আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিলের কান নেয়া আর আমাদের সংবাদপত্র

প্রত্যেকে মোরা পরের তরে কিছু কিছু বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে সংবাদপত্র গুলোর সতর্ক থাকা প্রয়োজন। একটি শীর্ষ পত্রিকার আজকের প্রকাশিত মূল সংবাদের উপর চোখ পড়লো। দেশের ব্যাংকিং ব্যাবসার বর্তমান হাল নিয়ে কিছু অনুসন্ধানী তথ্য দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিবেদনটি। সেখানে ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট এবং ভবিষ্যতে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে এইসব বিষয় নিয়ে বিস্তর লেখা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু পর্যবেক্ষণ আছেঃ ১/ একটি দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তিগুলোর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ভুমিকাই অনেকাংশে নিয়ামকের ভুমিকা পালন করে।

সরকার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের যে কোন আর্থিক নীতির বাস্তবায়ন ঘটায় ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে যে কোন নেতিবাচক সংবাদ দুর্যোগময় পরিস্তিতির সৃষ্টি করতে পারে। এটা ঠিক সংবাদপত্র তার সংবাদ প্রকাশ করবে তবে তা যেন সরাসরি স্পরশকাতর বিষয়গুলোকে আঘাত না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছনীয়। ২/ চিলে কান নিল, আর এই বলে সবাই চিলের পিছনে ছুটলাম। যে ধরনের পরিস্তিতির কথা বলা হচ্ছে তা আগেও ছিল, এখন তথ্যের প্রবাহ অনেক সহজ হয়ে যাবার ফলে বেপারগুলো বেশি প্রচার পাচ্ছে।

এর ফলে সাধারন জনগনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে, যার পরিনতি ভয়াবহ। ৩/ এখন যদি সাধারন জনগন আতংকিত হয়ে নিজেদের আমানত ব্যাংক গুলো থেকে তুলে ফেলে তাহলে কি অবস্থার সৃষ্টি হবে? দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির উপর ভয়াবহ বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে, যা এক নিমিষেই আমাদের কে অন্ধকার কুপে নিক্ষেপ করবে। ৪/ বিশ্বের তাবত ধনি দেশগুলো বর্তমানে যে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার অন্যতম কারন হল ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর দুর্বল নিয়ন্ত্রণ। সেদিক থেকে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অসন্তোষজনক নয়। সর্বোপরি, সংবাদপত্রগুলোকে আর সতর্কভাবে সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরধ করা যেতে পারে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.