আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় টাঙ্গাইলের পতিতাপল্লী!!!

ভালো। বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের পতিতাপল্লী এবার উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া রয়টার্সে প্রকাশ করা হয়েছে টাঙ্গাইলের পতিতাপল্লীর পতিতা নারীদের সুখ দুঃখের কথা। প্রতিবেদনটি একটি ফিচার আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। ফিচারে তুলে ধরা হয়েছে সেখানকার নারীরা নিজেদেরকে কেমন করে ক্ষদ্দেরদের সামনে উপস্থাপন করে।

আর তাদের বাইরের রঙ্গিন জীবনের আড়ালে কতটা দুঃখ লুকিয়ে আছে তা। ফিচারে টাঙ্গাইলের যে পতিতাপল্লীর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তা কান্দাপাড়ার এক বস্তির, অত্যন্ত সরু এক গলিতে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকা থেকে কয়েকঘন্টা দুরত্বে উত্তরপূর্বাঞ্চলে। এই পতিতালয়ে দৈহিক ব্যবসায় নিয়োজিত রয়েছে কম বয়সী মেয়েরা। যাদের বয়স খুবই কম।

আর তাদের রেট ও অত্যন্ত নিম্নমানের, মাত্র ৫০ টাকা। যার ফলে খদ্দের ধরার জন্য এসব পতিতারা প্রাণপণ চেষ্টা চালায় নানাভাবে। খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতে যৌন কর্মীরা তাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে গরু মোটা তাজাকরণ ওষুধ খেয়ে। প্রতিবেদনে হাসি নামক এক যৌনকর্মীর কথা তুলে ধরা হয়েছে। তার বয়স মাত্র ১৭ বছর।

তার কথা থেকে জানা গেছে তার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর তখন সে এই যৌনপল্লীতে এসেছিল। সেখানে এক্যাওয়ার পর তাকে স্টেরোয়েড দেয়া শুরু হয়। সে জানালো এখন তার স্বাস্থ্য যেমনটি প্রথমদিকে তেমন ছিলনা। সে এক দিনে অনেক অনেক খদ্দেরকে খুশি করতে সক্ষম। হাসি সেখানকার ্প্রায় ৯০০ জন যৌনকর্মীদের মধ্যে একজন।

সেখানে ১২ বছরের মত কম বয়সেরও যৌন কর্মী রয়েছে। তারা অনেকটাই ভয়ে ভয়ে সেখানে তাদের দিনাতিপাত করে। অনেকেরই ঋণ থাকায় সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারেনা ঋণ পরিশোধের তাগিদে। আর জীবন যাপন করে অত্যন্ত মানবেতর। খদ্দেরদের আকৃষ্ট করতে তাদেরকে এমনও স্টেরয়েড গ্রহণ করতে হয় যার নাম ওরাডেক্সন।

এটি আয় বাড়ায় ঠিকই কিন্তু রেখে যায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব যৌনকর্মীদের তাদের দরিদ্র পরিবার দেহ ব্যবসায়ীদের কাছে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেইসব ব্যবসায়ীরা এদের নিয়ে যায় কান্দাপাড়া যৌনপল্লীতে। সেখানেই তাদেরকে লাগানো হয় যৌনকর্মে। এত এত কাজ করেও তাদের প্রাপ্য তারা পায় না ঠিকমত।

যতখানি আয় হয় সবই তুলে দিতে হয় দেহ ব্যবসায়ীদের হাতে। সেখান থেকে কিছু পরিমাণ তাদের দেয়া হয়। অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, এ জাতীয় ওষুধ সেবনের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে অনেক প্রচারণা হয়েছে। কিন্তু পতিতাপল্লীর মালিক, সর্দারণী এবং দালালরা তার কোন তোয়াক্কা করছে না। তাই এ ধরনের ওষুধ বিক্রির ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।

এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে সরকার ও রাষ্ট্র। সূত্র : রয়টার্স।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.