মনের মহাজন খুঁজে ফিরি....
আমাদের প্রিয় হুমায়ূন আহমেদের লাশ নিয়ে এত রাজনীতি হচ্ছে কেন ? তিনি যেখানে নিজের মুখে নূহাশপল্লীতে তাকে সমাহিত করার কথা বলে গেলেও কি এমন অদৃশ্য কারণে বিলম্ব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ? তার লাশ যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থাতেও বলা হয়েছিল তার স্ত্রী শাওন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত হবে, কিন্তু তিনিও নূহাশপল্লীতে তাকে দাফনের কথা বলার পরেও বিকল্প ভাবা হচ্ছে কেন ? আমরা সাধারণ ব্লগারদের দাবী আপাতত ১০টি কারণে আমাদের এই প্রিয় লেখককে আর কষ্ট না দিয়ে তাকে নূহাশপল্লীতে দাফন করা হোক।
০১. হুমায়ূন আহমেদ নিজের মুখে তাকে নূহাশপল্লীতে সমাহিত করতে বলেছিলেন ।
০২. তার লাশ যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অবস্থাতে বলা হয়েছিল তার স্ত্রী শাওন যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাই চূড়ান্ত হবে, এবং তিনি নূহাশপল্লীতে দাফন করতে বলেছেন ।
০৩. নূহাশপল্লী ছিল তার সব থেকে প্রিয় জায়গা ।
০৪. নূহাশপল্লী ছাড়া অন্য কোন কবরস্থানে দাফন করা হলে নারী ভক্তরা তাকে দেখতে যেতে পারবেন না ।
০৫. নূহাশপল্লী ছাড়াও তার কয়েকটি পল্লী ছিল কিন্তু তাকে চিনতে হলে একমাত্র নূহাশপল্লীই বড় পরিচয় ছিল ।
০৬. তার অসংখ্য অর্জন রয়েছে নূহাশপল্লীতে।
০৭. পৃথিবীর কোন দর্শনার্থী তাকে দেখতে আসলে যেন তার প্রিয় জায়গা নূহাশপল্লীতেই যেতে হয় ।
০৮. নূহাশপল্লীতে তাকে দাফন করা হলে তবেই এই বিখ্যাত নূহাশপল্লী অমর হয়ে থাকবে ।
০৯. মৃত্যুর আগেও তিনি অন্য কোথাও না গিয়ে শেষ বারের মতো ভালোবেসে নূহাশপল্লীতে এসেছিলেন ।
১০. সর্বপরি আমাদের প্রানের দাবী তাকে অন্য কোথাও দাফন না করে নূহাশপল্লীতে দাফন করা হোক ।
প্রিয় ব্লগার ভাই ও বন্ধুরা,
আপনারা নিশ্চয় জানেন, ব্লগ এখন একটি শক্তিশালী প্রচার মাধ্যম। এই মূহুর্তে আমরা ব্লগের মাধ্যমে প্রিয় লেখককে তার প্রিয় জায়গাতে সমাহিত করার দাবী জানিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিন তার লাশ যেন নূহাশপল্লী ছাড়া অন্য কোথাও কোন ভাবেই দাফন করা না হয়। আর যেন তার লাশকে কষ্ট দেওয়া না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।