প্রাচীন এ দৃশ্যপথ:
প্রত্যহ সমুদ্র-শব্দে জাগে সমতট,
অরণ্যে সবুজ দিন আসে,
রাত্রিরা তারায় তীব্র আদিম আকাশে।
কোনো এক প্রাগৈতিহাসিক
ভাদ্রের পদ্মায় আজও দেখে গেল রৌদ্রের ঝিলিক-
দিগন্তে মেঘের ছবি অদ্ভুত রেখায় আজও আছে-
কালো-নীলে রাঙা পাখি উড়ে যায়
এক বুনো গাছ থেকে আর এক গাছে-
এক মুঠো ধান
দেয় ম্লান অঘ্রানের হাওয়ায় অপরিমেয় ঘাণ।
এই দৃশ্যে আমরা নূতন-
আমরা নূতন অভিনেতা:
আমাদের সুপ্তি জাগরণ
যেন অন্য কোনো দিনে
আমাদের হাসি-অশ্রু-ব্যথা
শুধু নিতে পারে চিনে
অন্য কোন সময়ের আকাশ-বাতাস।
এই নদী এই জল
সমতলে অলস ফসল
দূর হতে করে শুধু রূঢ় পরিহাস।
আমরা সমুদ্র চাই
যে-সমুদ্র নয় এই সুন্দরবনের,
বন্দরের আলো আর
জাহাজের ইস্পাতি ছায়ায়
সে-সমুদ্র করে ঝলমল।
আমরা এসেছি নিয়ে মনে এক ধোঁয়াটে আকাশ
সেখানের পাখির পাখায়
ছবি নেই- এলুমিনিয়াম।
আমাদের ক্ষেত হতে মুছে গেছে বলদের চোখে
কোনো বিষন্ন দুপুর
সেখানে লোহার দাঁত-
গভীর লোহার দাগ
গ্রাম ছেড়ে একদিন শেষে
প্রথিবীর দিক্ প্রান্তে মেশে।।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।