আমারদেশ আমার প্রেম ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পুরো হুমকির মুখে পড়ছে নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার- চর এলাহী, চরকচ্ছপিয়া, গুচ্ছগ্রাম। বিশ্ব বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে শত শত একর জমি, বাড়িঘর ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নতুন বেড়ি বাঁধের পাশে শত শত মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
স্বরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়- নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি জনাব একরামুল করিম চৌধুরী ও তার দল-বল নিয়ে কবিরাহাট তথা নোয়াখালী সদর অঞ্চলের পানি নতুন করে খাল কেটে চাপ্রাসী খালে দিকে নিয়ে আসে। এতে করে দুই জায়গার পানি একস্থান দিয়ে বের করতে যেয়ে পানির চাপে ভেঙ্গে যায় বিশ্ব বেড়ি বাঁধ।
এতে বর্তমানে পুরি পুরি হুমকির মুখে কোম্পানীগঞ্জ উপকূলীয় এলাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় জনাব একরামুল করিম চৌধুরী তার জমি-জমা ও খামার রক্ষা করার জন্য পনির গতি পথ ঘুরিয়ে দেয়। নিজ ক্ষমতার জোরে তিনি এসব করেন। খাল কেটে তার সঙ্গী সাথীরা মাটি বিক্রি করে টাকা আয় করেন। বর্তমান যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর কোন আশু পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
স্থানীয় জগগণ জানায় - চর এলাহী থেকে চার উরিয়া পর্যন্ত বাঁধ দেওয়া যেতে পারে। এতে করে হাজার হাজার মানুষের বাড়ি ঘর বাঁচতে পারে এবং নতুন নতুন চর দেখা দিবে। ব্যারিষ্টার মওদুদ সাহেব একবার পরিদর্শন করে জনগণ কে আশস্ত করে এই বাঁধ দেওয়ার জন্য। কিন্তু যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরিদর্শন করেনি।
জোয়ারের কারণে মানুষের চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে।
চর কচ্ছপিয়ার এক চাষী জানায় প্রতি দিন জমিতে ১.৫/২ ফুট জোয়ারের কারণে তারা জমি চাষাবাদ করতে পারছে না।
আমরা জানি না এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্যে কি আছে। বিশেষ করে চর এলাহী বর্তমানে পুরো হুমকির মুখে। এই অঞ্চলের দুই দলের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী আছে। হয়তো আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক আশার বাণী শুনাবে দুই জনই।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জণগণের ভাগ্যে কি আছে তা আল্লাহ ভালো জানে।
ভাঙ্গনের কাবল থেকে এই অঞ্চল রক্ষা করার জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।
নোয়াখালী অঞ্চলের সচেতন নাগরিক সমাজ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।