মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে গত সাড়ে তিন বছর ধরে সরকারের মন্ত্রীরা কেবল কথার ফুলঝুরি ছড়িয়েছেন। বাস্তবে সেতুর কাজ শুরু তো হয়নি বরং নজিরবিহীন দুর্নীতির কলঙ্ক লেপে দিয়েছে পুরো জাতির ঘাড়ে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্যবার ঘোষণা এসেছে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর। ঘোষণাই সার, কাজ আর সূচিত হয়নি।
পদ্মা সেতু নিয়ে গত সাড়ে তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রায় সব মন্ত্রীই নানা মন্তব্য করেছেন। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রীর ছেলেও।
সরকার গঠনের ১৩ দিনের মাথায় ২০০৯ সালের ১৯ জানুয়ারি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং ২৯ জানুয়ারি থেকে বিস্তারিত ডিজাইন প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।
সৈয়দ আবুল হোসেন : বিএনপি যে কাজে ব্যর্থ হয়েছে আমরা সেক্ষেত্রে অবশ্যই সফল হবো। এ সরকারের সময়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে (১৯ জানুয়ারি ২০০৯)।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কমিটির সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান : এ বছরের শেষদিকে (২০০৯ সাল) টেন্ডার কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। টাকার কোনো অভাব হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এর তহবিল সংগ্রহে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন (১৯ এপ্রিল ২০০৯) ।
সৈয়দ আবুল হোসেন : পদ্মা সেতুর ভূমি অধিগ্রহণ ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ক্ষতিপূরণের অর্থ এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু করব। আগামী ২৫ জুন (২০০৯) সেতুর নকশা অনুমোদন, ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ পরামর্শে সরকার ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর এবার ক্ষমতা গ্রহণের ১২ দিনের মাথায় নকশা চুক্তি অনুমোদন করে ২২ দিনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছেন (৩০ এপ্রিল ২০০৯) ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত : ২০১১ সালের মার্চে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে (২০ অক্টোবর,২০০৯) ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার : তিন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে (১১ জানুয়ারি ২০১১ )।
যোগাযোগমন্ত্রী : সব উন্নয়ন-সহযোগীই ঋণ নিশ্চিত করেছে, এখন কেবল কাজ শুরুর অপেক্ষা (২৬ ফেয়ারি,২০১১)।
যোগাযোগ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া : জাইকার ঋণচুক্তি পিছিয়ে গেছে। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে অসুবিধা হবে না (২৫ মার্চ, ২০১১)।
সৈয়দ আবুল হোসেন : চলতি মাসেই পদ্মা সেতুর চূড়ান্ত দরপত্র (১০ এপ্রিল, ২০১১) ।
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন : ডিসেম্বর ২০১১ নাগাদ সরকারের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ শুরু হবে (৩০ মে, ২০১১ জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে)।
আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে পারবো (৩০ মে, ২০১১ জাতীয় সংসদে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে)।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য বর্তমানে ঠিকাদার নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। ঠিকাদার নিয়োগ চূড়ান্ত হলে আগামী ডিসেম্বর ২০১১ নাগাদ আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব হবে। একই বর্তমানে এ সেতু বাস্তবায়ন কার্যক্রমে বেশ অগ্রগতি হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে মূল সেতু, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক এবং ব্রিজ ও ফ্যাসিলিটিজের বিস্তারিত ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রকল্প এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমও প্রায় শেষের দিকে। তাছাড়া এ প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ৩৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা নিশ্চিত হয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে (সংসদে) ।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান : সেতু নির্মাণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান এ সরকারের আমলেই পদ্মা সেতু দিয়ে তিনি গাড়ি চালিয়ে তিনি গোপালগঞ্জ যেতে পারবেন (৬ জানুয়ারি ২০১১)।
সৈয়দ আবুল হোসেন : পদ্মা সেতু আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ সেতু নির্মাণে শতভাগ স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও দ্রুততা, সরকারি নিয়ম-কানুন ও বিশ্বব্যাংকের প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে (পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হচ্ছে বিশ্বব্যাংক এমন অভিয়োগ দেয়ার পর ২১ জানুয়ারি, ২০১১) ।
যোগাযোগমন্ত্রী : পদ্মা সেতু আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প। এ প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে সেতু বিভাগ শতভাগ স্বচ্ছতা, দক্ষতা, দ্রুততা, সরকারি নিয়ম-কানুন ও বিশ্বব্যাংকের গাইডলাইন অনুসরণ করেছে।
এতে কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে এতো স্বচ্ছতা বজায় রেখে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে হয় না। এরপরও স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি কুচক্রীমহল বিভিন্নভাবে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন বিলম্বিত করছে (২১ জুন, ২০১১, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে লেখা চিঠিতে)।
সৈয়দ আবুল হোসেন : এ মাসেই পদ্মা সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হবে। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করে জানুয়ারিতে মূল সেতুর কাজ শুরু হবে (৯ জুলাই, ২০১১) ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত : পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি। এখন পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসনের কাজ হয়েছে। যমুনা সেতুর সময় এ দুই কাজে দুর্নীতি হলেও পদ্মা সেতুর বেলায় তা হয়নি (১৩ অক্টোবর, ২০১১) ।
সৈয়দ আবুল হোসেন : ভিত্তিহীন তথ্য নিয়ে বিশ্বব্যাংক প্রতিবেদন তৈরি করেছে। বিশ্বব্যাংক আমাকে নয়, টার্গেট করেছে সরকারকে।
আমি না হয়ে এ মন্ত্রণালয়ে ‘জয়নাল’ থাকলে তাকেও টার্গেট করা হতো (১৩ অক্টোবর, ২০১১) ।
বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে প্রধানমন্ত্রীও এটিকে ভালোভাবে নেননি। তিনি ঘোষণা দেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদের অর্থ সরকার নেবে না। সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলেও।
সজীব ওয়াজেদ জয় : আমাদের হাতে এখন প্রচুর টাকা রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের ঋণ নিয়ে চলার দিন শেষ। কারণ, বিশ্বব্যাংকের নানা শর্তে নেয়া ঋণ ফেরত দিতে হয়। মালয়েশিয়া ও চীনসহ অনেক দেশই পদ্মা সেতু নির্মাণে টাকা দিতে চাচ্ছে। এ টাকা সরকারকে ফেরত দিতে হবে না। তারাই তাদের টাকা উঠিয়ে নিয়ে যাবেন (১৮ ডিসেম্বর, ২০১১; নিউইয়র্কে বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে)।
প্রধানমন্ত্রী : বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে তাদের অর্থ সরকার নেবো না। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এখনও কোনো প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। ‘মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মিথ্যা অভিযোগে মোড়ানো কোনো তহবিল গ্রহণ করতে পারি না। আমরা কোনো অপবাদ নিয়ে চলতে পারি না। আমাদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে।
কোনো দেশ অথবা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এলে সরকার পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্পগুলো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) অথবা বিল্ট অপারেট ও ট্রান্সফারের (বিওটি) ভিত্তিতে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে (২৬ জানুয়ারি, ২০১২; ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের এক অনুষ্ঠানে)।
যোগাযোগমন্ত্রী : পদ্মা সেতুতে মালয়েশিয়া অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়া গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের প্রস্তাব পেয়েছি। কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে।
বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করব আমরা (৩০ জানুয়ারি, ২০১২; মালয়েশিয়া সরকারের বিশেষ দূত দাতো সেরি মাসি ভেলুর সঙ্গে বৈঠক শেষে) ।
ওবায়দুল কাদের : পদ্মা সেতু মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এই সেতুর প্রস্তুতিমূলক অবকাঠামোগত কাজ প্রায় শেষ। বিশ্বব্যাংকের প্রক্রিয়া যদি দীর্ঘতর হয়, তবে বিকল্প পথ খোঁজা ছাড়া সরকারের অন্য কোনো উপায় নেই। কোনো কারণে মালয়েশিয়া এগিয়ে না এলে আরও অনেক পথ খোলা আছে (আবুল হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর)।
অর্থায়ন সম্পর্কে জানতে চাইবেন না। পদ্মা সেতু নির্মিত হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান মেয়াদেই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে (১ জানুয়ারি,২০১২ )।
এ বছরই পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে (১০ ফেবু্রয়ারি, ২০১২) ।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুুল মুহিত : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের বলেছেন, পদ্মা সেতুতে নতুন অর্থায়ন নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে বিশ্বব্যাংকসহ অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দিক থেকে কোনো অনুরোধ না করা সত্ত্বেও ঋণের কার্যকারিতার মেয়াদ তারা ছয় মাস বাড়িয়েছে। আমাদের কাছে এটা গ্রহণযোগ্য নয় (১৪ ফেবু্রয়ারি, ২০১২) ।
অর্থমন্ত্রী : ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা সেতু নিয়ে এখনও সরকারের কথাবার্তা চলছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়নি। তবে সময় বাড়ানোর কারণে আরও দেরি হচ্ছে।
অথচ আমরা চাইছি আগামী মৌসুমেই কাজ শুরু করতে (১৬ ফেবু্রয়ারি, ২০১২) ।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব শেখ মো. ওয়াহিদ-উজ-জামান : বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের দিকে চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সরকার বসে থাকতে পারে না। তাই বিকল্প উত্স খুঁজতে সরকার বাধ্য হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ছাড়া পদ্মা সেতু হবে না, এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ওবায়দুল কাদের : ‘বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বা বৈরিতা নেই।
এক পদ্মা সেতুর কারণে দীর্ঘদিনের সম্পর্কে টানাপড়েন হওয়ার কারণ নেই। দেশে আরও ৩৪টি প্রকল্প রয়েছে বিশ্বব্যাংকের (১৮ মার্চ, ২০১২)।
অর্থমন্ত্রী : পদ্মা সেতুর জন্য এখন আমাদের কতগুলো কাজ করতে হবে। নতুন উপায়ে সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করা হলে বিশ্বব্যাংকসহ চার সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হবে যে তারা কীভাবে কী করতে পারে। ’ সেতু নির্মাণে অর্থায়নের দুটি উপায় আছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একটা হতে পারে সরাসরি ঋণ, অন্যটি পিপিপি।
তবে পিপিপি খুব ব্যয়বহুল। বড় প্রকল্প হিসেবে আমরা চাই এতে আরও বিনিয়োগকারীকে নিয়ে কিছু করা যায় কিনা। ’
পদ্মা সেতুতে নতুন অর্থায়ন নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে বিশ্বব্যাংকসহ অন্য সংস্থাগুলোর সঙ্গে আবারও আলোচনা করা হবে (সচিবালয়ে রোববার সাবিনকোর চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ এম আল-তুর্কির সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর)।
ওবায়দুল কাদের : বিশ্ব্বব্যাংকের ঋণচুক্তি বাতিল দুঃখজনক, দুর্ভাগ্যজনক ও রহস্যজনক। তদন্ত চলা অবস্থায় বিশ্বব্যাংক এটা করে একটা দেশকে দুর্নীতিবাজ করতে পারে না।
এরপরও আগামী আট মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে। জনস্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিকল্প অর্থায়ন তহবিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য উত্স থেকে অর্থের জন্য চুক্তি করলে প্রকল্প ব্যয় কমবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন (৩০ জুন ,২০১২)।
যোগাযোগমন্ত্রী : বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বাতিল করলেও নির্ধারিত সময়েই সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করবে সরকার। কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতে পারে, তাই বলে বিশ্বব্যাংক ১৬ কোটি মানুষকে শাস্তি দিতে পারে না (২ জুলাই, ২০১২)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।