গায়ে ছিল প্রচণ্ড জ্বর। এই শরীরে ধুচ্ছিল প্লেট-গ্লাসসহ আরও অনেক জিনিসপত্র। অসাবধানে হাত থেকে পড়ে ভেঙে যায় একটি কাচের গ্লাস। আর তাতেই ১০ বছর বয়সী জেসমিনের ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। মারধরের পাশাপাশি গৃহকর্ত্রী তার শরীরে দেয় আগুনের ছ্যাঁকা।
খুন্তি চুলার আগুনে গরম করে হাত-পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। প্রচণ্ড ব্যথায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে জেসমিন। চিকিৎসকের কাছে না পাঠিয়ে গৃহকর্ত্রী জেসমিনকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অমানুষিক এই কাজের জন্য কোনো শাস্তিই হয়নি ওই গৃহকর্ত্রীর।
কিন্তু সদ্য পাস হওয়া শিশু আইন, ২০১৩ অনুযায়ী, এখন আর এ ধরনের অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। শিশু আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি তাঁর দায়িত্বে থাকা শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন বা অবহেলা করেন, তাহলে ওই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।