আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত মুঠোফোনে প্রেমের নামে প্রতারণার পর যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে। আড়াই মাস পর গতকাল সোমবার রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লি থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নির্মম এই ঘটনার শিকার মেয়েটির বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলায়।
উদ্ধার হওয়া এই স্কুলছাত্রী আজ মঙ্গলবার থানা হেফাজতে সাংবাদিকদের জানায়, মাস তিনেক আগে মুঠোফোনে এক তরুণের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এর পর থেকে মাঝেমধ্যেই কথা হতো তার সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু তখনো সে জানত না অপরিচিত তরুণের পরিচয়। গত ৭ মে গোপালগঞ্জ শহরে তাকে আসতে বলে ওই তরুণ।
কথা অনুযায়ী সে তরুণের সঙ্গে দেখা করে। বেড়ানোর কথা বলে তাকে (স্কুলছাত্রী) ঢাকার সাভারের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায় ওই তরুণ। সেখানে এক দিন আটকে রাখে। পরদিন খালার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ফরিদা বেগম নামের এক যৌনকর্মীর কাছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়। তারপর তাকে জোর করে পতিতাবৃত্তিতে নামানো হয়।
গত রোববার সন্ধ্যার দিকে এক লোক তার (স্কুলছাত্রী) কাছে গেলে সে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য কাকুতিমিনতি করে। ওই লোক মুঠোফোন দিলে সে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর জানায়। খবর পেয়ে তার মা গত সোমবার বিকেলে বিষয়টি গোয়ালন্দঘাট থানার পুলিশকে জানান। পুলিশ গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফরিদা বেগম ও তাঁর স্বামী ফজলুর রহমান পালিয়ে যান।
গোয়ালন্দঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহামেঞ্চদ জানান, সোমবার রাতেই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে যৌনকর্মী ফরিদা ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সকালে স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজবাড়ীর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।