ভালো।
নানা পদের ইফতার সামগ্রীতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন, টেক্সটাইল কালার ও হাইড্রোজ। প্রতিদিন গিলছে মানুষ কেমিক্যালে ভরা ইফতারপণ্য। এসব প্রতিরোধে বিএসটিআই, জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করলেও ভেজালের তুলনায় প্রতিরোধের আয়োজন সামান্যই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল হোসেন মিঞা জানান, ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সোচ্চার রয়েছে।
ঢাকায় এবং এর বাইরে ভোক্তা অধিকারের একাধিক টিম কাজ করছে। তিনি বলেন, ভেজালের সুর্নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যদাতাকেও জরিমানার ২৫ শতাংশ প্রদান করা হবে। এমনকি তথ্যদাতার সব তথ্য গোপন রাখা হবে। তিনি ভেজালকারীদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ভোক্তা অধিকারকে জানানোর আহ্বান জানান। মুড়ি ও চিড়া তৈরিতে রাসায়নিক ব্যবহার করলে জরিমানাসহ মামলা করার ঘোষণা দেয় মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মুড়ি ও চিড়া মিল মালিক অ্যাসোসিয়েশন।
চিড়া ও মুড়িতে রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় থাকা ৭০টি মিলে পর্যবেক্ষণ, প্রথমবার রাসায়নিকের ব্যবহার ধরা পড়লে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং দ্বিতীয়বারের জন্য দ্বিগুণ জরিমানাসহ খাদ্য আইনে মামলা করা, মিলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মুড়ি তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাজারে এরপরও ক্ষান্ত হয়নি একশ্রেণীর প্রতারক ব্যবসায়ী। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। বুধবার অভিযানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) রাজধানীর শনির আখড়া এলাকার দুটি মুড়ির কারখানায় মুড়ির আকৃতি, প্রকৃতি এবং রং দেখে কেমিক্যাল যুক্ত সন্দেহ করলেও উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আদালত কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিএসটিআইয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আগে মুড়ির কারখানায় উš§ুক্তভাবে হাইড্রোজ ব্যবহারের প্রবণতা থাকলেও বর্তমানে তার পদ্ধতিগত পরিবর্তন হতে পারে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইফতার বাজারে অভিযানকারী ভ্রাম্যমাণ আদালত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজধানীর হাতেগোনা কয়েকটি ইফতার বাজার বাদে সর্বত্র ভেজালের ছড়াছড়ি। ইফতার সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি, বেগুনি, পেঁয়াজুসহ মুখরোচক সব রকমের ভাজা সামগ্রীতে ব্যবহার করা হচ্ছে টেক্সটাইল রং ও ফ্লেভার। একইসঙ্গে কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফলে রাসায়নিক ব্যবহার করে পাকানো হচ্ছে। এতে করে ফলের ভেতরটা লালচে হয়ে পড়ছে।
ইফতারির অন্যতম চাহিদার খাবার মুড়িতে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ভেজাল থেকে বাদ যায়নি দই, মাঠা, মুড়ি ও দুধও। রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় শুধু মুড়ি নয় ইফতারের প্রায় সবকিছুতে রয়েছে কেমিক্যালের ব্যবহার। ইফতারে কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে নান্দনিক ও বাহারি সাজে সজ্জিত করে ভোক্তাদের আকৃষ্ট করার নামে মানুষকে বিষ খাওয়ানো হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইড্রোজ সাধারণত ব্যবহার করা হয় গার্মেন্টস শিল্পের পোশাকে। কোন কাপড়ে রং লাগলে তা উঠানো এবং কাপড় পরিষ্কার রাখতে তা ব্যবহার করা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।