আমি জাতির আধার রাতের আলো... বিশ্বব্যাংক যখন প্রথম বাংলাদেশের লোন স্থগিত করেছিলো তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন.....পদ্মা সেতুর দুর্নীতির প্রমান দিতে না পারলে তিনি বিশ্বব্যাংক থেকে লোন গ্রহন করবেন না। তার এই কথার প্রেক্ষিতে বিশ্ব ব্যাংক এ তোলপাড় শুরু হয়। বিশ্বব্যাংক প্রধানের ঘুম হারাম হয়ে যায়, তিনি প্রায় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেন। তাদের সমস্ত টীম আমাদের মন্ত্রীদের দুর্নীতি খোজা শুরু করে। না পেয়ে দুদকের সাহায্য নেয়, দুদকও ব্যর্থ হয়।
মূলত: বিশ্বব্যাংক নিজেই চরম দুর্নীতিগ্রস্থ যা প্রমাণ করে দিল বিশ্বের খ্যাতনামা ব্যবসায় বিষয়ক সাময়িকী 'ফোর্বসে'র এক প্রতিবেদন!!!!!! উক্ত সংস্থাটির প্রতিবেদনখানা তুলে ধরা হল.....আপনাদের জন্য
বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বিশ্বব্যাংক বিশ্বের মধ্যে 'সবচেয়ে অকার্যকর' প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। খ্যাতনামা ব্যবসায় বিষয়ক সাময়িকী 'ফোর্বসে'র এক প্রতিবেদনে সংস্থাটির 'ব্যাপক অনিয়মের' কথা তুলে ধরে এ মন্তব্য করা হয়েছে। দীর্ঘ ওই প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকের 'নিয়মতান্ত্রিক চ্যুতি' রোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট জোয়েলিকের প্রতি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অতিরাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী এ প্রতিষ্ঠান কার্যত একটি ক্রমবিস্তৃত প্রায় জাতিরাষ্ট্র হয়ে উঠছে। ২০১১ সালে এর তহবিলের পরিমাণ ছিল ৫৭ বিলিয়ন ডলার।
এর তহবিলের ওপর জোগানদাতা সরকারগুলোর কোনো নজরদারি নেই বললেই চলে। আইএমএফ থেকে ভিন্ন বিশ্বব্যাংক সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সঙ্গে কাজ করে। প্রকল্পের সংখ্যা ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ যত বাড়তে থাকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ষড়যন্ত্রও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। কারণ এটার কাজ নিরীক্ষা করে দেখার মতো কেউ নেই। গত কয়েক সপ্তাহের অনেক ও তার আগের পাঁচ বছরের শতাধিক সাক্ষাৎকার এবং
হাজার পৃষ্ঠার একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক দশকের বেশি সময় ধরে নানা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বব্যাংকের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
বরং এর সমস্যাগুলো আরও বাজে রূপ ধারণ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড. জিম ইয়ংকে এমন একটি সংস্থার শীর্ষ পদের জন্য বেছে নিয়েছেন যা বর্তমানে 'বিব্রতকর' অবস্থায় আছে এবং জবাবদিহিতা হারাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ওইসব সমস্যা মোকাবেলা করার খুব সামান্যই সুযোগ পাবেন কিম। অন্যথায় পুরো ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য তাকে তৈরি থাকতে হবে। বিশ্বব্যাংকের সাবেক এক পরিচালকের কিছুটা ব্যঙ্গাত্মক উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, 'শরণার্থীরাই আশ্রম শিবির চালাচ্ছে।
'
সমস্যাগুলোর বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফোর্বস সেগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করেছে_ দর্শনগত, কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক। প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন এ সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা লক্ষ্যস্থির করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তখন দুর্নীতি একে আঁকড়ে ধরেছে। অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনগুলোতে দেখা যায়, জোয়েলিক বাজেট সংকোচন বাস্তবায়ন করলেও কিছু কর্মকর্তা বাজেটের বাইরেই কাজ করছেন বা ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করতে দিচ্ছেন না। আবার অনেকেই আছেন যারা নিজেদের স্বার্থে এ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কাজ করেছেন অথবা ব্যাংকের মধ্যে নিজেদের অবস্থানকে আরও পাকাপোক্ত করেছেন। ব্যাংক সূত্র ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিমাণের কথা জানিয়েছে যা সম্ভবত সাম্প্রতিক কম্পিউটার গোলযোগের সময়ে পাচার হয়ে গেছে।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের ওই প্রতিবেদন এমন এক সময় প্রকাশিত হলো যখন প্রতিষ্ঠানটির ওয়াশিংটন কার্যালয় থেকে এক বিবৃতি দিয়ে 'দুর্নীতির নির্ভরযোগ্য প্রমাণ' থাকার কথা বলে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের ভেতরের এবং বাইরের সবাই বলেন_ প্রতিষ্ঠানটি তার সুখ্যাতি নিয়ে এতটাই আচ্ছন্ন থাকে যে, নেতিবাচক কোনো কিছু সামনে এলেই তা মোকাবেলা না করে যান্ত্রিকভাবে চেপে যায়।
৫০ বছরের অভিজ্ঞতার পর ব্যাংকের কর্তারা নব্বইয়ের দশকে উপলব্ধি করেছেন, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই মানেই প্রকল্পে অর্থ ঢেলে দেওয়া নয়। এর চেয়ে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা অনেক কার্যকর। 'দরিদ্র দেশগুলোর নীতিমালা নিয়ে যে সংস্থা এত বুলি আওড়ায়, নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে তাদের এত সময় লাগল কেন?'_ বাংলাদেশ সফরে আসা অনেককেই এ প্রশ্ন করা হলেও তাদের সবাই এর উত্তর এড়িয়ে গেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।