দুনিয়াতে শুধু দুই প্রকার মানুষ আছে। একদল ভাল, একদল খারাপ। এর বাইরে আর কোন বিভেদ নাই। দ্রোহী কানসাট
এইচ এম রেজাউর রহমান রাজিত
(রাজিত রহমান)
আজ সন্ধ্যে বেলায় শুনলাম
কানসাটে কি যেন হয়েছে!
কি হয়েছে?
রক্ত ঝরেছে
লাশও নাকি পড়েছে!
লাশ!
দু-দুটো লাশ।
দেহ থেকে প্রান বেরিয়ে গেছে!
শিউরে উঠি আমি,
কোথায় গেছে?
রাইফেলের নলে?
গুলিটাতো সেখান থেকেই বেরিয়েছিল!
দাবি কি খুব অযৌক্তিক ছিল?
বিজলি পাব না,
তো বিল বেশি দিব ক্যান?
লুটেরা-হায়েনারা উত্তর দিতে পারেনা!
উত্তর থাকলে তো দেবে?
ভোট আসে, ভোট যায়
জনপ্রতিনিধি ওয়াদা পালনে দায়িত্ব নিভায়
অবলা কানসাটবাসী
হারিকেনের আলোয় সময় কাটায়
বিজলি বাতির লাইন চোখে দেখে না।
তদবির আর আন্দোলনে
প্রতিশ্রুতির লাইন আসে।
ঘুষ দিলে অবশেষে মিটার বসে!
বিজলি বাতির আলো কই?
কানসাটের এ পাড়া-ওপাড়ায়
রটে যায়
লাইনে বিজলি যায় না,
আসে মাঝে মাঝে!
ক্যান?
উত্তর গেছে নির্বাসনে
লুটতে লুটতে
মাননীয় উত্তরদাতা মহোদয়ের
মুখ সেলাই হয়ে গেছে!
কি আর করা
তাই বুলেট দিয়ে দুটো
লাশ সেলাই করেছেন
সম্ভবত সাওয়ালের জাওয়াব দিয়েছেন!
কষ্ট হচ্ছে
খুব কষ্ট!
ঘৃনায়
ক্ষোভে
লজ্জায়
মাথা নত হয়ে আসছে।
কষ্ট ক্রমসই দ্রোহে রুপ নিচ্ছে।
দাঁতার সাথে দাঁত পিষ্ট হচ্ছে
মুখে ভেতর থু থু দলা পাকিয়ে যাচ্ছে।
আগুনের ফুলকি সবেমাত্র ছুটেছে
অপেক্ষা প্রহর গুনছি
দৃড় বিশ্বাস,
যে দ্রোহের আগুন জ্বলেছে
বিজয় আসবেই!
সে বিজয় শহীদের বিজয়!
দ্রোহের বিজয়!
কানসাটবাসীর বিজয়!
৫/০১/২০০৬।
সম্ভবত এটিই কানসাট আন্দোলনের ওপর লিখিত প্রথম বাংলা কবিতা। ২০০৬ সালের ৪ জানিয়ারী কানসাটে ২ জন নিহত হয়েছিল। দুই শহীদকে উৎসর্গ করে ২০০৬ সালের জানুয়ারীতে এই কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছিল স্থানীয় মাসিক শিক্ষাসাগর পত্রিকায়। প্রতি মাসের ১০ তারিখে চার পৃষ্ঠার পত্রিকাটি স্থানীয় তরুনরা প্রকাশ করতো। কবি রাজিত রহমান ১৯৯২ সালের ১১ আগষ্ট জন্মগ্রহন করেন, ২০১২ সালের ১৭ ই জানুয়ারী তিনি দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।