বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির কারনে টাকা দেবে না। তাই পদ্মা সেতু হবে নিজেদের টাকা দিয়ে। এই আনন্দ কোথায় রাখি। নিজেদের? মোবাইল এ প্রতি কল এ আসছে ট্যাক্স। আপনার আমার গলায় পা দিয়ে এই টাকা নেয়া হবে শীঘ্রই।
জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন দরকার হলে একবেলা বাজার করবো না অর্থাৎ দেশের টাকায় সেতু নির্মাণ সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। ওনার একাধিক বেলা বাজার হতে পারে কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের অবস্থা চিন্তা করে তিনি কথা টি বলেছেন বলে মনে হয় না। এটা এমন বেপার না আমার আপনার কাছ থেকে ১০ টাকা ৫০ টাকা নিয়ে খালাস। মোবাইল এর প্রতি কল এ কর। তারমানে আটকা পড়তে যাচ্ছি আমরা।
জোর করে বড়শি গেলানো হবে। আমাদের ঐচ্ছিক কোন ব্যাপার না। এটা চাপিয়ে দেয়া হবে। আর কতদিন? তা বলা মুশকিল। হয়ত আজীবন এই কর দিয়ে যেতে হবে।
এই দেশ এমন দেশ - শুরু হয় না - হলে আর থামে না। আজ থেকে ৫ বছর পর (ধরলাম সেতু হয়েছে) আপনি কর দিতে না চান - কে আপনার কথা শুনবে? আমাদের ১৬ কোটি মানুষের কথায় দেশ চলেনি - চলবে ও না। তাই যদি হতও, ভারত কে ফ্রি করিডোর দেয়ার আগে বা মোবাইল এ কর দিতে হবে - জনগণ কে সেতুর টাকা দিতে হবে - এই সব ব্যাপার গুলো তে আমাদের কে জিজ্ঞাসা করা হতো। ধর্মের কাহিনী তো সবার জন্য না। এবার আসি আরেকটা ব্যাপারে।
এই টাকা আমরা কেনো দিবো? আচ্ছা ধরলাম দিবো। কিন্তু যারা এর পেছনে দুনীতি করেছে? তাদের থেকে কেনও টাকা টা নেয়া হবে না। কানাডার এক কোম্পানি ৩৫ মিলিয়ন দিয়েছিলো কাজ পাওয়ার জন্য। দেখুন Click This Link বলতে চাচ্ছি এইখানে কি দুনীতি হয় নি কোন? এটা কি বিশ্বাস যোগ্য? তো তার তদন্ত কোথায়? আর দেশের যারা চিহ্নিত দুর্নীতি বাজ - কালো টাকা ধারী - তাদের থেকে ১৬ কোটী খেটে খাওয়া মানুষ এর মতো ই একি পরিমাণ টাকা ই নেয়া হবে? কেনো? এদের ব্যাপারে কি পরিপ্কল্পনা? এদের বিলাসি পনার খরচ আমাদের ই তো যোগাতে হয়। ১৬ কোটী মানুষের - আমাদের - এমনিতেই অনেক দুর্ভোগ।
আর না বাড়ালে খুশি হব। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।