মৃত্যুর সু-শীতল ছায়াতলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। । । আমি খুবই সাধারন একজন। বরিশাল, জুন ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অপ্রাপ্ত বয়সে তাদের হাতে উঠেছিলো মোবাইল টেলিফোন।
নির্বিঘেœই তা ব্যবহার করছিলো তারা। কিন্তু আটক হলো পুলিশের হাতে।
অপ্রাপ্ত বয়সে মোবাইল টেলিফোর ব্যবহার করার অভিযোগে বরিশালে ৯৩ জন কিশোর-কিশোরীকে আটক করে পুলিশ।
পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার ও মঙ্গলবার জেলার ৯টি থানায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে এই কিশোর-কিশোরীদের আটক করা হয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) দেবদাস ভট্টাচার্য্য।
এদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী।
এসপি দেবদাস ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সামাজিক অবক্ষয় রোধে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল টেলিফোন ব্যবহার বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ আসে।
সেই নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার থেকে ৯ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং ব্যস্ততম এলাকায় অভিযান শুরু করা হয়।
তিনি জানান, আটক কিশোর-কিশোরীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে এই মর্মে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়েরা যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারে।
পরে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার শর্তে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না- এমন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো প্রচারণা চালানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে দেবদাস ভট্টাচার্য্য বলেন, না তেমন কোনো প্রচারণা চালানো হয়নি। তবে যেহেতু অভিযান চালানো হচ্ছে তাই সবাই বিষয়টি জেনে যাবে।
এসপি জানান, এই বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দেশের বৃহত্তম মোবাইল টেলিফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের কল সেন্টারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া ফোনের সিম কার্ড বিক্রি করে না। জাতীয় পরিচয়পত্র তাদেরই থাকে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি।
পুলিশ জানায়, কিশোর-কিশোরীদের কাছে টলিফোনের যে সিমকার্ড পাওয়া গেছে তা তাদের অভিভাবকদের নামে ক্রয় করা।
গৌরনদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম শিকদার জানান, অভিভাবকরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন। তারা পুলিশের কাছে প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল টেলিফোন ব্যবহার করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে আরো আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত ছিলো।
উতসঃ এখানে দেখুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।