এখানে বিনামূল্যে বিশ্ব-বিখ্যাত মাইন্ড বৈজ্ঞানিক দ্বারা মাইন্ড রিলেটেড এনি প্রবলেম অতি যত্ন সহকারে সলভ করা হয় । --আপন স্বকিয়তায় বহুতে একাত্ব--
প্রভুর স্বকিয়তা কেমন জানো তো ?
পৃথিবীর সব শিশু কাদলে কিংবা হাসলে
তুমি দেখবে একজনি হাসছে কিংবা কানছে ।
সবাই কে নিয়ে সে এক অখন্ড শরীর
আলাদা শরীর বলতে সে রঙ বেরঙ্গের পোষাক বুঝে শুধু
সে বুঝেনা “তুমি” শব্দটার কোন মানে
সে জানেনা মুখোস পরে , কেমনে করতে হয় অভিনয়
তাইতো “সবাই বলতে সে নিজের” সাথে শিশুসুলোভ, একি ধাচের করে আচরন ।
কেউ তার সরলতার সুযোগ নিতে চাইলে, প্রতিফলিত রস্মিতে তার চোখ যায় ঝলসে
কারন তার অন্তরটা আয়না- স্বচ্ছ নিরেট
তার দিকে মুখ পরতেই , পাপী মুখ শুধু লুকাতে চায় ।
হাওয়ায় হিল্লোল, সে স্নিগ্ধ বয়ে গেলে “এক”
শ্রদ্ধায় পরে নুইয়ে , অবিশ্বাসীদের মন
মমতাময়ী স্পর্ষের আনন্দে , হেলে আর দুলে গাছেরা সবাই
জানায় সবাই এক , যদিও বলে, বহুর বিভ্রম আমার পোষাকের এই স্বতন্ত্র বৈচিত্র
শুধুই আনন্দ আর বিশালতার বিকাশ ছাড়া আর কিছুই না
একজনি আসলে “বহু রুপের একাত্বে” সবখানে ।
এখানে নাম ধরে ধরে যাদের সেরা বলা হয় সেটাই বিভ্রান্তি
কারন কেউই তার অস্তিত্বেরি মালিক না অতএব নামেরো কোন স্থায়ীত্ব নেই ,
আজ যে হিরো , কালকেই সে যিরো ।
চড়াই উতড়াই-ই জীবন ।
সমুদ্রের ঢেউদের কেউ আলাদা আলাদা না্মে ডাকে না ,
সমুদ্রের কাছে এসে বলে “কি বিশাল সমুদ্র-কি অপার আনন্দ” !
বাবা-মার স্বকিয়তায় একাত্ম সন্তানেরা
সন্তানদের সর্বোচ্চ সম্মানে শুধু বাবা-মা
একটি মানুষের প্রান বহুকোটি ক্ষুদ্র প্রানের সমবায় শক্তি
আবার বহু প্রানকে ধারন করে আছেন এক মহাপ্রান ।
আগে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথে শুধু ডাচ-বাংলার কার্ড দিয়েই টাকা উঠানো যেতো
এতে ব্যাংকটার লাভ হত কম
আর এখন এদের বুথ থেকে অন্য ব্যাংকে্র কার্ড দিয়েও টাকা উঠানো যায়
তাই এদের লাভো বেড়ে গেছে অনেক বেশী
এটিএমের স্বকিয়তায় বহু ব্যাংকের একাত্বে –ডাচ-বাংলা এখন সবার ওপরে ।
জ্বর হলে মানুষ ফার্মাসি তে যায়
নাপা নামের ট্যাবলেট চায় ।
বিক্রেতা তাকে অন্য নামের প্যারাসিট্যামল ট্যাবলেট দিলে সে নিতে চায় না ।
সে বলে, না না আমি নাপাই চাই ।
বিক্রেতা বলে “আরে ভাই নাপা একটা সামান্য নাম ছাড়া আর কিছুই না , এটা প্যারাসিট্যামল গ্রুপের , একি জিনিস , নিয়ে যান , কোন অসুবিধা নাই ।
এখানে প্যারাসিট্যামল হচ্চে “আপন স্বকিয়তায় বহুতে একাত্বে” শ্রদ্ধাশীল
আর নাপা হচ্ছে বিভ্রান্তি ।
স্রষ্টা হচ্ছেন, “একের সাথে বহুর” ঐকতানিক সম্পর্ক স্থাপনের মুল শক্তি
তিনি একের সাথে বহুর ভারসাম্যের মূল , তিনি একের সাথে বহুর বিচ্ছিন্নতা- নিঃসংগতা বিরোধী ।
মানুষ!
মুর্ত বিমুর্ত তার “ঐকতানিক সতস্ফুর্ত রূপ” যখন সবখানে দেখতে থাকে
তখন সে-ই হয়ে যায় সমগ্র ।
এই সমগ্রের প্রতি মমতায় যখন সে আচ্ছন্ন হয়ে পরে
তখন দমে দমে ছড়িয়ে পরে শুধু ভালোবাসার সম্মানে - প্রানোবন্ত ঢেউ ।
খারাপ নেতা হয় আত্ম-কেন্দ্রিক আত্ম-অহংকারী সৈরশাসক প্রকৃতির । তার অনুসারীরা হয় তার থেকেও ঢের অহংকারী , একসময় তার অনুসারীদের হাতেই তার ধংস ধেয়ে আসে ।
ভালো নেতা তার অনুসারীদের নিজেরই প্রতিরূপ করে তোলে , নিজেকে করে তোলে সম্পুর্ন বিকেন্দ্রিক , যাতে নেতার দিকে তাকিয়ে খেলতে গিয়ে খেলাটাই না ভুলে বসে ।
ঠিক বার্সেলনার কোচ গার্ডিওয়ালার মত , দলের প্রত্যেক কেই যে পরিনত করেছিল নেতায় ।
সে দলে কেউ একা খেলতো না , খেলতো আর খেলাতো , গোল করতো আর করাতো ।
শুন্যের মত বিশালতায় , গার্ডিওয়ালা , মাঠে নিজে না খেলেই , নিজের বিমূর্ত স্বকীয়তার বাস্তব রূপ দিয়েছিল ১১ আলাদার মাঝে ঐক্য এনে । বার্সায় একজন শুন্য হয়ে ১১ জনের জন্যে খেলতো তাই অহংও জন্ম নিতো না - শক্তিরো ক্ষয় হতো না ।
ভারসাম্যপুর্ন এক অনন্ত শক্তি তারা শুন্যের মত উড়ে উড়ে খেলতো আর সাফল্য তাদের কাছে ধরা দিতে উদগ্রীব থাকতো ।
আজ তারা বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ফুটবল দল ।
একা খেলার চেয়ে
দলীয় একাদশে খেলা ভাল।
তার থেকে দেশিও একাদশে খেলা ভাল
বিশ্ব একাদশে খেলা আরো ভাল
সবচে ভাল গোল করে আর গোল করিয়ে , যাকে বলে প্লে মেকার ।
বহুকে আপন করে নেয়ার মত মানোসিকতা , বিমূর্ত স্বকিয়তাকে বাস্তব রূপ দেয়ার ক্ষমতা , মমতাময়ী আচরন , বহুতে সমন্বয় সাধন , শুন্যের মত বিশালতায় সুস্থির ভারসাম্য-ভয়হীনতা , ইচ্ছায় প্রখরতা , বিশ্বাসে অটলতা , দূর কে কাছে দেখার ক্ষমতা , চটজলদি সহজ ভাবনা , নান্দনিকতা , সাবলীলতা , নৈতিকতা ইত্যাদি বহু গুনের সাথে এক মনের ঐক্য সাধন যে করতে পারে , সেই সব কিছুর ওপরেই প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা অর্জন করে , সেই আসল নেতা , পরিপূর্ন মানুষ ।
শুধু এক গুন দিয়ে সোনার মানুষ হওয়া যায় না , একে বহুর সন্নিবেষন চাই ।
সমাজের দুর্বল, ব্যর্থ মানুষদের চরিত্র বিশ্লেষন করলে এক ঘেয়েমি গুয়ার্তুমি চারিত্রিক বৈশিষ্ট , আমরা লক্ষ করি ।
গাছের পাতাদের মধ্যে কিছু না কিছু পার্থক্য আছে , অথচ প্রভুর প্রেরনায়- এক গাছ তার নেতৃত্বের গুনে সব পাতাদের মধ্যে এমন ঐকতান আনে, যে সবাই এক সবুজ রং- একি ধাচের আকৃতি ধারন করে, একজনের সাথে অপরজন একাত্বতা প্রকাশ করে ।
ভালো নেতাও এভাবে সর্বসাধারনের মধ্যে ঐকতানিক ছন্দ তৈরী করে ,
সবার মধ্যে আনে সম্মানের এক ভালবাসার রঙ , যাতে তারা সতেজ-সবুজ থাকতে পারে ।
যার যার স্বতন্ত্র রঙ্গে, সে আরো রঙ্গিন হোক
গোলাপ আরো গোলাপি , জবা আরো লাল
আমরা চাই না শুধু একটা গোলাপ ফুটুক
আমরা চাই না গোলাপ জবার মত ফুটুক
আমরা চাই এক গোলাপের মত হোক হাজারো গোলাপ
আমরা চাই গোলাপ তার নিজের ঢঙ্গেই ফুটুক
বহু ফুলের নিজ নিজ রঙ্গে ভরে উঠুক সাজানো ফুলের “এক” বাগান
এমন সাজানো বাগানের মালীকে শ্রদ্ধা , শুন্যের মত যাকে দেখা যায় না
অথচ সে-ই ঐকতান , সে-ই বাগান , সে-ই আনন্দ ।
প্রকৃতির সর্বত্র বৈচিত্র আর এই বৈচিত্রেরি নান্দনিক ঐকতান দেখা যায়।
এক ফুলের পাপড়ির সাথে অন্য ফুলের পাপড়ির মিল নেই, তবু সবারি পাপড়ি আছে ।
একটি ফুলের পাপড়ি ১০ টি থাকতে পারে , কিন্তু তারা বিচ্ছিন্ন নয় আবার একটার সাথে অন্যটা লেপ্টে বিকৃত হয় নাই, পাপড়িরা পাশাপাশি স্বতন্ত্র থেকে ঐকতানিক ছন্দ তৈরী করছে- ফুলের নেতৃত্বের গুনে , প্রভুর প্রেরনায় ।
আবার ফুল শুধু নিজের মধ্যেই বৈচিত্রময় ঐকতানিক রুপ কে লালন করছে না ,
অপর এককের(ভ্রমরার) জন্যেও সে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলছে ঐক্য বজায় রাখতে ।
ময়ূরের পেখমে প্রায় একি ধাছের ছন্দময় পালকদের দেখা যায় ।
প্রভুর প্রেরনায় ময়ূরের নেতৃত্বের গুনে –
পালক শুধু নিজের মধ্যেই ছন্দময় ঐকতান আনেনা,
অন্য পালকদের সাথেও ছন্দময় ঐকতান বজায় রেখে তৈরি করে বিশাল এক পেখম ।
আবার ময়ূর শুধু নিজের মধ্যেই বৈচিত্রময় ঐকতানিক রুপ কে লালন করছে না , অপর এককের(ময়ূরীর) জন্যেও সে নিজেকে আকর্ষনীয় করে তুলছে ঐক্য বজায় রাখতে ।
কাক ময়ূরের পেখম পরলে কিছুক্ষন পরেই তা ঝরে যায় এবং সবার কাছে তাচ্ছিল্যের পাত্র হয়,
“পরের স্বকিয়তায়” কখনো “বহুতে একাত্ব” আনা যায় না ।
কি চমৎকার গনিত –
১আমি + (0স্বার্থ মন,অকৃত্তিম আন্তরিক) = ১ , আমিই তুমি তুমিই আমি ১ ১ ১ ১….(অসিম শক্তি)
১ আমি - (১নিজের চিন্তায় ব্যস্ত লোভী মন,আমিই সেরা) = 0 , (আমি প্লাস তুমি মাইনাস , তুমি আর আমি আলাদা) ।
এক পরিবারে লক্ষ কোটি ওয়েব সাইট কে এনে
google.com একের সাথে বহুর সম্পর্ক স্থাপন করেছে
আজকে সে পৃথিবীর সেরা সার্চ ইঞ্জিন ।
লক্ষ কোটি মানুষ কে এক পরিবারে এনে
facebook.com একের সাথে বহুর সমন্বয় ঘটিয়ে সবার সেরা
সে দুনিয়ার নাম্বার ওয়ান সামাজিক ওয়েব সাইট ।
আকাশের বহু রঙ দেখে কেউ বলে না
বহু রঙের আকাশ , বরং বলে আকাশের বহু রঙ
ক্ষনস্থায়ী রঙ বদলায় , সময় ঘুরপাক খায়
বিশাল এক আকাশ , আকাশি থেকে যায় ।
আকাশ এক এক করে বহু রঙ নিয়ে সাতরে বেড়ায়
কখনো কালো, কখনো সাদা , কখনো আকাশি , কখনো নীলাভ , কখনো লাল , কখনো রং ধনু সাত রঙ , কখনো গোধুলী বেলায় অনন্ত রঙের উতসবে সে সদা মাতে ।
কিন্তু সে যে শুন্যের মত বিশাল – কখনোই ভুলে না
তাই তো এক এক করে বহু রঙ নিজেদের ছড়িয়ে দেয়, নির্দিধায় -
তাদের আশ্রয় এক আকাশের বুকে ।
ডাকার মত ডাক দিলে
আপন করে ডাক দিলে -
এক এক করে বহু সাড়া দেয়
অনায়াসে এগিয়ে নেয় “ঐক্যের নৌকা” ।
ট্রেনের ভালোবাসার আছে তুলোনা ?
ট্রেনের ভালোবাসা চলে শুধু সরল পথে
রেল লাইন বহে সমান্তরালে ।
বহুর চামে চিকনে কানা গলির বাস, ট্রাক, রিকশা, মানুষ
এসব আলাদা অস্তিত্ব
শ্রদ্ধায় অবনত
যখন মহামান্য ট্রেন
তাদের সামনে চলাচলরত (সিগন্যাল)।
কুউউউ ঝিক ঝিক
কি মমতাময়ী গভীর নিনাদ !
এক এক করে বহু কে “এক” করে সে ছুটে চলে ক্লান্তিহীন রাত্রিদিন
সে বলে “আমার ভালোবাসা আমার বহু, আমারি শরীর,
আমার শরীর বয়ে নিতে আমার ক্লান্তি নেই”।
তাইতো সবাই বলে , এরা সবাই ট্রেনের যাত্রী ।
বলেনা তো কেউ যাত্রীদের ট্রেন ।
একটা লেচু বাগানে শুধু বহু লেচু গাছ থাকে
একটা লেচু গাছে শুধু বহু লেচুর থোকা থাকে
লেচু গাছে আম ধরে না
সবাই যে যার মত স্বতন্ত্র
একের ভেতর “দৈত্ব” থাকে না
এক , এক রুপেই থাকে ।
এক থোকায় শুধু বহু লেচু থাকে , কিছু লেচু টাটকা আর কিছু পচা
এই পচা লেচু , লেচু গাছের ঐক্যের আহবান প্রত্যাখান করেছিল , আম হতে চেয়েছিল কিংবা চেয়েছিল আলাদা বিশেষ কিছু একটা হতে
যেমন কিছু মানুষ হতে চায় অসাধারন কিছু একটা, সবার সেরা
সে যে অতিসাধারন মাটির মানুষ , এই সত্যই সে মানতে চায় না ।
ঐক্যে বিদ্রোহী লেচুর প্রান তার সতেজতা হারায় , বিকৃত রঙ ধারন করে
মহাপ্রান প্রকৃতি-লেচু গাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
মৃত্যু বরন করে ঝরে পরে বা পচে যায় ।
বিদ্রোহীর শেষ পরিনতি পচন ।
সামাজিক লেচু মিষ্টি , তাকে সবাই ভালোবাসে
অসামাজিক লেচু পচা , তাকে সবাই ফেলে দিতে চায় ।
লেচুগাছে মানুষ ধরে না
লেচুগাছে লেচুই ধরে , মানুষে মানুষ ।
মানুষের ত্যাগে সেবায় বেড়ে ওঠে লেচু
সেবা দিলেও , নিজের ভেতরের ছাগলটাকে দিয়ে সে লেচু গাছটাই খেয়ে ফেলেনা ,
নিজের “সম্মান আর ভালোবাসায়” পুর্ন মানবিক হৃদয়টা সে দূষিত করে না লালসায় ।
লেচুও অকৃতজ্ঞ নয়
বড় হয়ে লেচুও মানুষের ভোগে তৃপ্তি আনে , সেবা দেয় থোকায় থোকায়
সেবা দিলেও নিজের লেচু জাতিয়ো স্বকিয়তায় সে থাকে অটল
ফল দিলেও সে নিজের অস্তিত্ব বিসর্জন দেয় না ।
এমনি করে ত্যাগে ভোগে – লেচু মানুষে –
“এক” “অপর এক” কে , হাতে হাত ধরে এগিয়ে নেন দয়াময় প্রভু ।
ঢাকা-মাওয়া রাস্তাটা নিঃসংগ একজন
তার বিদ্রোহী কালো স্বত্তাটা শুধু মানুষের রক্ত খেতে চায়
দেশদ্রোহীও তার রক্ত পিপাসা মেটাতে খুব যত্নবান
অথচ এক রাস্তায় , বহুর বৈচিত্রে ঐক্য আনতে পারতো শুধু একটা আইল্যান
বহুমুক্ত “এক” কখনো আশির্বাদ নয় , অভিশাপ ।
মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে সেই সবার ওপরে
যে নিজের রঙ্গে বহুর মাঝে আনে ঐক্য
এই ঐক্য নিয়ে, এক এক করে সে বহুখানে ছড়িয়ে পরেছে সবচে বেশি ।
সেই ব্যর্থ যে শুধু এক জায়গায় সীমাবদ্ধ রেখেছে নেটওয়ার্ক ।
শুধু কথা বলা যায় এমন মোবাইল ফোনের মুল্য নেই ।
বহু মুক্ত মোবাইল ফোন, এখন “নিঃসংগ একটা কিছু”
এমন “আলাদা একটা কিছুর” জনপ্রিয়োতা নেই , যেমন এক খন্ড গাছের ডালের তেমন মুল্য নেই অথচ মুল-কান্ড-শাখা প্রশাখা-পাতা-ফুল ফলের স্বকিয়তা ধরে রেখে ঐক্য সাধনকারী এক গাছ কত মুল্যবান ।
এক মোবাইল ফোনে এক এক করে বহুর ঐক্য -
মোবাইল ফোন কে করেছে স্বয়ং সম্পুর্ন ।
জনপ্রিয়ো এক মোবাইল ফোনে এখন -
এক টেলিভিশন , এক ক্যামেরা , এক মিউজিক প্লেয়ার , এক ভয়েস কল , এক ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক এক করে বহুর ঐক্য এসেছে-এক মোবাইলের প্রেরনায় ।
তারা সবাই এখন মোবালিয়ো্ রঙ্গে একীভুত অথচ নিজস্ব ঢঙ্গে স্বতন্ত্র
এক মোবাইল ফোন তার ভালোবাসার আঙিনায় , সবাই কে একসাথে নয়
এক এক করে আশ্রয় দিয়েছে তাদের স্বকীয়তা অনুযায়ী , কাউকে সবার উপরে কাউকে সবার নিচে নয় , সবাই কে সমান হারে ।
এই “বহুর একত্বের” মধ্যে কেউ নিজেকে সর্বসেরা বলে জাহির করতে গেলে
সে “ঐক্যের বিশালতার” আশির্বাদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
যেমন “ক্যামেরা” অপশনটি নিজেকে সর্বসেরা ঘোষনা করলে
মোবাইল ফোনের আহবান করা ঐক্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে -
বিচ্ছিন্ন হয়ে একা আলাদা হয়ে পরে এবং
একসময় নিঃসংগতায় নিঃশেষ হয়ে যায়
এভাবে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা অপশনটি
তাড়া তাড়ি নষ্ট হয়ে যায় ।
তাছাড়া এক ব্যবহারকারী , এক সময়ে এক মোবাইল ফোনের একটি অপশনি ব্যবহার করার
মাধ্যমে, এক এক করে সে বহুর মধ্যে ঐক্য বজায় রাখে
একি সময় জগা খিছুড়ি পাকিয়ে সে সব করে না ।
যেমন মোবাইল ফোনে গান শোনার সময় সে মোবাইল ফোনে কথা বলে না ,
এমনটি জোর করে করতে গেলে দুটার কোনটাই আর হয় না
দ্বন্দের খপ্পরে পরে, দুর্দশার যাত্রা হয় শুরু ।
উপরে মোবাইল ফোনের বর্ননায়, সর্বাধুনিক মোবাইল ফোনের ভুমিকায় আছেন সমাজতান্ত্রিক কিউবার পিতা ফিদেল ক্যস্ত্রো , সাধারন মোবাইল ফোনের ভুমিকায় আছে দরিদ্র দেশগুলোর ভুয়া গনতান্ত্রিক রাস্ট্রিয়ো ব্যবস্থা আর উম্মত্ত ক্যামেরা অপসনে আছে ধনতান্ত্রিক উন্নত দেশগুলো এবং আফ্রিকার স্বৈর শাসক গোষ্ঠি ।
পরিবারের সবার মধ্যে থাকে ঐক্য
সবার জন্যে থাকে সমান সুবিধা
একে অন্যের জন্যে বেচে থাকে আজীবন
এখানে “আলাদা একজন” বলে কিছু নেই, তাই তারা অভিশপ্ত নয়
এভাবে একের সাথে বহুর ঐক্য, সবাইকে দেয় সুখ ।
হোটেলে কেউ কাউকে চেনে না
এখানে কেউ কারো জন্যে না
হোটেলে সবাই “আলাদা একজন”
একের সাথে বহুর অনৈক্যের কারনে -
এখানে সবাই বিষন্ন থাকে , স্বল্প সময়ের জন্য
তারপর প্রান প্রিয় পরিবারে ফিরে গেলে , সে বাচার মত বাচে আজীবনের জন্য ।
আমিই “সত্য” , সত্য আনে এক এক করে বহুর মধ্যে ঐক্য
ঐক্যের পরশে এক পাখির ডানা পায়, তার এক এক ডানায় ভারসাম্য ,
এই ভারসাম্য তাকে দেয় তার আকাশে উড়ার স্বাধিনতা , স্বাধিনতাই আনন্দ ।
যা ইচ্ছা তাই করার নাম স্বাধিনতা নয় , এটা স্বেচ্ছাচারিতা
এটা ব্যক্তিকে বিচ্ছন্ন করে ফেলে বৃহত্তর ঐক্যের কল্যান থেকে
এই বিচ্ছিন্নতায় আসেনা কখনো দুই ডানায় ভারসাম্য
আর ভারসাম্য রাখতে না পারলে উড়ার সুখ স্বাদ নেয়া দূরে থাক
হাত পা ভাঙে ।
শুধু ভাত কেউ খেতে চায় না
তাই শুধু ভাতো হয়ে যায় “বহুমুক্ত আলাদা একজন”
ভাতের সাথে এক এক করে না না পদের তরকারী আনে ঐক্য
আর ঐক্য আনে আশির্বাদ – তৃপ্তির ঢেকুর ।
বৈচিত্রময় এক খাবার , বহু লোকদের বন্টনে – আরো সুখ , আরো তৃপ্তি ।
তুমি “এক” , এক এক করে তুমিই বহু – বহুই তুমি ।
তুমি এক মহা সমুদ্র ,
এক মহা সমুদ্রের মাঝে আরেক মহা সমুদ্র থাকে না , মতি ভ্রমের দ্বৈত মহা সমুদ্রে ,
তোমার নিজেরি সাথে তোমার ঘূর্নিঝর নিশ্চিত , রক্ত ক্ষরন অনিবার্য ।
বরং তুমি মহা সমুদ্র, ধারন করে আছো- এক এক করে বহু দিকে
তোমার নিজেরি একি অজস্র ঢেউ ।
দুই নৌকায় পা দিয়ে চললে, ডুবে মরবে নিশ্চিত ।
এক মন দুই দিকে ছুটলে , কোন দিনি পাবে না গন্তব্য ।
কারন -
দুই হাতে একি সময় লেখা যায় না
দুই হাতে কেউ ভাত খায় না
এক সিটে দুই জন বসে না ,
এক এক সিটে, এক এক করে হাজারো মানুষ বসে, এক গ্যালারিতে আনে এক পুর্নতা ।
“দৈ খাবো না খৈ খাবো” করলে কিছুই আর কপালে জোটে না ।
আন্তরিকতা আর অবহেলা এক সাথে থাকলে , কানা কলসিতে পানি থাকে না ।
দুই লাফেই কেউ দুই তলায় উঠে না ,
এক ধাপ এক ধাপ করে ঠিকই সিড়ি বেয়ে উপরে পৌছে , মানুষ ।
একটি লেখার উপর আরেকটি লেখা লেপ্টে গেলে , লেখাটাই আর পড়া যায় না , যেমন -
ভাল মন্দে দূষিত দ্বান্দিক মানুষ কিছুতেই সূর্যের মতো প্রকাসিত হয় না ।
একি সময় দুই কাজে হাত দিলে দুই কাজের ফলাফল ব্যর্থতা , যেমন-
বলটা মারবে না ঠেকাবে, একি সময় দুই চিন্তায় বোল্ড হয়ে যায় ব্যটস ম্যান ।
ছোট বেলার এই শিক্ষাটা কত না ভালো –
ঘুমের সময় শুধুই ঘুম
“ঘুমের সাথে চিন্তা”র পরিনাম – ব্রেন স্ট্রোক ।
খাওয়ার সময় শুধুই খাওয়া ,
“কথার সাথে খাওয়া”র পরিনাম – বদহজম ।
কাজের সময় শুধুই কাজ
“কাজ আর আলসি”র পরিনাম – অদক্ষতা ।
খেলার সময় শুধু খেলা
খেলা আর খাওয়া এক সাথে নয় ।
কাঠ মিস্ত্রি শুধুই করবে কাঠের কাজ
কাঠের কাজ আর জুতা তৈরীর কাজ একজনি করতে পারে না ।
বিশ্বাস করলে শুধুই বিশ্বাস
বিশ্বাসের সাথে সন্দেহ আনে দুর্বলতা ।
ভালোবাসলে শুধুই ভালোবাসো
ভালোবাসা আর ঘৃনা একসা্থে আনে বিকৃতি
তাইতো শুধু “ভালবাসার সম্মান” সম্বল –
শুন্যের মতো বিশালতা আমার ।
“দ্বন্দ” নামের বিষে দূষিত, ঘরের কোনে বন্দি যত্ত সব ব্যর্থ মানুষ ।
আর ভালবাসার সম্মানে , এক ধ্যান - এক মন - এক লক্ষ্যে
বহুকে নিয়ে বৈচিত্রময় ঐক্য গড়ে, অসীমে ছড়িয়ে পরে-
এক বিশাল মানুষ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।