টি-টুয়েন্টিতে মাত্র ১৫ মিনিট আপনার অনুকূলে গেলেই ম্যাচটা জিতে যেতে পারেন। কিংস ইলেভেন-নাইট রাইডার্স ম্যাচে সেটাই দেখলাম। টেস্ট কিন্তু তা না। সেশন বাই সেশন জিততে হয়। ১৫ টা সেশনের বেশিরভাগ যে জেতে তারই ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বেশি।
আগামীকাল থেকে তাইই করতে হবে। গতবারের জিম্বাবুয়ে সফরের স্মৃতি ভোলার নয়। টেস্ট-ওয়ানডে হেরে ফেরার পর সাকিবের ক্যাপ্টেনসি গেলো। সে কী এক বিধ্বস্ত বাংলাদেশ তখন! তামিমের 'অর্ডিনারি' বোলার ভিটোরির বিষে নীল বাংলাদেশ। মুশফিকের হাতে টার্ন অ্যারাউন্ডটা এলো।
আর এখন আরেকটা জিম্বাবুয়ে সফর আগামীকাল থেকে।
হ্যা, এরভিন, পফু, চাকাভা, মায়োয়ো নেই বলে জিম্বাবুয়েকে দূর্বল বলার আগে জেনে নেওয়া ভালো, তামিম, মাশরাফি*, শফিউলরাও নেই। বোলিং না করায় 'অর্ধেক' সাকিবই খেলবে এই টেস্টে। জিম্বাবুয়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কাইল জার্ভিসকে দুর্দান্ত বোলিং করতে দেখেছি। দুই দিকেই সুইং করায়।
গ্রায়েম ক্রিমার বিলুপ্ত প্রায় লেগ স্পিনারদের প্রতিনিধিত্ব করা একজন। ভয়ানকও। আর ব্রেন্ডান টেলরের বাংলাদেশকে পেলেই জ্বলে ওঠার ইতিহাস তো বেশ পুরানোই।
বহুদিন থেকেই জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদের সমীহ করে। সুতরাং নিশ্চিতই পেস সহায়ক পিচ হতে যাচ্ছে আগামীকালের হারারের উইকেট।
তারপরেও দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার খেলানোর পক্ষপাতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সদ্যই শেন শিলিংফোর্ড আর মারলন স্যামুয়েলসের অফস্পিনে নাকানি চুবানি খেয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। সোহাগ গাজীই তাই এই সিরিজের ট্রাম্পকার্ড।
অন্য দলগুলোর এখন বাংলাদেশের প্রায় সমকক্ষ হওয়ায় মাঝে মধ্যে হেরে গেলে পরাজয়গুলো কষ্টের হয় শুধু কিন্তু জিম্বাবুয়ের সাথে পরাজয় শুধু কষ্টের না; অপমানের, লজ্জারও। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।