বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
তার মতে, বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কেও ছাড়িয়ে যেতে পেরেছিলেন হুমায়ূন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ।
তার মৃত্যুর খবরে পশ্চিমবঙ্গের লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বিবিসি বাংলাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “যদিও সে আমার থেকে অনেক ছোট, কিন্তু তার বুদ্ধিমত্তা, তার পড়াশোনা, আর লোখার মধ্যে যে হিউমার জ্ঞান- এই সব দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আমি তার অনেক লেখা পড়েছি।
”
“আর মানুষ হুমায়ুন তো আমার খুবই ঘনিষ্ট ছিল। কত জাযগায় আমরা একসঙ্গে বেড়াতে গেছি। আমি সত্যি কথ বলছি তোমাদের, আমি খুবই শকড্ হয়েছি। হুমায়ুনকে আমি খুবই ভালবাসতাম। বড্ডই কষ্ট হচ্ছে যে হুমায়ুন আর নেই”, বলেন সুনীল।
দুই বাংলার এই দুই জনপ্রিয় লেখকের মধ্যে বয়সের পার্থক্য থাকলেও বন্ধুত্বের নৈকট্য তৈরি হয়েছিল তাদের মধ্যে। বাংলাদেশে এসে সুনীল গাজীপুরে হুমায়ূনের গড়া নুহাশ পল্লীতেও বেড়াতে গেছেন।
সুনীল বলেন, “আমি ওর বইগুলো পড়েছি, তার মধ্যে এমন এটা রসজ্ঞান আছে, তেমনি অনেক বিষয়ে ওর গভীর যে পড়াশোনা ছিল, সেটাও জানতে পারা যায়। হুমায়ূনের জনপ্রিয়তা কতো ছিল তার সবই আমি জানি। আমাদের দেশে এক সময় শরৎচন্দ্রের জনপ্রিয়তা ছিল।
তাকেও হুমায়ূন ছাড়িয়ে গেছে। ”
হুমায়ূনের মতো ‘রসসিক্ত’ লেখা বাংলা ভাষায় ‘খুব একটা কেউ’ পারেন না বলেও মন্তব্য করেন ওপার বাংলার এই সাহিত্যিক।
বিবিসি বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে সুনীল বলেন, “বাংলা সাহিত্যে আমি হুমায়ূনকে বেশ একটা উুঁচ জায়গায় রাখব। আশা করব, ভবিষ্যতের পাঠক এবং গবেষকরাও তার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।