আমি সততা ও স্বচ্ছতায় বিশ্বাস করি। ১৯৮৪ সালে নির্মিত হওয়া শ্রীমঙ্গলের একমাত্র শিশু উদ্যানটির কোন উন্নয়ন নেই। বরং এটি এখন ধ্বংশের দারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। শ্রীমঙ্গলে শিশু উদ্যান নির্মানের পর স্থানীয়দের মনে কিছুটা উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছিল। অথচ প্রথম থেকেই এখানে ছিল পর্যাপ্ত বিনোদন ব্যবস্থার অভাব।
সরকারি সহযোগীতার অভাব, সংস্কার আর রণাবেনের অভাবে উদ্যানটি একেবারেই বিলুপ্তের পথে এসে দাঁড়িয়েছে। এখানে নেই চিত্ত বিনোদনের কোন ব্যবস্থা। নেই সরকারি কোন উদ্যোগ। নেই কোন স্থানীয় সরকারের ভূমিকা। জরাজীর্ণতায় পরিপূর্ণ এই শিশু উদ্যানটি যেন অভিভাবকহীন এতিম শিশুদের মতো অনাদর আর অবহেলায় পরে আছে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে।
ফলে উপজেলার শিশুরা তাদের মনের খোরাক মেটাতে পারছেনা। চিত্ত বিনোদন থেকে তারা রয়েছে বঞ্চিত ।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক শিা প্রতিষ্ঠান ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংলগ্ন প্রায় আড়াই একর জায়গা জুড়ে এখানে শিশু উদ্যানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৪ সালে শিশুউদ্যানের বাউন্ডারি ঘিরে পাকা সীমানা প্রাচীর তৈরী করা হয়। এ সময় উদ্যানের ভেতরে শিশুদের বসার জন্য হাতে গুনা কয়েকটি পাকা বেঞ্চ তেরী করা হয়েছিল।
এখানে ছিল একটি বড় পুকুর। সবুজে সমারোহে বিশাল মাঠ ছিল চারদিকে। অথচ আজ এসবের কিছুই নেই। বড় পুকুরটি ক্রমেই ছোট্ট ডুবায় পরিণত হয়ে এসেছে। গেইট ভেঙ্গে পড়েছে।
সীমানা প্রাচীর ও বসার বেঞ্চগুলো ক্রমশ ভেঙ্গে যেতে বসেছে। সংস্কার ও রণাবেণের অভাবে পরিস্কার পরিচ্ছনতার বড় অভাব দেখা দিয়েছে। গরু-ছাগল প্রতিনিয়ত চষে বেড়াচ্ছে মাঠ। ডেকুরেটার্সের বিভিন্ন মালামাল ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে পুকুরটি। ৮৪ সালের পর থেকে এ উদ্যানটিতে আর কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।
শিশুদের চিত্ত বিনোদনের জন্য উপজেলার একমাত্র শিশু উদ্যানটি। সম্পতি এ উদ্যানটির নামের আগে শেখ রাসেল যোগ করা হয়েছে। বর্তমানে সকলের কাছে এটি শেখ রাসেল শিশু উদ্যান নামেই সু-পরিচিত।
উল্লেখ্য, উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের উদ্যোগে স্থানীয় সমাজসেবকদের সহযোগীতায় এখানে তৈরী করা হয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চেই প্রতিবছর বৈশাখী অনুষ্ঠান উদ্যাপিত হয়ে থাকে।
অথচ দীর্ঘ ২৬ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও শিশু উদ্যানটির যথাযথভাবে নির্মাণ ও চালু করার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত সরকারি কোন পদপে গ্রহণ করা হয়নি। স¤প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্য মো. আব্দুস শহিদ এমপির উদ্যোগে শিশু উদ্যানের জন্য একটি আধুনিক গেইট নির্মানের প্রস্তাব গৃহিত হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। শিশুদের খল-খলানি আর ছোটাছোটিতে কবে এ উদ্যানটি ফিরে পাবে প্রাণ চাঞ্চল্য সেই আশায় যেমন রয়েছে উপজেলাবাসী তেমনি এ উদ্যানটিও নির্বিকায় এতিমের মতো খুরে খুরে চলছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।