হুমায়ুন আহমেদের সবচেয়ে বড় গুণ তিনি জনপ্রিয় সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন, অজস্র পাঠক তৈরী করেছেন, অজস্র পাঠককে তার সহজ সাবলিল ভাষা আর মন ভোলানো গল্পের মাধ্যমে টেনে ধরে রাখতেন। কিন্তু ছাড়তেন কি? হুমায়ুনের গল্প-উপন্যাসের সহজ ও তরল বয়ানে অভ্যস্ত তরুণ তরুণীর পক্ষে কি জীবনের জটিলতাকে তার পারিপাশ্বির্কের মধ্যে ধারণ করে যে ধরণের গল্প উপন্যাস তা কি আর পড়া সম্ভব হয়? জনপ্রিয় সাহিত্যের যে ধরণ হুমায়ুন তৈরী করে দিয়েছেন, সেই ছাচের বাইরের সাহিত্য কি হুমায়ুনের পাঠকরা পড়েন? এখন কি পড়বেন? বাংলা সাহিত্য হুমায়ুনি তরল সাহিত্যের রাহুর গ্রাসে আচ্ছন্ন ছিল এতদিন। হুমায়ুনের মৃত্যুতে কি সেই আচ্ছন্নতা কেটে নতুন সাহিত্য তৈরী হওয়ার রাস্তা তৈরী হবে যেখানে মানুষের আবেগ অনুভূতি ভাসা ভাসা ভাবে হাজির হবে না, সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্যাক্তির উন্নাসিকতা/পাগলামি’র ঘোর তৈরী করা হবে না? প্রকাশকরা কি হুমায়ুনি কুড়মুড়ে সাহিত্যের ধারার বাইরে জীবনকে তার রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে ধরতে চায় এমন গল্প-উপন্যাস প্রকাশ করবে? হুমায়ুনি সাহিত্যের ভক্তকুল কি সেই নতুন সাহিত্য পড়বে? বাংলা সাহিত্য কি হুমায়ুনি জনপ্রিয় সাহিত্যের গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারবে এখন? এরকম অনেক প্রশ্ন বাতাসে ভাসছে। দেখা যাক মধ্যবিত্ত জীবনের ভাসা ভাসা বয়ানের হুমায়ুনি সাহিত্য কয় দিন টেকে!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।