মতিঝিলে ডিএসই’র সামনে বিক্ষোভ করছে বিনিয়োগকারীরা। তারা ডিএসই’র সামনে যেতে পারছেন না। পুলিশের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারী নেতাদের মোবাইল ফোনে জানানো হচ্ছে, ‘আপনারা ডিএসইর সামনে আসবেন না, এলেই গ্রেপ্তার করা হবে, ওপরের নির্দেশ আছে’।
পুলিশের ভয়ভীতির পরও বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বাধার পরেও তারা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিকে বিনিয়োগকারীদের সমাগম যাতে না ঘটে সেজন্য ডিএসইর আশপাশের সব দোকানপাট ভেঙে দেয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বলেছে, দরপতন রোধ করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ, আমাদের সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরপর যদি প্রতিবাদের ভাষাটুকু কেড়ে নেয়া হয় তবে আমরা কোথায় যাব? আমাদের দাবির কথা কাকে জানাবো? আজ দিনের শুরু থেকে স্টক এক্সচেঞ্জে নিম্নমুখী প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলে বিনিয়োগকারীরা একে একে ডিএসইর সামনে জড়ো হতে থাকেন। ৪০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর সূচক ১০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
ডিএসই এলাকা দখল করে থাকা পুলিশ বিনিয়োগকারীদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না। ভয়ভীতি দেখিয়ে ডিএসই এলাকা থেকে বিনিয়োগকারীদের তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক জানান, ডিএসইর সামনে অবস্থান নিতেই পুলিশ এসে তাড়িয়ে দিচ্ছে। বলা হচ্ছে ডিএসইর সামনে দাঁড়ালেই গ্রেপ্তার করা হবে।
চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছে বিনিয়োগকারীরা-
পুঁজিবাজারে লাগামহীন দরপতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ইনভেস্টর ফোরাম অব চিটাগাং।
ফোরামের নেতারা পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেগে উঠুন, পুঁজিবাজার বাঁচান, দেশ বাঁচানলেখা ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এ সময় আগ্রাবাদের বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউস থেকে বেরিয়ে বিনিয়োগকারীরা মিছিলে যোগ দেন। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বন্দরনগরীর প্রধানতম বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। প্রায় আধঘণ্টা স্থায়ী হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি। সমাবেশ থেকে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলা হয়।
ফোরামের আহ্বায়ক আছলাম মোরশেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম মিলন, এমএ কাদের, জিয়া উদ্দিন, সরওয়ার কিবরিয়া, মাসুদ হোসেন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
তারা শেয়ারবাজারে পুঁজি হারানো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৩৩ লাখ পরিবারের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার আপনাদের নেই। আপনারা যদি শেয়ারবাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে না পারেন, স্থিতিশীলতা ফেরাতে না পারেন, বাজার থেকে তুলে নেওয়া লুটেরাদের অর্থ ফের বিনিয়োগ করাতে না পারেন তবে গদি আঁকড়ে থাকার কোনো অধিকার নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।