"প্রাচ্যের ব্যাপারে আমরা কখনই সফল হতে পারব না যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা সেখানকার মহিলাদের হিজাব খুলে সেই কাপড় দিয়ে কোরআনকে ঢেকে না দিচ্ছি। "
ভাবতে পারেন উপরের মন্তব্যটা অতি সম্প্রতি কোন ইসলাম বিদ্বেষী মুখ থেকে বের হয়েছে। জানলে অবাক হবেন এই মন্তব্য হলো বৃটিশ প্রধানমন্ত্রি উইলিয়াম গ্লাডস্টোন এর। তাও আবার ১৮৯৪ সালের !!! তার মতো লোকদের চক্রান্তের কারনেই কিন্তু ১৯২৪ সালের ইসলামী রাষ্ট্র তথা খিলাফাহর পতন হয়েছিল।
আজকে কিন্তু পশ্চিমাদের এই প্ল্যানমতই চলছে মুসলিমদের জীবনধারা।
তাদের সংস্কৃতিক আর বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ফলে মুসলিম মেয়েদের হিজাব আজ নেই। সেই হিজাবের কাপড় দিয়ে কোরআনকে ঢেকে রেখে তুলে রাখা হয়েছে আলমারির উপর। যেই কুরান দিয়ে গত শতাব্দিতেও সমাজ চলত, অর্থিনীতি চলত, রাষ্ট্র চলত সেই কোরআন এখন মুখস্ত সর্বস্ব একটা বই ছাড়া আর কিছুই নয় । আর হিজাবের গুরুত্ব এখন বিশ্ব হিজাব দিবস পর্যন্তই। এদিকে অত্যাচারিত বোনদের হিজাব টেনে ছিড়ে ফেলা, তাদের অপদস্ত করার পরও কেউ কোরআনকে সেলফ থেকে নামানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না।
আজ আমাদের খিলাফাহ নেই, কোরআনের জায়গায় কোরআন নেই। আজ আমাদের মুতাসিম বিল্লাহর মতো ঢালস্বরূপ খলিফা নেই যিনি রোমান সম্রাজ্যে এক মুসলিম মহিলার হিজাব টেনে অপমান করার প্রতিবাদে রাজধানী থেকে সীমানার সমান বিশাল সৈন্যবাহিনী পাঠিয়েছিলেন রোমান কুফফারদের জাহান্নামে পাঠানোর জন্য। যতদিন পর্যন্ত না কোরআনের হিজাব খুলে সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রিয় পর্যায়ে না নিচ্ছি ততদিন পর্যন্ত মুসলিম নারীরা হিজাব থেকে দূরে থাকবে আর যারা পরবে তারা অরক্ষিত থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।
আজ পহেলা ফেব্রুয়ারীতে যারা হিজাব দিবস পালন করে তাদের সহ সবাইকে আল্লাহ্ তায়ালা ১৪ই ফেব্রুয়ারীর বিশ্ব বেহায়াপনা দিবসের বেহায়াপনা থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।