন্ন ছবি দিয়ে তুলনা করা, যেমন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ছবি পাশাপাশি দিয়ে লেখা – এদের মধ্যে কে বেশী ধার্মিক –লাইক দিন, প্রধানমন্ত্রীর এবং গোলাম আযমের ছবি পাশাপাশি দিয়ে লেখা কে খোদা ভিরু। লাইক দিন এবং ছড়িয়ে দিন। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর সাজা ঘোষণার পর ফেসবুক বাঁশের কেল্লা লিখলো- আন্তর্জাতিক আলেমকে ফাঁসি দেওয়া মানে ইসলামের কন্ঠ রোধ করা, এরপর তারা ফেসবুকে লিখলো সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে ও তাওহিদী জনতা রাস্তা নেমে আসো এবং প্রতিরোধ করো।
বগুড়া শহরে, গাইবান্ধা জেলায় শিবির সমর্থকরা ৭ জন পুলিশ পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং থানা জ্বালিয়ে দেয়। শিবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পুড়িয়ে দেয় এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীকে হত্যা করে। একই ভাবে সাতক্ষীরা জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। কক্সবাজারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে তাদের বাড়িঘর এবং প্যাগোডায় অগ্নিসংযোগ করে। শাহাবাগের আন্দোলনরত প্রজন্ম চত্বরকে নাস্তিকদের মিলন মেলা বলে প্রচার করে।
জনরোশের ভয়ে যখন শিবির রাজপথে মিছিল মিটিং করতে পারছিল না ঠিক তখনই কওমি মাদ্রসা ভিত্তিক কর্মিদের হেফাজতে ইসলাম নাম দিয়ে মাঠে নামায় এবং পরিচালনায় থাকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। আল্লামা শফি, জুনায়েদ বাবু নগরী, মাওলানা রুহি এদেরকে অলৌকিক শক্তির অধিকারী দাবি করে ইসলাম কায়েম কর বলে ১৩ দফা দাবিতে ঢাকা অবরোধ করে গত ০৫মে। শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে হেফাজতি, জামায়াতিরা মতিঝিল থেকে পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় অসংখ্য দোকান ও গাড়ী পুড়িয়ে দেয়। আগুন দেয় বিভিন্ন ভবনে। জামায়াত-শিবির পরিচালিত আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহামুদুর রাহমানকে তারা অতিমানব বলে প্রচার করে।
মাহামুদুর রাহমান কাবা শরীফের গেলাপ উঠানোর ছবি দিয়ে নিচে লিখেন, আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবীতে কাবা শরীফে মানব বন্ধন করছেন বিশিষ্ট আলেমগণ। এভাবে প্রতিনিয়ত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে প্রচার করছে। সম্প্রতি ৪টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাশেরকেল্লা ফেসবুক মহাজোট প্রার্থীদের নাস্তিক, ইসলামের দুশমন বলে প্রচার চালান। তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ প্রচারণা, লেখা, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করে ভোটের ফলাফলকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। এতে জনমনে বিরুপ প্রভাব পড়ে এবং ১৫ জুন ৪ টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থিরা পরাজিত হয়।
দেশবাসী মনে করে বাশেকেল্লার মত ফেসবুক অবিলম্বে বন্ধ করা এবং এদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী আইনে মামলা রজু করা। তা হলে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।