সকালে উঠে খবরটা দেখে মন ভাল হয়ে গিয়েছিল।
Click This Link
আমি মোবাইল ফোন হাতে পেয়েছি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে উঠে, ২০০২-এ। আমার সমবয়সী অনেকেই এই বয়সে কিংবা দু-একবছর আগে-পরে পেয়েছে। আমরাও বাড়ি থেকে অনেক দূরে পড়াশোনা করেছি। কই, আমার বা আমাদের তো খুব বেশি সমস্যা হয়নি।
এখনকার পোলাপান ক্লাস ফাইভে উঠলেই হাতে মোবাইল, তিন-চারটি সিম কার্ড পকেটের চিপায়। শুরু হয় ফোন-টিজিং, মিনিংলেস হোল নাইট গোসিপিং, মাল্টি অ্যাফেয়ার্স এবং অনেক ক্ষেত্রেই টেলি-সেক্স। বখে যাবার জন্য আর কি লাগে...??
যারা বলবেন, নিরাপত্তা-ট্র্যাকিং এগুলোর জন্য মোবাইল ফোন পিচ্চিদের হাতে তুলে দেয়া উচিৎ তাদের বলছি, মোবাইল ফোন যতটুকু নিরাপত্তা দেয় তার চেয়ে হাজার গুণ ঝুঁকিতে ফেলে নৈতিকতার নিরাপত্তাকে। সমাজকে আরো ধ্বংসের পথে নিতে এসব প্রযুক্তিগত সহজলভ্যতা অবশ্যই বন্ধ করা দরকার।
ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও এরকম বাধ্যবোধকতা আনার সময় বোধহয় এসে গেছে।
বাসায় কি করে জানি না, কিন্তু আমি অনেক স্কুলগামী পোলাপাইনকে দেখেছি সঙ্গী নিয়ে সাইবার ক্যাফের বদ্ধ চিপায় ঢুকে পড়ে। কি দেখে, কি পড়ে তার কোন ঠিক-ঠিকানা নাই। কারা কিভাবে সাইবার ক্যাফেতে যাবে সে বিষয়ে একটা গাইডেন্স প্রয়োজনে আইনি কর্তৃপক্ষ থেকেই আসা উচিত। কারণ আমাদের ব্যবসায়ীদের নৈতিকরা বুলি শুনিয়ে লাভ নেই। ব্যবসার কারণে এরা সব করতে পারে।
যাদের বাসায় ইন্টারনেট আছে, তাদের পোলাপাইনরা রুমে ঢুকে রুম বন্ধ করে ইন্টারনেটে বসে কি-না সেটা দেখার দায়িত্ব বাবা-মার। কিন্তু আইএসপি-রা কাকে লাইন দিচ্ছে, সেখানে কোন কোন সাইটের অ্যাকসেস থাকবে সেটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার সময় এখনই।
এই যুগে পিছিয়ে থাকার/যাবার সুযোগ নেই। তাই প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুবিধার সাথে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার্ও অনেক বেশি। কিন্তু যে প্রাযুক্তিক অ্যাডভান্সমেন্ট অবক্ষয় ত্বরাণ্বিত করার পথ দেখায় সেখানে অবশ্যই একটা গেটকিপিং আনতে হবে।
আলট্রা মডার্ণ পোলাপাইনের গালিগালাজ শোনার ভয় সত্ত্বেও পোস্টটা লিখলাম। যারা গালিগালাজ করবে, তারা পার্সনালি ইনভাইটেড। ব্লগীয় পরিবেশ নষ্ট করার আহ্বান থাকছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।