আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাছিনা আফার সাথে এক বিরঙ্গনার মুঠোলাপ: হ্যামি আবার যুদ্ধ ক্যরতে চাই

ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা অনেক চেষ্টা করে একবার ফোনটি ঢুকলো। দেখি ফরয়াডিং করা। ভাবলাম ফোনটি ধরবে না কেউ। তাই মনের আনন্দে ফোন দিয়ে চলছি। এভাবে কয়েকবার দেয়ার পর ওপার থেকে সুরলা কোকিল কণ্ঠে একজনের কণ্ঠ পাইলাম।

আহা কত সুন্দরই না সেই কণ্ঠ। আমি ভাবলাম আমাদের প্রধানমন্ত্রী কবে থেকে তার কণ্ঠ পরিবর্তন করলো?? একটি পর আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় জিজ্ঞাসা করলাম ‘ম্যাডুম আফনে বালা আচিন’। ওই সে দিনত যে আফনি হামাদের থানাত আছিলিন। ভাষণ দিছিলিন। হামাকে সেই নদীত একটি বিরিজ দিবিন বলে কছিলিন...........মনে আছে?/ হ্যামি ওই খবর ছুনে ব্যাবাকক কয়ে বেরাছি যে হ্যামাদের নেত্রীত হ্যামাকে ওই নদীতে একখান বিরিজি বানিয়ে দিবে।

হ্যামরা ডাইরক বাসত (বাস) করে নওগাও যেতে পারুম হ্যামি আবার কইলাম মাডুম হ্যামাকে বুঝিচিন তো। আফনের হাতে কতা কওয়ার জন্য হ্যাপনাদের হেয় ব্যাবুল চেয়ারমানক কছিলাম ‘‘ হ্যামাক আনা হাচিনার নম্বরটা দিমিন। হ্যামি অ্যানা কতা কমু। কি আর কমু প্রধানমন্ত্রী হ্যাপনেকে যখন ভোট দিই তখন ম্যালা আশা নিছিলাম যে আফনে আমাকগ অনেক ভাল বাসেন। কিন্তু কি আর কমু যখন খাতে পারি না তহন চেয়ারম্যান মাম্বরের কাছে ইলিপ--বাতা(বৃদ্ধভাতা) নিতে যাও কিন্তু তারা হ্যামার কাছ থেকে আগেই টেকা চায়।

বলে বুড়ি মা এই চাওল শহরত থ্যাকা আনতে অনেক খরচ হয়েছে। বড় বাবুদের জন্যত দিতে কহেছে। আফনের কাছ থ্যাকা কিছু লিয়ে (নিয়ে) হেগর কাছত ফ্যারত দিমু। হাচিনা বু’’’’ হ্যমার গ্রামত কারাসিনের বাতি ছিল। ভোটের আগে যখন আফনের লৌকা মারকা লয়ে যখন আকরাম হোসেন আমপি আসছিলো তখন কচিলো পাসত করার পর এই গ্রামে প্রথমত ফকফকা বাতি দিবে।

কিন্তু ৩ বছর পর হেয় আমফি(এমপি) হ্যামাদের গ্রামত থ্যাকা ম্যালা গুলা টেকা নিয়ে গেছে। হ্যামার একটা ছাওয়ালের কাছ থ্যাকাও নিচে। তারপর বিদুত দিচে। িএখন ঠাওর ঠাওর সময় আফনের হেয় চেয়ারা টিভিত দ্যাখি। পরানটা জুইড়া যায়।

কি আর কমু আফা এ বছরত যখন শহরত আকটি ঘরে কি সব সাঙবাদিক মারা গেলো না?? তার পর আফনে যেদিন কলেন ‘‘বিছানাত পাহারা দিয়া যাবত না হেদিন থ্যাকা ঘরের বাহিরত খুব কম গ্যাছি যদি মইরা যা্য় আফা আফনের যেদিন নম্বর টা দিছিলেন হে দিন হ্যামি হ্যমার ্ওই নাতিটার কাছত ম্যালাবার কছি আকবার (একবার) আফনেকে ফোন দিতে কিন্তু হেয় কছেলো যে আফনে ওটিং। আফা হ্যামরা অনেক কষ্টত আছি,,,,,,,,আফনের মন্ত্রীত যেনো ক্যাবা নাম.........ভুলেই তো গেলাম.....ওই যে বিয়া করেনি.......হ্যামাদের ফুলিশ যার কতা ছোনে.....ও মনে পরছে ছাহাড়া আফা.....উনিতো হ্যামার চ্যায়ে অদম। হে বেটি কহন কি কয় হে নিজত জানে না। ওই যে সাঙভাদিক ছাগর (সাগর)ও ওনি (রুনি) মারা গেলো না.....হেয় বেটিতো ৪৮ ঘনটার কি যেনো বলে আলটিম্যাডাম না যেনো কি>?? দিলো ফুলিশকে বললো আফনেরা হথ্যাকারীক গেফতার করুন। কিন্তু কৈয় ৫ মাসত পরছে তবুও কাওকে তো চৌদ্দ সিখত ঢুকতে দ্যাখনু না।

হ্যাছিনা আফা হ্যামাদের ছপনের বাঙলাদেশত চাচিলাম আফনের বাপের কাছত থ্যাকা। অনেক কসেটে র‌্যাফল ধরে ওই হৈয়চয়(মুক্তিযোদ্ধ) সময়ত ফ্যাকিস্তানের কুত্তাদের মারুছিনো। হ্যামার তো এখনো হেয় র‌্যাফল থ্যাকলে আফনাদের লৌকা মারকার কিছু হ্যারামীকে শ্যাষ করে দিতাম। হেরা হ্যামাকে বলে হ্যামি মুক্তিযোদ্ধ করি নাই........হ্যামার নাম নাকি ওই বড় অফিসে ন্যায়্। আফনে কওতো প্রদানমন্ত্রী হ্যামিকি হেদিন সার্টিফিকেট লওয়ার জন্য অদ্দু (যুদ্ধ) করচিলাম??? হ্যামিতো আফনের বাপের ক্যতাকে বিশ্বাসত করে যুদ্ধ করছিরাম।

আফা আর পারছি না। হেয় যুদ্ধে মরে যাওয়াত ঠিকই ছিলো। আখন আফনেদের কাছত থেকে এটা দ্যাখতে চাছিলুম না। ওই বেটা নিজামী, হ্যাজম(আযম), ছাইদী(সাঈদী) কে ক্যাছে পাবার পরও আফনেরা ক্যান মারেন নাই। হেরা মরলে হ্যামার ছামি(স্বামী) আতত্তা ছান্তি পাবেত।

কথাগুলো বলছিলেন উত্তরাঞ্চলের জনৈক এক ষাটউদ্ধে মহিলা। তার ওই কথা শেষ হতে না হতে অপর প্রান্ত থেকে মহিলাটি বললেন যে সে প্রধানমন্ত্রী নন। সে তার সহকারী। এদিকে তার ফোনে টাকাও শেষ হয়ে গেছে তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কথাগুলো পৌছায়নি। আর পৌছাবেও না।

গল্পটি কাল্পনিক হলেও কোন কোন ব্যক্তির কাছে সত্য হতে পারে। আমি কোন দিন এভাবে গল্প লিখিনি। আজই প্রথম। যাই হউক এবার আমার কথায় ফিরে আসি। প্রধানমন্ত্রী যে ফোন নাম্বার দিয়েছে তার একটি জিপি আর একটি রবি।

আমি জানি না আমাদের সরকারের টেলিটক কোথায় গেল/ তাহলে কি তারা মুখে দেশপ্রেম দেখায় আর অন্তরে বিদশীদের মতান্তর করে?? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ফোন দেয়ার চেষ্টা করিও পারি নাই। তাই কোন সময় ফোন দেয়ার সুযোগ হলে আমি আপনার কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখছি * আপনি বলেছিলেন যে আমার পরিবারে চার সদস্য ব্যতিত আপনার কোন আত্বীয় নেই তাহলে আপনার বেয়ায়(শ্রমমন্ত্রী), শেখ সেলিম, তাপস নূর নিজেদের সাথে আপনার কি পরিচয় রাখবে?? কি বলবে তারা?? আপনার দূর্ণীতিবাজ মন্ত্রীদের দৌরাত্ব আর সহ্য শক্তির মধ্যে থাকছে না। এরা দেশের জন্য যতটা সম্মান বয়ে আনছে তার চেয়ে বেশি সম্মানহানি করেছে। পদ্মা সেতুর দূর্নীতি ধরার পরও কেন তারা স্বপদে আধিষ্টিত? আমি রাজনীতির কিছু বুঝি না। বোঝার চেষ্টাও করি না।

*যুদ্ধাপরাধীদের ইসুৗ নিয়ে আপনার সরকার শুরু থেকেই জোড়ালো ভুমিকা পালন করছেন। এই তিন বছরেও কেন তাদের বিচার হচ্ছে না। সাধারন বিচার ব্যবস্থা থাকলে আদৌ কি সেটা সম্ভব হতো না সেটা জানতাম কিন্তু বিশেষ টাইব্যনালে কেন পিছিয়ে পরেছেন *গণ-মাধ্যমের কর্মীদের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থার যে হাল হকিকত শুরু হয়েছে অচিরেই সেই মূল্যাবান অবস্থাানটিও কবে হারি য়ে যায় সেটা লক্ষনীয়। *সাগর-রুনি হত্যাকারীদের কাছ থেকে দেখার পরও আপনার সরকারে কেন না দেখার ভান?? এই বিচার ব্যবস্থার প্রহসনটা দূর করা যায় না? *দেশের মানুষদের আম্তা কেন আপনাদের উপর থাকছে না তা কখনো ভেবে দেখেছেন? যাই হউক আরো অনেক কথা জমা রেখেছি বলতে চাই কিন্তু বলতে পারি না। পরিশেষে আপনার দেয়া মোবাইল সিস্টেম সার্ভিসের উন্ন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.