সাম্প্রদায়িকরা... নো কমেন্ট প্লিজ....
ঘুষ কেলেঙ্কারী নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় আছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। সম্প্রতি ফিফার সাবেক প্রেসিডেন্ট জোয়াও হাভেলাঞ্জ ও সাবেক ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা ও ফিফার নির্বাহি কমিটির সদস্য রিকার্ডো তিসেইরার বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারীর প্রমাণ এরইমধ্যে প্রকাশ করেছে ফিফা। বিশ্বকাপ ফুটবলের এক আসরে প্রায় দেড় কোটি ডলার আত্মসাৎ করেন জামাই আর শশুর মিলে। আইএসএল নামক একটি মার্কেটিং কোম্পানির কাছ থেকে এই অর্থ গ্রহণ করেন তাঁরা। সুইজারল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের এক ঘোষণার প্রেক্ষিতে ফিফা এই দূর্নীতির বিশদ বিবরণ তুলে ধরে।
তাঁদের মতে, ১৯৯২ সাল থেকে ৯৭ সালের মাঝে অবৈধভাবে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন দুই ব্রাজিলিয়ান। তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, ফিফার বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার স্বীকার করেছেন যে, এই ঘুষের কথা জানতেন তিনি। তবে ব্লাটার এই ঘটানার ব্যাখ্যা দিয়েছেন অন্যভাবে। ফিফার নিজস্ব ওয়েবসাইটে এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান...
"যে পরিমাণ অর্থ ঘুষ হিসেবে দেখানো হচ্ছে...তা ছিলো কর। আইন পরিবর্তন করায় সেই কর এখন রুপান্তরিত হয়েছে ঘুষে।
এখনকার আইন অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আগেকার বিষয় এখনকার নিয়ম অনুযায়ী ধরলে তো হবে না। বিষয়টা শেষ হয়ে গিয়েছিল, এখন নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে বলেই এ নিয়ে এতো আলোচনা হচ্ছে। "
১৯৭৪ সালে ফিফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন জোয়াও হাভেলাঞ্জ। টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য বিশাল অঙ্কের অর্থের প্রয়োজনে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সাথে চুক্তি করে ফিফা।
আর এই ব্যবসায়িক চুক্তির অস্পষ্ট দিকগুলোই এখন পরিণত হয়েছে অপরাধে। সবগুলোর প্রমাণ না মিললেও, বিশ্বকাপ ফুটবল আসরে মার্কোটিং কোম্পানি আইএসএলের কাছ থেকে ১ মিলিয়ন ডলার আত্নসাৎ এর ঘটনাটির স্পষ্ট প্রমাণ মেলে হাভেলাঞ্জের বিরুদ্ধে।
ফিফার তদন্তে আরো বেরিয়ে আসে হাভেলাঞ্জ একা নন বরং ফিফার সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য রিকার্ডো তিসেইরার সম্পৃক্ততা আরো বেশী। ঐ মার্কেটিং কোম্পানির কাছ থেকে তিনি আত্নসাৎ করেন প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার। ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন তিসেইরা।
এ সময়কালের মধ্যে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দূর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
২০১০ সালে এই প্রতিবেদনের কয়েকটি কপি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ফিফা এই অবৈধ লেনদেনের কথা জানলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কোন প্রশ্ন করা হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।