প্রাত্যহিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। সকাল বেলা উঠেই প্রথম আলোয় চোখ বুলিয়ে নেওয়া মানেই দেশ বিদেশের আলো আঁধারির হরেক খবর দিয়ে নিজেকে আপডেট করে নেয়া। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিনের। তবে বিশেষ সংখ্যাগুলোর প্রতি ইদানীং খুব বেশী আগ্রহ দেখাই না। বিস্তারিত কারণ ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।
মূল পত্রিকা দেখে নেয়ার পর চিরাচরিত নিয়মে বর্ষ বরণের বিশেষ সংখ্যাটিও হাতে নিলাম। পাতা উল্টিয়ে কবিতার পঙক্তি বা ছড়ার ছন্দ খুঁজলাম। এখনতো সব কিছুই কেমন যেন রাজনৈতিক অম্ল-কটা মনে হয়। সাহিত্যের সঞ্জীবনী স্বাদ হারালো বলে। বিশেষ করে এপার বাংলায়, সাহিত্য বিশারদ এবং রসিক উভয়েরই অতি মাত্রিক রাজনীতি সচেতন নাকি রাজনীতি ভারাক্রান্ত হওয়ার সুবাদে!
‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’ নামকরণ দেখেই গল্পটি আর কেন যেন পড়ার আগ্রহ হলনা।
চারিদিকে ব্যাপক সমালোচনার কারণে আজই সকালে পাতাটি বের করে পড়লাম। হাসনাত আব্দুল হাই সাহিত্য রচনা ও লেখালেখিতে বয়োজ্যেষ্ঠ। কিন্তু এই লেখাটিতে সাহিত্যের মাণ বিচারে তিনি জ্যেষ্ঠত্বকে নামিয়ে এনেছেন লেখালেখির বালখিল্যে। ঐ যে বললাম, রাজনীতি সচেতন না রাজনীতি ভারাক্রান্ততা!
শাহবাগের মোহনা থেকে আমাদের তারুণ্যের জোয়ার কি সাগর পানে ধাইবে না আমাদের জাতীয় রাজনীতির প্রবহমান কলুষিত স্রোতেই মিশে যাবে, তা দেখার এখনও একটু বাকী। তাই এই তারুণ্যের উদ্দীপনার বেগকে হেয় করে বা তাদেরকে এক চোখা দৃষ্টির সীমায় না রেখে বরং বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে সকল বিষয়ে একাত্ম হবার পথ নির্দেশনা সহ অনুপ্রেরণা দেয়া উচিত।
গল্পটির প্রধান দুই চরিত্র সীমা ও জমির চাচারা হয়তো এই সমাজ, রাজনীতি ও দল বৃত্তেই বিদ্যমান। কিন্তু এই সীমা বা জমির চাচাদের বাইরেও যারা আছেন, তাদের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়, যারা শুধু আদর্শ এবং চেতনাকে বুকে ধরে সড়ক মোহনায়, মঞ্চে, ফুটপাথে, রাজপথে মাইক্রোফোন হাতে অথবা শূন্য কিন্তু দরাজ গলায় শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন। প্রথম আলো এবং ‘টিভি ক্যামেরার সামনে মেয়েটি’র লেখকের পাশাপাশি প্রথম আলোর একনিষ্ঠ পাঠক হিসেবে আমরাও ক্ষমা প্রার্থী তাদের কাছে, যারা সত্যিকারের ‘কালো’ হরফের এই অকালদর্শী লেখায় মন ও মননে আহত হয়েছেন। জয় হোক তারুণ্যের। জয় হোক চেতনার।
জয় মাতৃভূমির। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।