টিভি দেখাটা কমাতে হবে। বিদ্যুত সাশ্রয় হবে।
আমার বাবা এ খবর পেয়ে বেশ ভেঙে পড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমার দুই ভাই বারবার ফোন করছেন। আমার ভাই এ ধরনের কাজ করতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারছি না।
’
এ কথা বলে আক্ষেপ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী আরিফ রায়হানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া অপর শিক্ষার্থী মেজবাহ উদ্দিনের এক ভাই। আজ বৃহস্পতিবার মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কার্যালয়ের সামনে প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে কথা তাঁর। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক ভগ্নিপতি।
সংবাদ সম্মেলনে মেজবাহ বলেন, “হেফাজতে ইসলামীর লংমার্চের দিন খাবার দিয়ে সাহায্য করায় ক্যাম্পাসের এক ঈমামকে লাঞ্ছিত করে দীপ। তাই তাকে মারা আমার ঈমানি দায়িত্ব ছিল।
“আমি ফরিদাবাদের হুজুর মুফতি মাওলানা আবু সাঈদের অনুসারী। দুই-তিন বছর আগে তিনি বলেছিলেন, ইসলামের ওপর আঘাত হেনে কেউ কথা বলছে তার প্রতিবাদ করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। ”
নাম প্রকাশ না করা ওই ভাই আরও বলেন, ‘আমাদের পুরো পরিবার থমকে গেছে। মেজবাহ যদি এই হামলা করে থাকে, তাহলে এ কাজে কেউ উত্সাহ জুগিয়েছে। পুরো ঘটনায় আমাদের পরিবারে একটি কালো দাগ পড়ে গেছে।
’
তাঁদের ভাষ্য, তাবলিগ জামাতের সঙ্গে জড়িত মেজবাহকে এ ধরনের কাজ করতে কেউ উত্সাহ দিয়েছে বা প্ররোচিত করেছে।
মেজবাহর বোন আসমা খাতুনের স্বামী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গতকাল বুধবার তাঁরা প্রথম জানতে পেরেছেন, মেজবাহকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে। তবে ৯ এপ্রিল দীপের ওপর হামলার পরও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মেজবাহ। তবে এর সঙ্গে তিনি যে জড়িত, তা বুঝতেই পারেননি তাঁরা।
আশরাফুজ্জামান জানান, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা মফিজুর রহমানের ১৩ সন্তানের মধ্যে মেজবাহ নবম।
অবসর নেওয়ার পর এখন মুন্সিগঞ্জ জেলায় বসবাস করছেন তিনি। মফিজুর রহমানের সাত ছেলের মধ্যে চারজন প্রকৌশলী। তাঁদের দুজন এখন যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডি করছেন। দুজন চিকিত্সাবিদ্যায় পড়ছেন। এ ছাড়া মেজবাহর ছয় বোনই স্নাতকোত্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল অর্জন করে ২০০৭ সালে বুয়েটে ভর্তি হন মেজবাহ।
মেজবাহর ভাই প্রথম আলো ডটকমকে জানান, মেজবাহ যে ফরিদাবাদ মাদ্রাসার মাওলানা আবু সাইদের কাছে যেতেন, তা তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন। এরপর তাঁকে ওই পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। একপর্যায়ে মেজবাহ সেখানে না যাওয়ার ব্যাপারে কথাও দিয়েছিলেন তাঁদের।
ভাইটির ভাষ্য, মেজবাহকে ধর্মপরায়ণ বলে জানতেন তাঁরা।
শুধু মেজবাহ নন, তাঁদের পুরো পরিবারই ধর্মকর্ম করেন। তবে তাঁরা কেউ রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।
উপরের অংশটুকু প্রথম আলো এবং বিডিনিউজ থেকে কপিপেস্ট
------------------------------------------------------------------------
আমার মতামত
হেফাজতের সমাবেশে জামায়াতের ইন্ধন ছিলো, এটা সবাই জানে। তবে মাদ্রাসায় পড়ুয়া অনেকেই আছে, যারা চরমোনাই কিংবা অন্যান্য এক্সট্রীম পীরের মুরিদ, যারা আবার জামায়াতের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তারা দেশে তালেবানী শাসন কায়েম করতে চায়।
বুয়েটের প্রতি হলে প্রচুর তাবলীগ আছে, এই ছেলেটাকে দেখে তাবলীগ করে বলে মনে হচ্ছে। টিপিক্যাল জামায়াত শিবির করা ছেলেদের ৫%ও পাঞ্জাবী পড়ে না এখন। তাবলীগ যারা করে, তারা জামায়াত শিবিরের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। জামায়াত এবং তাবলীগের চিন্তাধারা ১৮০ বিপরীতে। কিন্তু আবার এটাও ঠিক যে, তাবলীগ জামায়াত যারা করে, তাদের মাঝে আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে উগ্রপন্হী দেখি নাই।
তাবলীগ করা কাউকে আমি উচ্চস্বরে চিৎকার করতে শুনি নাই।
ছেলেটা যা বলেছে, তাতে মনে হচ্ছে, সে তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয়। অনেকটা হিজবুত তাহরীরের মতো মনে হচ্ছে। '' থাবা বাবা'' হত্যাকান্ডে নর্থ সাউথের যে কয়জন ধরা পড়েছে, তারাও বলেছে, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নয়।
লক্ষ্য করুন, জামায়াতের কোন নেতা, কর্মী কখনো কোন ঘটনার দায় স্বীকার করে নাই এখনো পর্যন্ত।
এদের মাথা চরমভাবে ওয়াশ হয়ে গেছে। যেসব পীর তাদের এভাবে দিক্ষা দিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হোক।
------------------------------------------------------------------------
শিক্ষা ব্যবস্হার দায় কতটুকু?
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হায় ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার কোনো ব্যবস্হা নাই। আপনি গণিত পড়েন, পদার্থবিদ্যা পড়েন, ভুগোল পড়েন, প্রকৌশলবিদ্যা পড়েন, সব বিষয়েই আপনাকে যাবতীয় জ্ঞানের বই পড়তে হয়। কিন্তু একই সাথে আপনি সমাজে একজন ভালো মানুষ হিসাবে থাকতে চাইলে যে নৈতিক গুনাবলী অর্জন করা দরকার, সেটা বিশ্ববিদ্যালয় পর্বে শিখানো হয় না।
স্কুল পর্যায়ে ছাত্রদের সমাজ বিজ্ঞান বইতে যৎসামান্য যা পড়ানো হয়, সেটা ঐ বয়সী ছাত্রদের কাছে বোধগম্য হয় না, তারা শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্যই পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নৈতিক শিক্ষা চালু করা হোক যাতে একজন ছাত্র একজন সুনাগরিক হিসাবে গড়ে উঠে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।