হুংগা............হুংগা............ গত বুধবার রাতে ৭ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে একটি কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় ট্যাংকার এমটি মেহেরজান। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তুম শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় একবার পানির নিচে ট্যাংকারটির অবস্থান সনাক্ত করা হলেও প্রবল স্রোত আর বাতাসে ধাক্কায় হামজা ও রস্তুম সরে যায়। ফলে ট্যাংকার বেঁধে দেওয়া রশি (এ্যাংকরিং) ছিঁড়ে গিয়ে ট্যাংকারটি আবার হারিয়ে ফেলে উদ্ধারকারী দল।
রোববার সকাল থেকে দিনভর তল্লাশী চালিয়েও ট্যাংকারের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে আশরাফ হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “সন্ধ্যায় ট্যাংকারের সন্ধানে ফেলা নোঙ্গর এক জায়গায় আটকে গেছে। সেটি ট্যাংকারে আটকে গেছে বলে মনে হলেও ঢেউ আর স্রোতের কারণে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরিরা খুব বেশি গভীরে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি। ”
সোমবার সকালে ডুবুরিরা আবারো নদীতে নামবে বলে এই কর্মকর্তা জানান।
দুর্ঘটনার পরদিনই মেহেরজান থেকে তেল নিঃসরণ শুরু হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। তারা বলছেন, ট্যাংকারের তেল নদীতে ছড়িয়ে পড়ে মাছসহ জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেছেন, “ব্যাপকহারে দূষণের কোনো আশঙ্কা এখনো পর্যন্ত তৈরি হয়নি। ”
তিনি বলেন, মেঘনা নদীতে ট্যাংকারডুবির স্থান এবং ভাটি ও উজানের পানি পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, সব সূচকই এখনো ‘সহনীয় মাত্রার’ মধ্যে রয়েছে।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণাগারে পানি পরীক্ষায় পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে আমিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাস্থলের পানির উষ্ণতা, পিএইচ, তড়িৎ পরিবাহিতা, অ্যালকালিটি, দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ, লবণাক্ততা, প্রলম্বিত বস্তুকণা, কঠিন বস্তুকণা- সবকিছুই এখনো স্বাভাবিক মাত্রার মধ্যেই রয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা খন্দকার বলছেন, ওজন বেশি হওয়ায় মেহেরজানকে তুলতে ‘বিশেষ কৌশল’ অবলম্বন করতে হবে।
তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের ওজন তেলসহ প্রায় ৮১০ টন।
আর হামজা ও রুস্তুম মিলে ১২০ টন ওজন তুলতে পারে।
ফলে ট্যাংকারটি নদী তল থেকে ৭ বা ১০ ফুট উঠিয়ে তারপর টেনে তীরে নিতে হবে। পরে তেল বের করে ট্যাংকারটি পুরোপুরি উদ্ধার করা যাবে বলে আশা করছেন চেয়ারম্যান।
এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, তেল নিঃসরণের কারণে বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যায়ের কোনো আশঙ্কা এখন পর্যন্ত তারা দেখছেন না।
পরিবেশ অধিদপ্তর, কত লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে ট্যাংকার ডুবলে ব্যাপক দূষণের আশঙ্কা সৃষ্টি হয় ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।