স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হওয়ার পর ১৫ সদস্যের পর্ষদ গঠনের সুপারিশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার ডিমিউচুয়ালাইজেশন নিয়ে চূড়ান্ত শুনানিতে ডিএসইর পক্ষ থেকে এই সুপারিশ করা হয়।
সকালে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সভাকক্ষে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিএসইসিকে চূড়ান্ত মতামত জানানো হয়।
শুনানি শেষে ডিএসইর সভাপতি আহসানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হলে আমরা ১৫ সদস্যের পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।
এর মধ্যে আটজন থাকবেন স্বাধীন সদস্য। বাকি সাতজনের মধ্যে ছয়জন শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। আর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদাধিকার বলে পর্ষদ সদস্য হবেন। ’ তবে সিইওর ভোটিং ক্ষমতা নিয়ে কিছুই বলা হয়নি বলে জানান তিনি।
আহসানুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা ডিমিউচুয়ালাইজেশনের স্কিম বিএসইসিতে জমা দিয়েছে।
কমিশন বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কিছু বিষয়ে আমাদের মতামত চেয়েছে। আজকের শুনানিতে আমরা কমিশনকে বিষয়গুলো পরিষ্কার করেছি। ’
ডিএসইর সভাপতি বলেন, ‘ডিএসইর পক্ষ থেকে আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি। বিএসইসিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ’
এদিকে ডিএসইর সহসভাপতি মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের জানান, ‘ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হলে প্রথম পাঁচ বছর কোনো ট্রেক রাইট ইস্যু করা যাবে না।
তবে এর পর থেকে পরবর্তী ১০ বছর প্রতিবছর সর্বোচ্চ ১০ জনকে ট্রেক রাইট ইস্যু করা যাবে বলে ডিএসইর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। ’
এ সময় বিএসইসি ও ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।