চারপাশে আত্মমুগ্ধ আদিমতাবোধ, আর গ্রন্থিবদ্ধ চিন্তা; সেখান থেকে মুক্তির পথ খুঁজি... বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত নুহাশ পল্লীতে হুমায়ুন আহমেদের কবর। শাওনের জীবনের শ্রেষ্ঠ নাটক মঞ্চস্থ হলো সারা বাংলায়, অতি অবশ্যই এক মহান অভিনেত্রী তিনি। শেষ পর্যন্ত জনপ্রিয় কথাশিল্পী ও নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদের কবরের দখল অর্জন করে আমাদের মাঝ থেকে সরিয়ে নিলেন তিনি, পরিবারের অন্য সদস্যদের নিকট থেকেও সরিয়ে নেওয়া হলো এবং কবরটিকে করে তুললেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি।
নুহাশ পল্লী এখন প্রস্তুত তার বাণিজ্যিক কার্যক্রমে। সেই বানিজ্যিক উপাদানের একটি হয়ে গেলেন মৃত হুমায়ুন আহমেদ।
তাঁর কবরের বাণিজ্যিক মুল্য এখন আকাশচুম্বি।
প্রিয় হুমায়ুন ভক্তরা এখন অর্থ সঞ্চয় করুন আপনাদের প্রিয় লেখকের কবর দেখার জন্য।
এই মুহুর্তে হয়তো হুমায়ুন আহমেদের কবরকে ঘিরে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে দেয়ার জন্য কোন কোন বহুজাতিক কোম্পানি মডেল সহ শাওনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েওছে। বহুজাতিক কোম্পানি গুলোর মধ্যে নিলামের ব্যবস্থা করলে হয়তো মজমাটা আরও জম্পেশ হবে। এবং এই দ্বিতীয় এপিসোডে আমরা দেশবাসী দেখবো নাটকের চেয়েও নাটকীয় এক দৃশ্যকাব্য।
এযাবত কালের বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক এবং আমাদের অতিপ্রিয় লেখক ও নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদ আজ নিজের জীবন দিয়ে যে নাটক মঞ্চস্থ করে গেলেন তা এদেশের মানুষের মনে আফসোসের কারণ হবার আশঙ্কা তৈরী হলো।
বাকের ভাই চরিত্র সৃষ্টি করে তিনি আমাদের মনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত যেমন আফসোসের ট্রাম্পলেট বাজিয়েছিলেন, তেমনি সুরই যেন আবার আমরা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে পারছি। বাকের ভাই ছিল সন্ত্রাসী । কিন্তু তাঁর ভেতর দিয়ে একজন মানবিক চরিত্র ফুটিয়ে তুলে আমাদের যে ভালবাসা কেড়ে নিয়েছিল চরিত্রটি। কিন্তু আইনের মারপ্যচে আর স্বার্থলোভী মানুষের ষড়যন্ত্রে যে বাকের ভাইকে কেড়ে নিয়ে আমাদের মন ভেঙে দিয়েছিল সেই 'কোথাও কেউ নেই' নাটকটি; আজ আবারও আমরা আইন ও স্বার্থলোভীদের কারনে খোদ হুমায়ুন আহমেদকেই 'বাকের ভাই' বানিয়ে ফেললাম।
সামুর ব্লগার ঠোঁটকাটা০০০৭ বলেছেন, ''স্বামীর নাম বদলে গেলেও বাবার নাম বদলায় না। শাওন কি তা জানেন?'' উত্তরটা আমরা বলবো জানে। আর জানে বলেই পরিবার এবং আমাদের প্রিয় লেখক এখন বানিজ্যিক মুল্যে যাচাই হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।