আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসাদের এখন দিন গণনার পালা

আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের এখন দিন গণনার পালা। তার সঙ্গে আলোচনার দিন শেষ হয়ে গেছে। তার সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কার নয়, আলোচনা হতে পারে কিভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন তা নিয়ে।

এসব কথা বলেছেন, আরব লীগের মহাসচিব নাবিল আল আরবি। তিনি আল হায়াত পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। ওদিকে বিদেশী শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছে সিরিয়া। এমন হুমকি দিয়ে এবার সরাসরি সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিহাদ মাকদিসি বলেছেন, তারা বিদেশী বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলে ওই অস্ত্র ব্যবহার করবেন। এর মাধ্যমে সিরিয়া প্রকাশ্যে স্বীকার করল তার হাতে ওই ধরনের অস্ত্র আছে।

এ পরিস্থিতিতে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। বাজারে দোকানপাট খুলছে না। খাদ্যসহ নিত্য পণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে হোমস সহ বিভিন্ন শহরে। অভিযোগ আছে, দেরা শহরে প্রেসিডেন্ট বাশারের সেনারা মায়ের সামনে তাদের সন্তানদের হত্যা করছে।

শুধু গতকাল হত্যা করা হয়েছে ৩৩ জনকে এ অবস্থায় সিরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে অবরোধ আহ্বান করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। ওদিকে সিরিয়ার হুমকিতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ। সিরিয়ার কাছে স্নায়ু অকার্যকর করার অস্ত্রসহ মাস্টার্ড গ্যাস, গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছুড়তে সক্ষম স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী রকেট এবং অত্যাধুনিক বহনযোগ্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। মাকদিসির বক্তব্যে দ্রুত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের মর্মান্তিক ভুল যদি সিরিয়া করে তাহলে এজন্য প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকেই দায়ী থাকতে হবে।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জর্জ লিটল বলেছেন, সিরিয়া ইতিমধ্যেই নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যথেষ্ট নিপীড়ন চালিয়েছে। মুখপাত্র এখন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি তাদের চিন্তাও করা উচিত নয়। হোয়াইট হাউস টমি ভিয়েটর বলেছেন, সিরিয়ার সহিংসতা বৃদ্ধি এবং আসাদ সরকারের জনগণের ওপর এর নির্যাতন বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের এ ধরনের অস্ত্রের ব্যাপারে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। সিরিয়ার এ ধরনের সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। বর্তমানে সার্বিয়া সফরকারী বান কি মুন বলেছেন, সিরিয়ার কেউ যদি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করে তবে এর ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভব হবে না।

বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ সিরিয়ার এ হুমকিকে অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করে বলেছেন, সিরিয়া যে মনে করছে তারা বাহ্যিক শক্তির আক্রমণের শিকার হবে সেটা ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের নিজস্ব জনগণের বিরুদ্ধে যে অত্যাচার নিপীড়ন চলছে তা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, কোন পরিস্থিতিতেই সিরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। সিরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের হুমকিকে ‘দানবীয়’ এবং অগ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাইডো ওয়েস্টারওয়েলে এক বিবৃতিতে বলেছেন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দানবীয় আচরণ।

এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিরিয়ার গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সত্যিকার অর্থেই বেশ উদ্বিগ্ন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন ইউনিয়ন সদস্যদের সঙ্গে এক আলোচনা শেষে বলেছেন সংঘাতপূর্ণ যে কোন অঞ্চলেই গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ থাকার বিষয়টিই উদ্বেগের। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরেন্ট ফাবিয়াস বলেছেন, ফ্রান্স এ ধরনের অস্ত্রের মজুদের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখছে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.